চেনা আঙিনা ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়ামে খেলতে নেমেও জয়ের দেখা পেল না মুম্বাই। রোববার লক্ষ্ণৌ সুপার জায়ান্টসের বিপক্ষে হেরে গেল ৩৬ রানে।
রাহুলের রেকর্ড গড়া সেঞ্চুরির সৌজন্যে ৬ উইকেটে ১৬৮ রান তোলে লক্ষ্ণৌ। জবাব দিতে নেমে ৮ উইকেটে ১৩২ রান করে মুম্বাই।
লক্ষ্ণৌকে লড়াইয়ের পুঁজি এনে দেওয়ার নায়ক রাহুল খেলেন ৬২ বলে ৪ ছক্কা ও ১২ চারে ১০৩ রানের অপরাজিত ইনিংস। মুম্বাইয়ের বিপক্ষে যা তার তৃতীয় সেঞ্চুরি। স্বীকৃত টি-টোয়েন্টিতে কোনো একটি দলের বিপক্ষে এই কীর্তি নেই আর কারও।
টস হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে লক্ষ্ণৌ নিয়মিত বিরতিতে হারায় উইকেট। সতীর্থদের ব্যর্থতার দিনে এক প্রান্তে লড়াই করে যান রাহুল। শুরুতে বলের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে, পরে রান বাড়ান দ্রুত গতিতে।
৩৭ বলে ফিফটি স্পর্শ করেন রাহুল। পরের পঞ্চাশ রান তোলেন তিনি ২৪ বলে। কাঙ্ক্ষিত তিন অঙ্কে পা রাখেন ৬১ বলে, অস্ট্রেলিয়ান পেসার রাইলি মেরেডিথকে মিডউইকেট দিয়ে ছক্কায় উড়িয়ে।
আইপিএলে এটি রাহুলের চতুর্থ ও স্বীকৃত টি-টোয়েন্টিতে ষষ্ঠ সেঞ্চুরি।
দলটির হয়ে বিশের ঘরে যেতে পেরেছেন আর কেবল একজন। ২২ বলে এক ছক্কায় ২২ রান করেন মনিশ পান্ডে।
মুম্বাইয়ের হয়ে দারুণ বোলিংয়ে ৮ রান দিয়ে ২ উইকেট নেন কাইরন পোলার্ড। দুটি প্রাপ্তি মেরেডিথের, তবে রান দেন তিনি ৪০।
রান তাড়ায় মুম্বাইয়ের শুরুটা খারাপ ছিল না। এক প্রান্তে ইশান কিষান ধুঁকলেও রোহিত রানের চাকা সচল রাখেন। তাদের ৪৯ রানের উদ্বোধনী জুটিতে ফাটল ধরার পর ভেঙে পড়ে ব্যাটিং লাইন আপও।
বিনা উইকেটে ৪৯ রান থেকে ৬৭ পর্যন্ত যেতে ৪ উইকেট হারিয়ে বসে মুম্বাই। এর মধ্যে দুই অঙ্কে যেতে পারেন কেবল রোহিত। করেন এক ছক্কা ও ৫ চারে ৩৯ রান।
এরপর পোলার্ডকে নিয়ে দলকে লক্ষ্যের দিকে টানেন তিলক ভার্মা। তিনি যা কিছুটা রানের গতিতে দম দেন, পোলার্ড ছিলেন একদম নিষ্প্রভ। তাদের ৩৯ বলে ৫৭ রানের জুটিতে ক্যারিবিয়ান অলরাউন্ডারের রান ১৭ বলে ১৭।
দুটি করে ছক্কা-চারে ২৭ বলে ৩৮ রান করে আউট হন তিলক। এক ছক্কায় ২০ বলে ১৯ করেন পোলার্ড।
লক্ষ্ণৌয়ের হয়ে দারুণ বোলিং করেন ক্রুনাল পান্ডিয়া। স্রেফ ১৯ রান দিয়ে উইকেট নেন তিনটি। উইকেটশূন্য থাকলেও অসাধারণ বোলিংয়ে ৪ ওভারে মাত্র ১৪ রান দেন শ্রীলঙ্কান পেসার দুশমন্থ চামিরা।