১৯৬৪ সালের ৩০ এপ্রিল বরানগরে জন্মগ্রহণ করেন অভিষেক। ৩০ বছর আগে ১৯৮৬ সালে পরিচালক তরুণ মজুমদারের ছবি ‘পথভোলা’ দিয়ে সিনেমায় যাত্রা শুরু করেন অভিষেক । এছাড়াও গীতসংগীত, বাবা কেন চাকর, লাঠি, সুজন সখী, জয়বাবা ভোলানাথ, বাদশা, তুমি কত সুন্দর, মায়ের আশীর্বাদ, আব্বাজান, অমর প্রেম, তুফান, সুরের আকাশে, মায়ের আঁচল, বাড়িওয়ালা, আলো, দহন, মধুর মিলন সহ একাধিক ছবিতে দক্ষতার সঙ্গে অভিনয় করেছেন অভিষেক।২০২১ সালেও তিনটি সিনেমায় অভিনয় করেছেন তিনি।
চট্টোপাধ্যায় যখন সিনেমা পর্দায় হাজির হয়েছিলেন, তখন সিক্স প্যাকের অধিকারী ছিলেন। শুধু কি তাই; সুদর্শন, দক্ষ অভিনেতা হওয়ার পাশাপাশি প্রসেনজিৎ ও তাপস পালের সময়ে দাপট দেখিয়েও ক্যারিয়ারে ‘হিরো’ তকমা লাগাতে পারেননি।
কেন হিরো হয়ে উঠতে পারলেন না? ক্যারিয়ারের মধ্যভাগে এসে সেই গল্পে অভিষেক শুনিয়েছিলেন রাজনীতির গল্প। নাম প্রকাশ না করে অভিযোগ নিয়ে এসেছিলেন, এক জুটির কারণে একাধিক সিনেমা থেকে বাদ পড়তে হয়েছিল তাঁকে।
ভারতের সংবাদমাধ্যম এই সময়ের প্রতিবেদন জানায়, ‘অপুর সংসার’ শিরোনামে একটি শোতে হাজির হয়ে অভিষেক বলেছিলেন, ‘নোংরা রাজনীতির শিকার হতে হয়েছিল আমাকে। নয় বছর হাতে কোনও কাজ ছিল না। বাধ্য হয়ে যাত্রা দলে যোগদান করি।’
গণমাধ্যমে একাধিকবার প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে অভিযোগ নিয়ে এসেছিলেন অভিষেক। এই সময় পত্রিকাকে জানিয়েছিলেন, বহুল আলোচিত ‘গুরুদক্ষিণা’ সিনেমা নিয়ে এক জটিলতায় ১০ বছর তাঁর সঙ্গে কাজ করেননি প্রসেনজিৎ।
বুধবার রাতে একটি ধারাবাহিক শুটিং করছিলেন অভিষেক এবং সেখানেই বুকে ব্যথা অনুভব করেন। কিন্তু হাসপাতালে ভর্তি না হয়ে পরে কলকাতার প্রিন্স আনোয়ার শাহ রোডের বাড়িতে ফিরে যান তিনি। অসুস্থতা ক্রমশই বাড়তে থাকায় বাড়িতেই শুরু হয় চিকিৎসকের তত্ত্বাবধানেই শুরু হয় প্রাথমিক চিকিৎসা।
তবে চিকিৎসকদের সব চেষ্টা ব্যর্থ করে বুধবার রাত ১টার দিকে না ফেরার দেশে চলে গেলেন ভারতের টালিউড অভিনেতা অভিষেক চট্টোপাধ্যায়। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৫৭ বছর। হৃদরোগে আক্রান্ত হয়েই তার মৃত্যু হয় বলে পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে। তার মৃত্যুতে শোকস্তব্ধ টলিউডসহ পশ্চিমবঙ্গের চলচ্চিত্র জগত।
https://www.facebook.com/pundrotvbd/videos/719676079209057