পরমাণু গবেষণাকেন্দ্রে এ হামলার ঘটনায় কোনো হতাহতের খবর এখনও পাওয়া যায়নি এবং রাশিয়াও এখন পর্যন্ত প্রকাশ্যে এ ইস্যুতে কোনো মন্তব্য করেনি।
এর আগে গত ৩ মার্চ দক্ষিণ-পূর্ব ইউক্রেনের জাপোরিঝিয়া পারমাণবিক কেন্দ্র রুশ সামরিক দখল করে নেয়। দখলের আগে রুশ সেনাদের হামলায় পরমাণুকেন্দ্রটি ক্ষতিগ্রস্ত হয় বলে অভিযোগ ওঠে।
এ ছাড়া বৃহস্পতিবার জাতিসংঘের পারমাণবিক পর্যবেক্ষণ সংস্থা আই এ ই এ বলেছে, রাশিয়ার সামরিক বাহিনীর দখল করে নেওয়া ইউক্রেনের চেরনোবিল পরমাণুকেন্দ্রের তেজস্ক্রিয় বর্জ্য ভয়ানক পরিস্থিতির সৃষ্টি করতে পারে।
সাবেক সোভিয়েত ইউনিয়নের চেরনোবিল পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রে ১৯৮৬ সালের ২৬ এপ্রিল ভয়াবহ পারমাণবিক দুর্ঘটনা ঘটে। ওই দিনটি ‘চেরনোবিলের বিপর্যয়’ হিসেবে পরিচিত।
সোভিয়েতের পতনের পর চেরনোবিল বিদ্যুৎকেন্দ্রটি বর্তমান ইউক্রেনের অন্তর্ভুক্ত হয়। এই পারমাণবিক দুর্ঘটনাকে স্মরণকালের সবচেয়ে ভয়াবহ দুর্ঘটনা ও বিপর্যয় হিসেবে মনে করা হয়ে থাকে।
এদিকে যুক্তরাষ্ট্রের জ্যেষ্ঠ এক প্রতিরক্ষা কর্মকর্তা জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় ইউক্রেনের রাজধানীর দিকে তিন মাইল এগিয়েছে রুশ সেনারা। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি এ তথ্য জানায়।
যুক্তরাষ্ট্রের ওই কর্মকর্তা সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, গত ২৪ ঘণ্টায় উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে রুশ সেনাদের অগ্রগতির অর্থ হলো তারা কিয়েভ শহরের কেন্দ্র থেকে আর মাত্র নয় মাইল (১৫ কিলোমিটার) দূরে রয়েছেন।
এ কর্মকর্তা আরও জানান, উত্তর-পূর্ব দিক থেকে এগিয়ে আসা রুশ সেনাদের বহর কিয়েভ থেকে দূরে রয়েছে ৪০ কিলোমিটার। বর্তমানে ইউক্রেনের উত্তারঞ্চলের চেরনিহিভ শহর পুরোপুরি ‘বিচ্ছিন্ন’ অবস্থায় রয়েছে, জানান এ কর্মকর্তা।
যুক্তরাষ্ট্রের এ প্রতিরক্ষা কর্মকর্তা জানান, রাশিয়ার হামলা শুরুর পর থেকে ৭৭৫টি ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করেছে ইউক্রেনে। এর আগে বৃহস্পতিবার কিয়েভের মেয়র বলেছিলেন, কিয়েভ সশস্ত্র নাগরিকদের দ্বারা সুরক্ষিত রয়েছে এবং দুর্গে পরিণত হয়েছে।
২৪ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনের দোনবাস অঞ্চলে সামরিক অভিযানের নির্দেশ দেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন।
https://www.facebook.com/pundrotvbd/videos/1124472541700943