ফিলিস্তিনের প্রতিরোধ সংগঠন হামাসের সামরিক শাখা, আল-কাসাম ব্রিগেড, শনিবার গাজায় আটক ইসরাইলি জিম্মিদের নিয়ে একটি নতুন ভিডিও প্রকাশ করেছে। এমন সময়ে গোষ্ঠীটি জিম্মিদের ভিডিও সামনে এনেছে, যখন ক্ষণস্থায়ী যুদ্ধবিরতির প্রথম পর্ব শেষ হতে যাচ্ছে এবং পরবর্তী পদক্ষেপ নিয়ে অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছে।
বার্তাসংস্থা এএফপি জানিয়েছে, ভিডিওটিতে কয়েকজন জিম্মিকে দেখা গেছে। তবে এটি স্বাধীনভাবে যাচাই করা সম্ভব হয়নি।
আল-কাসাম ব্রিগেডের প্রকাশিত ভিডিওতে তিনজন ব্যক্তিকে দেখা যায়, যাদের মধ্যে দুইজনের মুখ পরিষ্কারভাবে দেখা যায় এবং তারা ফেব্রুয়ারি মাসে মুক্তি পাওয়া জিম্মি বলে মনে হচ্ছে, আর তৃতীয়জন ইসরাইলি সরকারের প্রতি তার মুক্তির জন্য আহ্বান জানাচ্ছে।
ভিডিওটির সঙ্গে একটি বার্তা ছিল, ‘শুধুমাত্র একটি যুদ্ধবিরতি চুক্তি তাদের জীবিত ফিরিয়ে আনতে পারে’।
ভিডিওটি আরো দুইজন ব্যক্তির ছবি দেখিয়েছে, যাদের মুখ ব্লার করা ছিল। এই ভিডিওটি, যা হামাসের পক্ষ থেকে প্রকাশিত হয়েছে, ফিলিস্তিনের বন্দিদের মুক্তির বিষয়ে ইসরাইলি সরকারের প্রতি চাপ বাড়ানোর উদ্দেশ্যে এক নতুন পদক্ষেপ হিসেবে দেখা হচ্ছে।
এটি প্রকাশের পর, ইসরাইলি জিম্মিদের পরিবারগুলোর পক্ষ থেকে কোন প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি, তবে এর আগেও হামাসের প্রকাশিত ভিডিওগুলো ব্যাপক প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করেছে। গত অক্টোবরে হামাসের হামলার পর গাজায় প্রায় ২৫০ জন ইসরাইলি ও বিদেশি নাগরিক বন্দি হয়, যাদের মধ্যে অনেকেই মুক্তি পেয়েছে।
এই ভিডিওটি একটি গুরুত্বপূর্ণ মুহূর্তে প্রকাশিত হয়েছে, যখন ইসরাইলি কর্মকর্তারা কাতারে হামাসের সঙ্গে বন্দি বিনিময় এবং যুদ্ধবিরতি আলোচনা করতে সমঝোতা চেষ্টা করছে। নতুন করে যুদ্ধবিরতি এবং বন্দি বিনিময়ের বিষয়টি এখনও প্রাথমিক স্তরে, কিন্তু এই ভিডিও হামাসের পক্ষ থেকে নতুন বার্তা হিসেবে কাজ করতে পারে, যা ভবিষ্যতে বন্দি বিনিময় চুক্তির প্রক্রিয়াকে ত্বরান্বিত করতে পারে।
এছাড়া, ভিডিওটির মাধ্যমে হামাস এক ধরণের আন্তর্জাতিক মনোযোগ আকর্ষণ করতে চায়, যা তাদের অবস্থান ও দাবির প্রতি সমর্থন যোগাতে সহায়ক হতে পারে। গাজায় সাময়িক যুদ্ধবিরতি হলেও মানবিক সংকট আশঙ্কাজনকভাবে বেড়েছে, যা এই ভিডিওটি প্রকাশের রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে আরও গুরুত্ব বহন করছে।
হামাসের পক্ষ থেকে এই ধরনের প্রচারণা ইসরাইলি সরকারের জন্য নতুন চাপ সৃষ্টি করতে পারে, এবং এটি ভবিষ্যতে উভয় পক্ষের মধ্যে আরও আলোচনা ও সমঝোতার পথ সুগম করতে পারে।