হামলার তীব্র প্রতিক্রিয়ায় ভারত সরকারের পক্ষ থেকে একের পর এক কঠোর পদক্ষেপ ঘোষণা করা হয়েছে।
হামলার তীব্র প্রতিক্রিয়ায় ভারত সরকারের পক্ষ থেকে একের পর এক কঠোর পদক্ষেপ ঘোষণা করা হয়েছে।
ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যকার দ্বিপাক্ষিক চুক্তির ইতিহাস
স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন উঠেছে— ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে মোট কতটি দ্বিপাক্ষিক চুক্তি রয়েছে এবং সেগুলোর ধরন কী? পাকিস্তানে অবস্থিত ভারতীয় হাইকমিশনের তথ্য অনুযায়ী, ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে মোট ৪০টি উল্লেখযোগ্য দ্বিপাক্ষিক চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে। এই চুক্তিগুলো মূলত: বাণিজ্য, ভিসা প্রদান, পারমাণবিক অস্ত্র সংক্রান্ত সতর্কতা, সীমান্ত নিরাপত্তা, সাংস্কৃতিক বিনিময় এবং নদী পানি বণ্টন সংক্রান্ত বিষয়ে কেন্দ্রীভূত।
এই চুক্তিগুলোর মধ্যে কয়েকটি উল্লেখযোগ্য হলো:
১. পারমাণবিক স্থাপনার ওপর হামলা নিষিদ্ধকরণ চুক্তি (১৯৮৮)
২. ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষার বিষয়ে অগ্রিম তথ্য প্রদান চুক্তি (২০০৫)
৩. সেনা মহড়া ও সামরিক গতিবিধির বিষয়ে অগ্রিম জানানোর চুক্তি (১৯৯১)
৪. আকাশসীমা লঙ্ঘন প্রতিরোধ এবং সামরিক বিমানের উড্ডয়ন সংক্রান্ত চুক্তি (১৯৯১)
৫. লাহোর ঘোষণাপত্র (১৯৯৯)
৬. সিন্ধু পানি চুক্তি (১৯৬০)
৭. সিমলা চুক্তি (১৯৭২)
৮. তাসখন্দ চুক্তি (১৯৬৬)
৯. ধর্মীয় স্থান ভ্রমণ সংক্রান্ত চুক্তি (১৯৭৪)
১০. নেহেরু-লিয়াকত চুক্তি বা দিল্লি চুক্তি (১৯৫০)। এ ছাড়াও রয়েছে রেলওয়ে, বিমান পরিষেবা, টেলিযোগাযোগ, স্বাস্থ্য, শিক্ষা ও পর্যটন সংক্রান্ত সহযোগিতার একাধিক চুক্তি।
সিমলা চুক্তি
১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধের পরে, ভারত ও পাকিস্তান নিজেদের দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক স্বাভাবিক করার জন্য সিমলা চুক্তি করে। পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট জুলফিকার আলী ভুট্টো এবং ভারতের প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধী এই ঐতিহাসিক চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন। চুক্তির মূল বিষয়: সব দ্বিপক্ষীয় সমস্যা শান্তিপূর্ণ আলোচনার মাধ্যমে সমাধানের প্রতিশ্রুতি। তৃতীয় পক্ষের হস্তক্ষেপ ছাড়া সমাধান। জম্মু ও কাশ্মীরের বর্তমান সীমান্তকে ‘নিয়ন্ত্রণ রেখা’ হিসেবে স্বীকৃতি। যুদ্ধবন্দী ৯৩ হাজার পাকিস্তানি সেনা মুক্তির বিষয়টি নিশ্চিত করা।
পারমাণবিক স্থাপনার ওপর হামলা নিষিদ্ধ করার চুক্তি
ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ দ্বিপাক্ষিক চুক্তি হলো পারমাণবিক স্থাপনাগুলোর ওপর হামলা নিষিদ্ধ করার চুক্তি। চুক্তিটি ১৯৮৮ সালের ৩১শে ডিসেম্বর স্বাক্ষরিত হয় এবং ১৯৯১ সালের ২৭শে জানুয়ারি থেকে কার্যকর হয়। এর মূল বিষয়গুলোর মধ্যে ছিল, উভয় দেশ একে অপরের পারমাণবিক স্থাপনায় হামলা চালাবে না বা ধ্বংস করবে না বলে সম্মত হয়েছে।
প্রতি বছরের পহেলা জানুয়ারি দুই দেশ নিজ নিজ পারমাণবিক স্থাপনাগুলোর তালিকা একে অপরের সঙ্গে বিনিময় করে। এই তালিকায় থাকে- পারমাণবিক রিঅ্যাক্টর বা পারমাণবিক চুল্লি, জ্বালানি তৈরি বা ফুয়েল ফ্যাব্রিকেশন ইউনিট, পুনঃপ্রক্রিয়াকরণ বা রিপ্রসেসিং প্ল্যান্ট, গবেষণাগার এবং অন্যান্য সুবিধা যেখানে পারমাণবিক পদার্থ থাকে। এই চুক্তির উদ্দেশ্য, পারমাণবিক স্থাপনা সম্পর্কে বিশ্বাস এবং স্বচ্ছতা প্রদানের মাধ্যমে পারমাণবিক সংঘাতের ঝুঁকি হ্রাস করা এবং গোটা অঞ্চলে স্থিতিশীলতা বৃদ্ধি করা।
আকাশসীমা লঙ্ঘন রোধ ও সামরিক বিমান সংক্রান্ত ভারত-পাকিস্তান চুক্তি
ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে আকাশসীমা লঙ্ঘন প্রতিরোধ এবং সামরিক বিমানের উড্ডয়ন ও অবতরণ সংক্রান্ত একটি গুরুত্বপূর্ণ চুক্তি রয়েছে, যার প্রধান উদ্দেশ্য হলো — অননুমোদিত বা আকস্মিক আকাশসীমা অতিক্রম রোধ করা এবং উভয় দেশের মধ্যে নিরাপদ ও সুশৃঙ্খল বিমান চলাচল নিশ্চিত করা।
এই চুক্তিটি ১৯৯১ সালের ৬ই এপ্রিল স্বাক্ষরিত হয়। এতে উভয় দেশ একমত হয় যে, পূর্ব অনুমতি ছাড়া কেউ কারও আকাশসীমা লঙ্ঘন করবে না। সামরিক বিমান যদি এক দেশের আকাশসীমায় প্রবেশ করতে চায়, তবে তার জন্য অবশ্যই আগাম অনুমতি নিতে হবে।
জরুরি প্রয়োজনে বা অনিবার্য পরিস্থিতিতে আকাশসীমা ব্যবহার করতে চাইলে আগে অনুমতি নিতে হবে। জরুরি অবতরণের ক্ষেত্রে দ্রুত অবহিতকরণ এবং পারস্পরিক সহযোগিতার বিধান রাখা হয়েছে। দুর্ঘটনাজনিত বা অননুমোদিত উড্ডয়ন ঠেকাতে উভয় দেশ তাদের নিজ নিজ নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করবে।
এই চুক্তির মূল লক্ষ্য ছিল, আঞ্চলিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করা, পারস্পরিক বিশ্বাস বজায় রাখা, অনিচ্ছাকৃত উত্তেজনা ও ভুল বোঝাবুঝি রোধ করা এবং দুই দেশের মধ্যে সংঘাতের সম্ভাবনা কমিয়ে আনা।
সিন্ধু পানি চুক্তি
বিশ্বব্যাংকের মধ্যস্থতায় নয় বছরের আলোচনার পর ভারত ও পাকিস্তান সিন্ধু পানি চুক্তিতে পৌঁছায়। এর আওতায় পূর্বাঞ্চলের তিন নদী (বিয়াস, রাভি, শতদ্রু) ভারতের অধীনে এসেছে। পশ্চিমাঞ্চলের তিন নদী (সিন্ধু, চেনাব, ঝিলম) পাকিস্তানের নিয়ন্ত্রণে রাখা হয়েছে এবং নদীগুলোর পানি ব্যবহারে নির্দিষ্ট নীতিমালা ও সীমাবদ্ধতা রয়েছে, যাতে উভয় দেশের কৃষি ও অর্থনীতি ক্ষতিগ্রস্ত না হয়।
লাহোর ঘোষণাপত্র
পারমাণবিক পরীক্ষার পর, দুই দেশের মধ্যে লাহোর ঘোষণাপত্র স্বাক্ষরিত হয়। এতে পারমাণবিক যুদ্ধ এড়ানোর অঙ্গীকার করা হয়। পারস্পরিক আস্থা বৃদ্ধি এবং সংলাপ অব্যাহত রাখার প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়। এ ছাড়া কাশ্মীরসহ সব দ্বিপক্ষীয় বিরোধ শান্তিপূর্ণভাবে মীমাংসার উদ্যোগ নেওয়া হয়। সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে একসঙ্গে কাজ করার সিদ্ধান্তও নেওয়া হয়।
ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষার বিষয়ে আগাম অবহিতকরণ চুক্তি
ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষার বিষয়ে আগাম অবহিতকরণের একটি গুরুত্বপূর্ণ চুক্তি রয়েছে, যার মূল উদ্দেশ্য হলো — দুই দেশের মধ্যে পারস্পরিক স্বচ্ছতা বৃদ্ধি করা এবং মিসাইল পরীক্ষাকে কেন্দ্র করে ভুল বোঝাবুঝি ও উত্তেজনা সৃষ্টি হওয়ার ঝুঁকি কমিয়ে আনা।
এই চুক্তিটি ২০০৫ সালের ৩রা অক্টোবর স্বাক্ষরিত হয়। চুক্তি অনুযায়ী, ভারত ও পাকিস্তান উভয়েই কোনো ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা চালানোর সিদ্ধান্ত নিলে তা আগেভাগে একে অপরকে জানাবে।
এই অবহিতকরণের মধ্যে উল্লেখ থাকবে, ক্ষেপণাস্ত্রের ধরন বা শ্রেণি, উৎক্ষেপণের নির্দিষ্ট স্থান এবং ক্ষেপণের ফলে সম্ভাব্য প্রভাবিত এলাকা সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য। চুক্তিতে নির্ধারিত হয়েছে, ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষার তারিখের কয়েক দিন আগে থেকে সর্বোচ্চ এক সপ্তাহ আগে পর্যন্ত এ বিষয়ে অবহিত করা বাধ্যতামূলক।
এই চুক্তি দ্বিপক্ষীয় আস্থা বৃদ্ধিতে একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ হিসেবে বিবেচিত হয়, যা দক্ষিণ এশিয়ার আঞ্চলিক নিরাপত্তা ও স্থিতিশীলতা রক্ষায় বিশেষ ভূমিকা রাখে।
পারমাণবিক অস্ত্র দুর্ঘটনার ঝুঁকি কমানোর চুক্তি
ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে পারমাণবিক দুর্ঘটনা রোধ এবং অনিচ্ছাকৃত পারমাণবিক সংঘাতের ঝুঁকি হ্রাসের লক্ষ্যে একটি গুরুত্বপূর্ণ চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে। এর মূল উদ্দেশ্য হলো — পারমাণবিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করা এবং পারস্পরিক আস্থা ও সহযোগিতা বাড়ানো।
এই চুক্তিটি ২০০৭ সালের ২১শে ফেব্রুয়ারি স্বাক্ষরিত হয়। চুক্তির শর্ত অনুযায়ী, যদি দুই দেশের মধ্যে কোনো পারমাণবিক দুর্ঘটনা, অনিচ্ছাকৃত বিস্ফোরণ বা নিরাপত্তা-সংক্রান্ত কোনো সমস্যা ঘটে, তাহলে তারা অবিলম্বে একে অপরকে অবহিত করবে।
চুক্তির আওতায় উভয় দেশ তথ্য আদান-প্রদানের জন্য একটি বিশেষ ও সরাসরি যোগাযোগ চ্যানেল স্থাপন করবে, পারমাণবিক দুর্ঘটনা প্রতিরোধ এবং অননুমোদিত ব্যবহারের ঝুঁকি কমাতে প্রয়োজনীয় সবরকম পদক্ষেপ গ্রহণ করবে এবং কোনো দুর্ঘটনা ঘটলে, তেজস্ক্রিয়তার প্রভাব কমানোর জন্য পরস্পরের সঙ্গে তথ্য বিনিময় ও সহযোগিতা করবে।
এই চুক্তি দক্ষিণ এশিয়ায় পারমাণবিক নিরাপত্তা ও আঞ্চলিক স্থিতিশীলতা বজায় রাখতে একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ হিসেবে বিবেচিত হয়।
ধর্মীয় স্থান ভ্রমণ সংক্রান্ত চুক্তি
ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে ধর্মীয় স্থান ভ্রমণ সংক্রান্ত চুক্তি মূলত দুই দেশের নাগরিকদের ধর্মীয় অনুভূতির প্রতি সম্মান প্রদর্শন এবং ধর্মীয় তীর্থভ্রমণ সহজ করার জন্য গৃহীত হয়। এই দ্বিপাক্ষিক চুক্তিটি ১৯৭৪ সালের ১৪ই সেপ্টেম্বর উভয় দেশের পররাষ্ট্র সচিবদের মধ্যে স্বাক্ষরিত হয়।
চুক্তির আওতায় উভয় দেশ নির্দিষ্ট ধর্মীয় স্থানে তীর্থযাত্রীদের ভ্রমণের জন্য বিশেষ ভিসার ব্যবস্থা করবে অথবা কিছু ক্ষেত্রে ভিসা ছাড়াই ভ্রমণের সুযোগ দেবে, তীর্থযাত্রীদের জন্য উন্মুক্ত নির্ধারিত ধর্মীয় স্থানগুলিতে প্রবেশাধিকার নিশ্চিত করা হবে, ধর্মীয় এবং সাংস্কৃতিক বিনিময়কে উৎসাহিত করা হবে, ভ্রমণকারীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে গ্রুপ ট্যুর অথবা ব্যক্তিগত ভ্রমণের জন্য বিশেষ নিরাপত্তামূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
চুক্তি অনুযায়ী, উভয় দেশই দর্শনার্থীদের নিরাপদ এবং সম্মানজনক অভিজ্ঞতা নিশ্চিত করার জন্য প্রয়োজনীয় সব পদক্ষেপ নেবে।
নেহেরু-লিয়াকত চুক্তি
নেহেরু-লিয়াকত চুক্তি, যা দিল্লি চুক্তি নামেও পরিচিত, ১৯৫০ সালের ৮ই এপ্রিল ভারতের প্রধানমন্ত্রী জওহরলাল নেহেরু এবং পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী লিয়াকত আলী খানের মধ্যে স্বাক্ষরিত হয়। চুক্তির মূল উদ্দেশ্য ছিল দুই দেশের সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের অধিকার, নিরাপত্তা এবং মর্যাদা সংরক্ষণ নিশ্চিত করা।
এই চুক্তির অধীনে রয়েছে, ধর্ম, বর্ণ ও জাতি নির্বিশেষে সকল নাগরিকের সমান অধিকার, কর্মসংস্থান ও অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিত করা, সংখ্যালঘুদের জান-মাল, মান-মর্যাদা এবং ধর্মীয় স্বাধীনতা রক্ষা করা, শিক্ষা ও স্বাস্থ্যসেবার মতো মৌলিক অধিকার প্রদান নিশ্চিত করা।
এ ছাড়া দেশভাগের সময় সংঘটিত দাঙ্গার কারণে অপহৃত নারী ও লুণ্ঠিত সম্পদ উদ্ধার এবং ফেরতের জন্য যৌথভাবে প্রচেষ্টা চালানো এবং সংখ্যালঘুদের সমস্যার নজরদারির জন্য উভয় দেশে পৃথক সংখ্যালঘু কমিশন গঠন করা। এই চুক্তির মাধ্যমে উভয় দেশ সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের মধ্যে আস্থা ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করে এবং পারস্পরিক সহযোগিতার একটি ভিত্তি স্থাপন করে।
সাম্প্রতিক সংকট: যুদ্ধের সম্ভাবনা বাড়ছে?
বর্তমানে পরিস্থিতি এতটাই জটিল হয়ে উঠেছে যে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, যদি কূটনৈতিক আলোচনা দ্রুত শুরু না হয়, তাহলে দুই দেশের মধ্যে বড় ধরনের সামরিক উত্তেজনা দেখা দিতে পারে। বিশেষ করে পানির প্রবাহ রোধ বা পরিবর্তনের মতো কোনো ঘটনা ঘটলে সেটি সরাসরি যুদ্ধের কারণ হতে পারে।
পাশাপাশি, সীমান্তে সেনা সমাবেশ, বিমান চলাচল নিয়ন্ত্রণ, আকাশসীমা বন্ধ করা— এসব পদক্ষেপ দুই দেশের মধ্যে আস্থা ও সম্পর্কের চরম অবনতি ঘটিয়েছে। দুই দেশের মধ্যে শান্তি ও স্থিতিশীলতা বজায় রাখতে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কেও এখন ভূমিকা নিতে হতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
সূত্র : বিবিসি