বগুড়ায় প্রেমিকের সঙ্গে ঝগড়ার জেরে আত্মহত্যা করেছে নাহিদা খাতুন নামের একজন তরুণী। প্রেমিকার মরদেহ দেখে হাসপাতাল ভবন থেকে লাফিয়ে পড়ে আত্মহত্যার চেষ্টা চালিয়ে ব্যর্থ হয়েছে প্রেমিক জাকারিয়া হাসান । তার দুই হাঁটু ভেঙে গেছে। রোববার রাতে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে এ ঘটনা ঘটেছে।
আহত জাকারিয়া কুষ্টিয়া সদরের দহকুলা গ্রামের রুহুল আমিনের ছেলে। আর বিষাক্ত গ্যাস ট্যাবলেট সেবন করে মারা যাওয়া নাহিদা খাতুন জয়পুরহাটের আক্কেলপুর থানার রায়কালী গ্রামের আক্তার হোসেন বাবুর মেয়ে। সে বগুড়া বিয়াম মডেল স্কুল অ্যান্ড কলেজের প্রথম বর্ষের ছাত্রী ছিলেন।
পুলিশ জানিয়েছে, কিছুদিন আগে ফেসবুকে পরিচয় হয় জাকারিয়া ও নাহিদা খাতুনের। পরিচয় এক পর্যায়ে প্রেমের সস্পর্কে রূপ নেয়। জাকারিয়া রোববার কুষ্টিয়া থেকে বগুড়ায় এসে প্রেমিকার সঙ্গে দেখা করেন। এক পর্যায় তাদের মধ্যে ঝগড়া হয়। নাহিদা বগুড়া বিয়াম মডেল স্কুল অ্যান্ড কলেজে লেখাপড়া করার কারণে শহরের বৃন্দাবন পাড়ায় সানজিদা ছাত্রী নিবাসে থাকেন। ছাত্রী নিবাসে ফিরে তিনি বিষাক্ত গ্যাস ট্যাবলেট সেবন করে। পরে অসুস্থ হয়ে পড়লে বান্ধবীরা তাকে হাসপাতালে নিয়ে যায়।
প্রেমিকার অনুস্থতার খবর পেয়ে হাসপাতালে ছুটে যান জাকারিয়া। নাহিদার পরিবারের সদস্যরাও সন্ধ্যার মধ্যেই হাসপাতালে আসেন। চিকিৎসাধীন অবস্থায় সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় মারা যান নাহিদা। রাত সাড়ে ৯টার দিকে হাসপাতালের চতুর্থতলা থেকে লাফ দিয়ে আত্নহত্যার চেষ্টা চালিয়ে ব্যর্থ হয় জাকারিয়া। খবর পেয়ে মেডিকেল ফাঁড়ি পুলিশ তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করে। তার দুই পায়ের হাটুঁ ভেঙে গেছে। এছাড়া শরীরের বিভিন্ন জায়গায় আঘাত পেয়েছে।
বগুড়া সদর থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) আবুল কালাম আজাদ বলেন, প্রেমিক-প্রেমিকা ঝগড়া করে একজন আত্মহত্যা করেছেন। আরেকজন আত্মহত্যার উদ্দেশ্যে চারতলা থেকে লাফ দিয়ে নিচে পড়লেও প্রাণে বেঁচে গেছেন। নাহিদার মরদেহ পুলিশ উদ্ধার করেছে।