২০১৯ সালের জুলাই মাসে সংস্কার শুরু হয় বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামের। ৮০ কোটি টাকা ব্যয়ে প্রকল্পের কাজ শেষ হওয়ার কথা ওই বছরের ৩১শে ডিসেম্বরের মধ্যে। কাজ চলকালীন যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের নির্দেশে স্টেডিয়াম সংস্কার পরিকল্পনায় পরিবর্তন আনে জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ (এনএসসি)। নতুন পরিকল্পনায় বাজেট বেড়ে দাঁড়ায় ৯৮ কোটি টাকা এবং সংস্কার শেষ করার সময় নির্ধারণ করা হয় ২০২২ সালের জুন। পরে সময় বাড়িয়ে সেটা ওই বছরের ডিসেম্বর পর্যন্ত করা হয়। ডিসেম্বর শেষ হয়ে ২০২৩ সালের ডিসেম্বর সন্নিকটে। কিন্তু এখনও সংস্কার কাজ শেষ হয়নি। এজন্য ভুল পরিকল্পনাকে দায়ী করছেন প্রকল্প পরিচালক। তারমতে ভুল পরিকল্পনার জন্য ৬০ কোটি টাকা বেশি লাগছে স্টেডিয়াম সংস্কারে।
বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়াম সংস্কার কাজ চলমান থাকায় দীর্ঘদিন ধরে এখানে বন্ধ জাতীয় দলের খেলা। শুধু তাই নয়, বিশ্বকাপ জয়ী আর্জেন্টিনার বাংলাদেশ আসার কথা থাকলেও শুধুমাত্র স্টেডিয়াম প্রস্তুত না থাকায় নষ্ট হয় সে সম্ভাবনাও।
স্টেডিয়াম সংস্কারের কারণে অ্যাথলেটিক্স তাদের জাতীয় প্রতিযোগিতা অন্যত্র আয়োজনে হিমশিম খাচ্ছে। এ কারণেই দ্রুত স্টেডিয়ামটির বুঝে চান ফেডারেশনগুলো। বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়াম সংস্কারের জন্য ২০১৭ সালে যখন প্রথম ডিপিপি (ডেভেলপমেন্ট প্রজেক্ট প্রপোজাল) তৈরি করে এনএসসি, তখন এর ব্যয় ধরা হয়েছিল ৮০ কোটি টাকার মতো। পরে যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের নির্দেশে নতুন পরিকল্পনায় বাজেট বেড়ে দাঁড়ায় ৯৮ কোটি টাকা। ৯৮ কোটি টাকায় স্টেডিয়ামের সৌন্দর্য বদলে দেওয়ার পরিকল্পনা থাকলেও সেই টাকায় আর হচ্ছে না। এনএসসি স্টেডিয়াম সংস্কার শেষ করার জন্য আরও ৫৭ কোটি টাকা বাড়তি চেয়েছে অর্থ মন্ত্রণালয়ের কাছে। বর্ধিত বাজেট পাস হলে স্টেডিয়াম সংস্কারের খরচ বেড়ে দাঁড়াবে ১৫৫ কোটি টাকা।
প্রকল্প শেষ করার নতুন সময় নির্ধারণ করা হয়েছে ২০২৪ সালের জুন। তবে এখানেও আছে দীর্ঘসূত্রতা। শুরুতেই সঠিক পরিকল্পনা করে চলতে পারলে বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়াম সংস্কার কাজে দীর্ঘসূত্রিতা হতো না বলে মন্তব্য করেছেন প্রকল্প পরিচালক শামছুল আলম। তিনি বলেন, ‘প্রথমেই পরিকল্পনা করতে পারলে অবশ্যই ভালো হতো। যেহেতু পরিকল্পনা সেভাবে ছিল না, সেজন্য আমাদের এক বছর সময় বেশি লাগছে। এটি স্বীকার করতে দোষ নেই। আমাদের পরবর্তী পরিকল্পনার বিষয়ে একনেকে অনুমোদনের জন্য পাঠানো হয়েছে। সেখান থেকে অনুমতি পেলে আমরা আশা করছি, নির্ধারিত সময়ের মধ্যে কাজটি শেষ করতে পারবো।’ নতুন পরিকল্পনায় ২০২৪ সালের জুলাইয়ে শেষ হবে সংস্কার কাজ।