স্কোরবোর্ডে মাত্র ১১০ রান। কন্ডিশন যেমনই হোক, টি-টোয়েন্টি ম্যাচে এত অল্প রানের পুঁজি নিয়ে জেতা প্রায় অসম্ভব। বাংলাদেশ দলের বোলাররা অবশ্য সেই অসম্ভব কিছু করে দেখানোর চেষ্টাই করেছেন। শরীফুল-মেহেদীরা নিউজিল্যান্ডের ৫ উইকেট তুলে নিয়ে ৩ ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজের শেষ ম্যাচটায় ফিরিয়ে এনেছিলেন রোমাঞ্চ।
শেষ পর্যন্ত কিউইরা ডিএলএস আইনে ১৭ রানে জিতলেও প্রশংসিত হয়েছে বাংলাদেশ দলের বোলারদের পারফরম্যান্স। ম্যাচ শেষে বাংলাদেশ দলের অধিনায়ক নাজমুল হোসেন পুরস্কার মঞ্চে এসে শরীফুল ইসলাম-মোস্তাফিজুর রহমানদের পারফরম্যান্স নিয়ে বললেন, ‘আজ আমাদের বোলাররা খুব ভালো করেছে। তবে ব্যাটসম্যানরা যথেষ্ট রান করেনি।’
ম্যাচের ভাগ্য নির্ধারণ হয়ে গেছে বাংলাদেশ দলের ব্যাটিং ব্যর্থতায়। ইনিংসের ১১তম ওভারের মধ্যেই প্রথম ৫ উইকেট হারিয়ে ম্যাচ থেকে ছিটকে পড়ে বাংলাদেশ। দলের রান তখন ৬৮। সেখান থেকে টেনেটুনে বাংলাদেশের রানটা গিয়েছে এক শ’র ওপারে। শীর্ষ আট ব্যাটসম্যানের মধ্যে পাঁচজনই দুই অঙ্কের ঘরে গিয়ে আউট হয়েছেন।
নাজমুলের হতাশার কারণ এটাই, ‘হ্যাঁ (খুব বেশি উইকেট পড়েছে শুরুতে)। টি-টোয়েন্টিতে শুরুটা খুব গুরুত্বপূর্ণ। আমাদের ব্যাটাররা আজ শুরু করেছে, কিন্তু ১৫ থেকে ১৭ রানের বেশি করতে পারেনি। কিন্তু কেউই ম্যাচটাকে গভীরে নেয়নি। এই ভুলটা আজ আমরা করেছি।’
নিউজিল্যান্ড শেষ ম্যাচটা জিতলেও তাদের সিরিজ জিততে দেয়নি বাংলাদেশ দল। নেপিয়ারে প্রথম ম্যাচে কিউইদের হারানোর পর মাউন্ট মঙ্গানুইয়ের দ্বিতীয় ম্যাচটি বৃষ্টিতে পরিত্যক্ত হয়। আজ একই ভেন্যুতে শেষ ম্যাচটা নিউজিল্যান্ড জেতায় সিরিজ হয়েছে ড্র। এটি নিউজিল্যান্ডের মাটিতে যেকোনো সংস্করণ প্রথম সিরিজ ড্র বাংলাদেশের।