1. shahajahanbabu@gmail.com : admin :
হাঁটু মচকে গেলে যা করবেন - Pundro TV
শুক্রবার, ০৩ মে ২০২৪, ০৩:০১ পূর্বাহ্ন



হাঁটু মচকে গেলে যা করবেন

অনলাইন ডেস্ক
  • প্রকাশিতঃ শনিবার, ১৫ জুলাই, ২০২৩

হাঁটু হলো একটি গুরুত্বপূর্ণ অস্থিসন্ধি। দৈনন্দিন জীবনে উঠতে-বসতে, চলতে-ফিরতে হাঁটুর ভূমিকা অপরিহার্য। এ জন্য হাঁটুকে শরীর বহনের বা চালানোর চাকাও বলা হয়। হাঁটুর জোড়া খুবই গুরুত্বপূর্ণ। হাঁটু জোড়া তিনটি হাড়ের সমন্বয়ে গঠিত। হাঁটুতে চারটি প্রধান লিগামেন্ট ও দুইটি  মেনিসকাস (তরুণাস্থি) থাকে। লিগামেন্ট হলো ইলাসটিক টিস্যু যা এক হাড়কে অন্য হাড়ের সঙ্গে যুক্ত করে, জোড়ায় শক্তি প্রদান করে, হাড়ের নড়াচড়ায় অংশগ্রহণ করে এবং জোড়ার স্থিতিশীলতা বজায় রাখে। মেনিসকাস শরীরের ওজন সমভাবে উরুর হাড় থেকে পায়ের হাড়ে সরবরাহ করে, হাড়ের প্রয়োজনীয় নড়াচড়ায় সহায়তা করে এবং জোড়ার দৃঢ় অবস্থা বজায় রাখে। মচকানো (টুইসটিং) আঘাতে হাঁটুর লিগামেন্ট ও মেনিসকাস ইনজুরি হয়ে থাকে। মচকানো ইনজুরিতে লিগামেন্ট বিস্তৃত হতে পারে এবং আংশিক বা সম্পূর্ণ ছিঁড়ে যেতে পারে।

হাঁটুর মচকানোর জন্য মেনিসকাসের বিভিন্ন ধরনের ইনজুরি ছাড়াও  মেনিসকাস আংশিক বা সম্পূর্ণ টিয়ার হতে পারে। ৭০ শতাংশ ব্যক্তির এনটেরিওর ক্রুসিয়েট লিগামেন্ট ইনজুরির সঙ্গে  মেনিসকাস ইনজুরি থাকে।

 

মচকানোর কারণসমূহ:
দৈনন্দিন জীবনে কোনো কাজ করতে গেলে হঠাৎই কোনো দুর্ঘটনা যেমন- মই  থেকে পড়ে যাওয়া বা উপর থেকে পড়ে যাওয়া, গর্তে পড়ে যাওয়া এমন কি  সিঁড়ি দিয়ে নামার সময়   স্টেপ ভুল করলে অনেক সময় হাঁটু মচকে যেতে পারে। আবার হঠাৎ মচড়ানো গতি, কোনো আঘাত, রিকশা থেকে বা যানবাহন থেকে পড়ে  গেলে, যানবাহন দুর্ঘটনা, ফুটবল, ক্রিকেট, বাস্কেটবল, কাবাডি, হকি ও হা-ডু-ডু খেলোয়াড়দের মাঝে হাঁটুর মচকানো ইনজুরিতে লিগামেন্ট ও  মেনিসকাস টিয়ার হয়। হাঁটু মচকে গেলে অবহেলায় পঙ্গুত্ববরণ করতে হয়। তাই এর যথাযথ চিকিৎসা প্রয়োজন।

হাঁটুর ইনজুরির লক্ষণসমূহ:
* উঁচু-নিচু  স্থানে হাঁটা যায় না, সিঁড়ি দিয়ে ওঠানামা করতে এবং বসলে উঠতে কষ্ট হয়।
* বেশিক্ষণ বসলে হাঁটু সোজা করতে কষ্ট হয়।
* দাঁড়াতে বা হাঁটতে চেষ্টা করলে মনে হবে হাঁটু ছুটে যাচ্ছে বা বেঁকে যাচ্ছে।
* আঘাতের প্রথম ১০ মিনিটের মধ্যেই হাঁটু ফুলে যায়।
* ব্যথা হাঁটুর বাহির পার্শ্বে এবং পেছনে অনুভূত হবে।
* প্রথমে তীব্র ব্যথা পরে আস্তে আস্তে ব্যথা কমে আসে।
* হাঁটু ভাঁজ বা সোজা করতে গেলে ব্যথা বেড়ে যায়।
* ফুলা ও ব্যথার জন্য হাঁটু নড়াচড়া করা যায় না।
* আঘাতের সঙ্গে সঙ্গে ব্যক্তি ‘পপ’ বা ‘ক্র্যাক’ শব্দ শুনতে বা বুঝতে পারবে।
* অনেক সময় হাঁটু আটকে যায়, রোগী হাঁটুকে নড়াচড়া করে সোজা করে।
* হাঁটু অস্থিতিশীল বা ছুটে বা ঘুরে যাচ্ছে, এরকম মনে হবে।

যা করতে হবে:
আঘাত বা মচকে যাওয়া যাই হোক মোটেও অবহেলা করা যাবে না। প্রাথমিকভাবে হাঁটুকে পূর্ণ বিশ্রামে রাখতে হবে। জায়গাটিতে ঠাণ্ডা সেঁক  দেবেন। একটি কাপড়ে বরফের টুকরো দিয়ে অথবা একটি প্লাস্টিকের ব্যাগে ফ্রিজের ঠাণ্ডা পানি দিয়ে ব্যথা ও ফোলার জায়গায় চেপে রাখুন, এতে ব্যথা ও ফোলা কমে যাবে। প্রতি ঘণ্টায় ১০ মিনিট বা দুই ঘণ্টা পর পর ২০ মিনিট অনবরত লাগাবেন। তবে ঠাণ্ডা অবশ্যই সহ্যের মধ্যে হতে হবে। এই পদ্ধতি আঘাতের ৪৮  থেকে ৭২ ঘণ্টা পর্যন্ত চলবে।  হাঁটুতে ইনসটো কমপ্রেশন ব্যবহার করলে ব্যথা ও ফোলা কমে যাবে। হাঁটুর নিচে বালিশ দিয়ে হাঁটুকে হৃৎপি-ের সমরেখা  থেকে উঁচুতে রাখবেন। এতে ফোলা কমবে। কম আঘাত বা বেশি আঘাত যাই হোক, ঝুঁকি এড়াতে রোগীকে হাসপাতালে গিয়ে চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে। এক্স-রে করতে হবে এবং রোগীকে অবশ্যই একজন আর্থোপেডিক্স চিকিৎসকের পরামর্শে চলতে হবে।

সংবাদটি শেয়ার করুন

এ সম্পর্কিত আরো সংবাদ
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত ২০২২
Developed By ATOZ IT HOST