মানুষের বেঁচে থাকার জন্য খাদ্য অত্যাবশ্যকীয় হওয়া সত্ত্বেও বিশ্বে এখনো প্রায় ১০০ কোটি মানুষ ক্ষুধা-অনাহারে ভুগছে। খাদ্যের অভাবে অপুষ্টি ও নানা অসুখ-বিসুখে আক্রান্ত হচ্ছে। এরপরও সেই খাবার অপচয় হচ্ছে।
গত মার্চ মাসের ২৭ তারিখে জাতিসংঘের পরিবেশ সংস্থা (ইউএনইপি) বিশ্বের খাদ্য অপচয়-সংক্রান্ত একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। এই প্রতিবেদন অনুযায়ী, সারা বিশ্বে প্রতে্যক মানুষ গড়ে বছরে গৃহস্থালিতে ৭৯ কেজি খাবার অপচয় বা নষ্ট করে। এই অপচয়ের হার বাংলাদেশে ৮২ কেজি। এটা পৃথিবীর উন্নত দেশের তুলনায় অনেক বেশি।
সংবাদটি অনেককেই বিস্মিত করেছে। কারণ, যে দেশে এখনো অনেক মানুষ তিন বেলা পেট ভরে খেতে পায় না, একটু সস্তায় খাবার কেনার জন্য ঘণ্টার পর ঘণ্টা টিসিবির ট্রাকের জন্য অপেক্ষায় থাকে, গ্রামের মানুষ বাড়ির আশপাশ থেকে শাক, লতা-পাতা কুড়িয়ে এনে খায়—সে দেশের মানুষের পক্ষে গৃহস্থালিতে খাবার নষ্ট করা একটি বিলাসিতা।গরিব মানুষের পক্ষে সত্যিই এ রকম বিলাসিতা করার সুযোগ আছে কি না, এটা চিন্তাভাবনা করে দেখার বিষয়। সংবাদটি বাংলাদেশে ফলাও করে প্রচার করা হয়েছে এবং এ বিষয়ে সম্পাদকীয়ও লেখা হয়েছে।