কৃষ্ণসাগর দিয়ে ইউক্রেনের খাদ্যশস্য রপ্তানি অব্যাহত রাখার ব্যাপারে এখনো কোনো সমঝোতা হয়নি বলে ঘোষণা করেছে রাশিয়া।
রুশ উপপররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই ভারশিনিন শনিবার মস্কোয় এ তথ্য জানান। তিনি বলেন, রাশিয়ায় উৎপাদিত খাদ্যশস্য ও রাসায়নিক সার বিশ্ববাজারে সরবরাহ করার জন্য মস্কো সম্পূর্ণ প্রস্তুত রয়েছে। খবর আনাদোলুর।
রুশ মন্ত্রী বলেন, গত সপ্তাহে জেনেভায় জাতিসংঘের পদস্থ কর্মকর্তাদের সঙ্গে তার আলোচনা ফলপ্রসূ হলেও ইউক্রেনের খাদ্যশস্য রপ্তানির খুঁটিনাটি বিষয়ে এখনো কোনো সমঝোতায় পৌঁছা সম্ভব হয়নি।
ভারশিনিন বলেন, যতদিন পর্যন্ত রাশিয়ার রাষ্ট্রীয় ব্যাংককে আন্তর্জাতিক লেনদেন ব্যবস্থা সুইফটের সঙ্গে আবার সংযুক্ত করা না হচ্ছে, ততদিন এ আলোচনায় কোনো অগ্রগতি হওয়ার আশা নেই।
রাশিয়া ইউক্রেনে সামরিক অভিযান শুরু করার পর পশ্চিমা দেশগুলো সুইফট থেকে রাশিয়ার সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেয়।
জাতিসংঘের পক্ষ থেকে প্রকাশিত পরিসংখ্যানে জানা গেছে, গত জুলাই মাসে কৃষ্ণসাগর দিয়ে ইউক্রেনের খাদ্যশস্য রপ্তানি করার উদ্যোগ নেওয়ার পর থেকে এ পর্যন্ত প্রায় এক কোটি টন শস্য ও অন্যান্য কৃষিজাত পণ্য রপ্তানি হয়েছে।
রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধে পশ্চিমা পদক্ষেপ সত্ত্বেও তুরস্ক ইউক্রেনে শান্তি আলোচনা চায় বলে জানিয়েছেন তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়্যেব এরদোগান।
শনিবার উজবেকিস্তানের সমরকন্দে একটি আঞ্চলিক সম্মেলন থেকে দেশে ফেরার পথে সাংবাদিকদের কাছে এ কথা বলেন এরদোগান।
তুরস্কের প্রেসিডেন্ট বলেছেন, আমেরিকা এবং তার পশ্চিমা মিত্ররা জোট বদ্ধভাবে রাশিয়ার ওপরে কোনো সীমাপরিসীমা ছাড়াই হামলা চালাচ্ছে। আর এ কারণেই রাশিয়ার পক্ষ থেকে স্বাভাবিক প্রতিক্রিয়া দেখা যাচ্ছে।
তিনি বলেন, রাশিয়া কোনো সাধারণ দেশ নয়, সামরিক দিক দিয়ে অত্যন্ত শক্তিশালী দেশ। পুরো পশ্চিমা জগতের বিরুদ্ধে রাশিয়া যে প্রতিরোধ গড়ে তুলেছে তিনি তার প্রশংসা করেন।
এরদোগান বলেন, “পশ্চিমারা বিশেষ করে আমেরিকা কোনো রকমের সীমা ছাড়াই রাশিয়ার বিরুদ্ধে আক্রমণ করছে। রাশিয়াও এই হামলার বিরুদ্ধে দারুণভাবে প্রতিরোধ গড়ে তুলেছে।”
তুর্কি প্রেসিডেন্ট বলেন, “রাশিয়া এবং ইউক্রেনের মধ্যে যে সংঘর্ষ চলছে তাতে তিনি মধ্যস্থতা করার প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখবেন। এ সময় তিনি রাশিয়া এবং ইউক্রেনের মধ্যকার খাদ্য রপ্তানি চুক্তি ভেঙে যাওয়া এবং পরবর্তীতে আবার তা চালু করার বিষয়ে তুরস্কের ভূমিকার কথা উল্লেখ করেন।
তুরস্কের প্রেসিডেন্ট বলেন, এই খাদ্যশস্য রপ্তানি চুক্তি থেকে কৃষ্ণ সাগরের একটি ‘শান্তি করিডোর’ স্থাপন করা যায় এবং এ ব্যাপারে আঙ্কারা চেষ্টা চালাচ্ছে।
তিনি বলেন, রাশিয়া এবং ইউক্রেনের মধ্যে সংলাপ থেকে শান্তির ব্যবস্থা করাই হবে এর উদ্দেশ্য।
ইউক্রেন এবং রাশিয়ার মধ্যকার চলমান সংঘাতে তুরস্ক দৃশ্যত নিরপেক্ষ অবস্থান নিয়েছে।