1. shahajahanbabu@gmail.com : admin :
ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসিকে ফোনালাপে যা বললেন পুতিন - Pundro TV
বুধবার, ০৮ মে ২০২৪, ০২:৪৯ অপরাহ্ন



ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসিকে ফোনালাপে যা বললেন পুতিন

পুন্ড্র.টিভি ডেস্ক
  • প্রকাশিতঃ রবিবার, ১৩ নভেম্বর, ২০২২

ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসি শনিবার টেলিফোনে রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে আলাপ করেছেন।

এ সময় ইরানের প্রেসিডেন্ট বলেছেন, রাশিয়ার সঙ্গে তার দেশের রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক সম্পর্ক জোরদার হলে তা দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক শক্তিশালী করার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।

তিনি তেহরানের সঙ্গে অর্থনৈতিক সহযোগিতা বাড়ানোর লক্ষ্যে মস্কোর নেওয়া উদ্যোগকে স্বাগত জানান। খবর আনাদোলুর।

রাইসি বলেন, ইউরেশীয় দেশগুলোর মধ্যে সংযোগ সড়কের উন্নয়নসহ অবকাঠামোগত বন্ধনের সম্প্রসারণ এ অঞ্চলে বাণিজ্য ও অর্থনৈতিক সহযোগিতা বাড়াবে।

এ সময় পুতিন বলেন, নর্থ-সাউথ করিডোর পণ্য পরিবহণের খরচ কমাতে কার্যকর ভূমিকা পালন করবে এবং ট্রানজিট রুটটি বিশ্বে বাণিজ্যিক ও অর্থনৈতিক সহযোগিতা সম্প্রসারণের জন্য একটি কার্যকর উপায়ে পরিণত হবে।

রুশ প্রেসিডেন্ট বলেন, ইরান ও রাশিয়ার মধ্যে সহযোগিতা শক্তিশালী করার বহু ক্ষেত্র রয়েছে।

শনিবার ক্রেমলিন এক বিবৃতিতে বলেছে, ইরান ও রাশিয়ার প্রেসিডেন্টরা তাদের ফোনালাপে রাজনৈতিক, বাণিজ্যিক ও অর্থনৈতিক ক্ষেত্রের পাশাপাশি পরিবহণ এবং লজিস্টিক খাতে দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতা আরও গভীর করার ওপর জোর দিয়েছেন।

অপরদিকে,

ইউক্রেনের খেরসন শহর থেকে রাশিয়া তাদের সেনা প্রত্যাহার করার পর সেখানকার মানুষ ইউক্রেনীয় সেনাদের উল্লাস করে স্বাগত জানিয়েছেন। এছাড়া ইউক্রেনজুড়ে বিজয়োল্লাস করেছেন দেশটির জনগণ।

একটি ভিডিওতে দেখা যায়, খেরসন শহরের মানুষ ইউক্রেনের পতাকা হাতে রাস্তায় নেমে এসেছেন। ইউক্রেনীয় সেনাদল শহরে ঢোকার পর স্লোগান দিয়ে তাদের স্বাগত জানান তারা। বড় আগুনের কুণ্ডলীর চারপাশে জড়ো হয়ে লোকজনকে সারা রাত ধরে দেশাত্মবোধক গান গাইতেও দেখা যায়।

মস্কো জানিয়েছে, খেরসন থেকে তারা ৩০ হাজার সেনা প্রত্যাহার করে নিয়েছে। সেইসঙ্গে সেখান থেকে প্রায় ৫ হাজার সামরিক সরঞ্জাম, অস্ত্রশস্ত্র এবং অন্যান্য জিনিসও তারা সরিয়ে নিয়েছে।

যুক্তরাষ্ট্র রাশিয়ার এই পশ্চাৎপসরণকে এক ‘অসাধারণ বিজয়’ বলে বর্ণনা করেছে। অন্যদিকে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কি এটিকে তার দেশের জন্য এক ‘ঐতিহাসিক দিন’ বলে বর্ণনা করেন।

তবে ইউক্রেনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেছেন, তাদের যুদ্ধ অব্যাহত থাকবে। কম্বোডিয়ায় আসিয়ান দেশগুলোর শীর্ষ সম্মেলনে গিয়ে দিমিত্রি কুলেবা বলেন, “আমরা যুদ্ধের ময়দানে জয়লাভ করছি। কিন্তু যুদ্ধ চলবে।”

শুক্রবার সন্ধ্যা পর্যন্ত পাওয়া খবরে বলা হচ্ছিল- ইউক্রেনের সেনারা নিপ্রো নদীর একেবারে পশ্চিম তীর পর্যন্ত চলে এসেছে। ছবিতে দেখা যাচ্ছে এই নদী পার হওয়ার প্রধান একটি সেতু, আন্তোনিভস্কি সেতু আংশিক ধসে গেছে। কিভাবে এই সেতুটি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে সেটা পরিষ্কার নয়।

যে রুশ সেনারা খেরসন দখল করে নিয়েছিল, তারা এখন নদীর পূর্বদিকে চলে গেছে বলে মনে করা হচ্ছে। খেরসনের একজন বাসিন্দা রুশ সেনারা চলে যাওয়ার পর সেখানকার পরিস্থিতির বর্ণনা দিতে গিয়ে বলেন, সেখানে লোকজন রাস্তায় নেমে আবেগে গান গাইছেন, নাচছেন।

আলেক্সি সানদাকভ বিবিসিকে বলেন, খেরসন এখন মুক্ত। সবকিছু এখন বদলে গেছে। সবাই আজ সকাল থেকে কাঁদছে। শহরে আসা ইউক্রেনীয় সেনাদের সবাই আলিঙ্গন করতে চাইছে।

রাশিয়ার অধিকৃত এলাকাগুলোতে যে গণভোটের আয়োজন করা হয়, তারপর হতে ক্রেমলিন খেরসনকে নিজেদের দেশের অংশ বলে দাবি করছিল।

রাশিয়া খেরসন হতে তাদের সেনা প্রত্যাহারের ঘোষণা দিয়েছিল গত বুধবার। তারা বলেছিল, এ শহরে আর রসদ সরবরাহ করা যাচ্ছিল না। বৃহস্পতিবার সেখানে রুশ সৈন্যদের সেরকম পিছু হটার দৃশ্য চোখে পড়েনি। কিন্তু শুক্রবার ঘটনা ঘটতে থাকে বেশ দ্রুত।

খেরসনের ফ্রিডম স্কোয়ারে ইউক্রেনের পতাকা দুলিয়ে ভিড় করেন বহু বেসামরিক মানুষ। তারা ইউক্রেনের সেনাদের স্লোগান দিয়ে স্বাগত জানাচ্ছিল।

এদিকে রাশিয়ায় অবশ্য খেরসন থেকে পিছু হটে আসার এ ঘটনার গুরুত্বকে খাটো করে দেখানোর চেষ্টা করছে ক্রেমলিন। তারা সেখান থেকে রুশ সেনাদের প্রত্যাহারের ঘটনাকে ‘নতুন করে মোতায়েন’ বলে বর্ণনা করছে।

সংবাদটি শেয়ার করুন

এ সম্পর্কিত আরো সংবাদ
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত ২০২২
Developed By ATOZ IT HOST