ইউক্রেনে যুদ্ধের পরিপ্রেক্ষিতে মস্কোর ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপের ফলে ইউরোপ ‘অর্থনৈতিক আত্মহত্যা’ করতে বাধ্য হবে বলে মন্তব্য করেছেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন।
মঙ্গলবার রাশিয়ার জ্বালানির ওপর নিষেধাজ্ঞার প্রভাব নিয়ে দেশের জ্বালানিবিষয়ক প্রধান এবং অন্যান্য কর্মকর্তার সঙ্গে আলোচনায় রুশ প্রেসিডেন্ট এসব কথা বলেন। খবর আলজাজিরার।
প্রতিবেদন অনুযায়ী, রুশ প্রেসিডেন্ট মন্তব্য করেছেন— বর্তমানে তেল খাত একটি টেকটোনিক পরিবর্তনের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে।
পুতিন বলেন, রাশিয়ান শক্তি সরবরাহ পর্যায়ক্রমে বন্ধ করার চেষ্টা করে ইউরোপ কেবল নিজেদের ক্ষতি করবে। তারা কর্মের ফলস্বরূপ শক্তির দাম এবং উচ্চমূল্যস্ফীতি দেখতে পাবে।
রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট অভিযোগ করে বলেন, ইউক্রেনে বিশেষ অভিযানের পর পশ্চিমারা যে অবরোধ দিয়েছে তা রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে। পুতিন বলেন, কিছু দেশ রাশিয়ার জ্বালানির ওপর ব্যাপকভাবে নির্ভরশীল, তাদের জন্য রুশ তেলে অবরোধ মানা কঠিন হবে।
গত ২৪ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনে সৈন্য পাঠায় ক্রেমলিন। এর পর থেকে পশ্চিমা বিশ্ব রাশিয়ার বিরুদ্ধে নজিরবিহীন নিষেধাজ্ঞা চালু করেছে।
এমন অবস্থায় বন্ধুত্বপূর্ণ দেশগুলোতে তেল ও গ্যাস সরবরাহ পুনঃনির্দেশিত করার আশা করছেন পুতিন। কারণ ইউরোপীয় দেশগুলো রাশিয়ান শক্তি থেকে নিজেদের মুক্ত করার উপায় খুঁজছে।
রুশ প্রেসিডেন্ট বলেন, ইউরোপের বিশৃঙ্খল পদক্ষেপ কেবল তার নিজস্ব অর্থনীতিকেই ক্ষতিগ্রস্ত করছে না; একই সঙ্গে রাশিয়ার জন্য তেল ও গ্যাস থেকে রাজস্ব বৃদ্ধির দিকে নিয়ে যাচ্ছে।
রাশিয়া গত ২৪ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনে ‘বিশেষ সামরিক অভিযান’ চালানোর ঘোষণা দেয়। মস্কো ঘোষণা করে, এই সামরিক অভিযানের অর্থ যুদ্ধ নয় বরং বিশ্বব্যাপী একটি সম্ভাব্য যুদ্ধ প্রতিহত করার লক্ষ্যে এ সামরিক অভিযান চালানো হচ্ছে।