বরগুনার বেতাগীতে প্রেমিকের বাড়িতে অবস্থান নেয়া সেই তরুণীকে গ্রেপ্তার করেছে বেতাগী থানা পুলিশ। প্রেমিক মাহমুদুলের বাড়িতে টানা ১১দিন ধরে অবস্থান নিয়েছিলেন জামালপুরের তরুণী শিখা আক্তার মৌ।
আজ শুক্রবার সকালে তাকে গ্রেপ্তারের পর আদালতে পাঠানো হয়। বেতাগী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহ আলম বিষয়টি নিশ্চিত করেন এবং বলেন, বিয়ের দাবিতে বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়া মাহমুদুল হাসানের ভাড়া বাসায় অবস্থান নেয়া তরুণীকে শুক্রবার সকালে গ্রেপ্তারের পর আদালতে পাঠানো হয়েছে।
এর আগে ১০ই মে মাহমুদুল হাসানের বাবা মোশাররফ হোসেন খান তরুণীর বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগ দেন। অভিযোগ আমলে নিয়ে ওইদিনই বেতাগী থানার ওসি শাহ আলমকে আইনগত ব্যবস্থা নেয়ার নির্দেশ দেন বরগুনার মুখ্য বিচারিক হাকিম আদালতের বিচারক মুহাম্মদ মাহবুব আলম। একই সঙ্গে এক সপ্তাহের মধ্যে আদালতে প্রতিবেদন দাখিলেরও নির্দেশ দেন তিনি।
গত ২৮শে এপ্রিল নিজেকে বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রী দাবি করা এক তরুণী বেতাগী উপজেলার চান্দখালী বাজারের কাঠপট্টি এলাকার বকুল ভিলায় বিয়ের দাবিতে অবস্থান নেন। তখন তিনি দাবি করেন, ওই বাড়ির মাহমুদুল হাসানের সঙ্গে তার ঢাকায় পরিচয়। পরে তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক হলে তারা স্বামী-স্ত্রী পরিচয়ে তিন বছর ঢাকার বিভিন্ন এলাকায় বাসা ভাড়া নিয়ে থাকতেন। এখন মাহমুদুল তাকে বিয়ে করতে রাজি না হওয়ায় তিনি ওই বাড়িতে অবস্থান নিয়েছেন। এরপর সারাদেশে আলোচিত হতে থাকে তার প্রতিদিনকার বক্তব্য।
এদিকে, গত ২রা মে তালা ভেঙে সেই তরুণীকে প্রেমিকের ঘরে ঢুকিয়ে দেন এলাকাবাসী। সেদিন দুপুরের পর চান্দখালী ইউনিয়নের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান হারুন অর রশিদ সোনা মোল্লার উপস্থিতিতে এলাকার অর্ধশত মানুষ তালা ভেঙে তাকে ঘরে ঢুকিয়ে দেন
এরপর থেকে ওই তরুণী সেখানেই অবস্থান করছিলো।