1. shahajahanbabu@gmail.com : admin :
ট্রেনের টিকিট যেন ‘সোনার হরিণ’, রাতদিন অপেক্ষা - Pundro TV
মঙ্গলবার, ১০ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৯:১২ পূর্বাহ্ন



ট্রেনের টিকিট যেন ‘সোনার হরিণ’, রাতদিন অপেক্ষা

পুন্ড্র.টিভি ডেস্ক
  • প্রকাশিতঃ সোমবার, ২৫ এপ্রিল, ২০২২

শনিবার রাত ৩টা। মানুষে ঠাসা কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশন কাউন্টার চত্বর। সেখান থেকে সড়কে ঠেকেছে টিকিট প্রত্যাশীদের লাইন। গোটা এলাকা লোকে লোকারণ্য। অধিকাংশ লোক সেহরি খাওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন। সঙ্গে আনা খাবার ভাগাভাগি করে খাচ্ছিলেন তারা। সংশ্লিষ্টরা জানালেন, মধ্যরাত থেকে শুরু করে সারা দিন ঘণ্টার পর ঘণ্টা লাইনে দাঁড়িয়েও অধিকাংশের কপালে জুটছে না ট্রেনের টিকিট। এ যেন ‘সোনার হরিণে’ পরিণত হয়েছে। কারণ, শুধু সমগ্র পশ্চিমাঞ্চলের জন্য আন্তঃনগর (আটটি ট্রেন) ট্রেনের টিকিট দেওয়া হচ্ছে কমলাপুর থেকে। একেকটি ট্রেনে গড়ে ৭০০ টিকিট হলে, সেই সংখ্যা দাঁড়ায় ৫৬০০টিতে।  লাইনে দাঁড়ানো ৯৫ শতাংশ লোকই গড়ে চারটি করে টিকিট কাটেন। সেই হিসাবে মাত্র ৭০০ লোক টিকিট পাওয়ার কথা। কিন্তু, রাত ৩টায় স্টেশনে লোকের সংখ্যা ছিল ১২ থেকে ১৫ হাজার। তা সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত এ সংখ্যা বেড়ে দাঁড়ায় ২৫ থেকে ৩০ হাজারে।

শনিবার রাতে ও রোববার সকালে সরেজমিন ঘুরে ও সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে আলাপ করে পাওয়া গেছে এসব তথ্য। আরও জানা গেছে, এবার ঈদযাত্রায় ট্রেনের ওপর চাপ পড়বে ভয়াবহ। গত দু’বছর ঈদযাত্রায় যারা ট্রেনে উঠেনি, এবার তারা পণ করে বসেছে। হাতে টিকিট আসুক, না আসুক-প্রয়োজনে ট্রেনে ঝুলে বাড়ি ফিরবেন। আসন সংখ্যার প্রায় শতগুণ বেশি যাত্রী স্টেশনে আসছেন টিকিটের আসায়। অধিকাংশই টিকিট না পেয়ে ফিরে যাচ্ছেন।

রেল কর্তৃপক্ষের বক্তব্য-কোনো ঈদেই বিনা টিকিটি রোধ করা সম্ভব হয় না। ট্রেনের ছাদ, ইঞ্জিনের দু’পাশ, দু’বগির সংযোগস্থলসহ দরজা-জানালায় ঝুলে বাড়ি ফেরে যাত্রীরা। এছাড়া ধর্মীয় অনুষ্ঠান সামনে রেখে বিনা টিকিটে ওঠা যাত্রীদের জোর করে ট্রেন থেকে নামানোও সম্ভব হয় না। বিভিন্ন কৌশলে যাত্রীরা ট্রেনে উঠে পড়ে।

গোপীবাগ রেলগেট এলাকা থেকে আসা নূরুন্নাহার জানান, তার পরিবারের পাঁচজন রংপুর যাবেন। সঙ্গে স্বামীও এসেছেন। মধ্য রাতে এসে যদি স্বামী লাইনে দাঁড়ায় তাহলে আগামী তিন দিনেও টিকিট পাবে না। তাই বাধ্য হয়ে নারীদের লাইনে দাঁড়িয়েছেন তিনি। চিন্তায় আছেন, টিকিট পাবেন কিনা।

অনেকে জানিয়েছেন, অনলাইনে টিকিট না পেয়ে সোমবারের টিকিট কাটতে স্টেশনে এসেছেন। প্রতিদিন সকাল ৮টায় অনলাইনে টিকিট ছাড়া হয়। স্টেশনে বসেও শত শত লোক অনলাইনে টিকিট কাটার চেষ্টা করছিলেন।

টিকিট প্রত্যাশীদের মন্তব্য-হাজার কষ্টের পরও মানুষ ঘণ্টার পর ঘণ্টা লাইনে দাঁড়িয়ে থাকেন। নাড়ীর টান, প্রিয় মানুষের টান, বুঝি এমনই হয়। কোনো কষ্টই কষ্ট মনে হয় না। মানুষ বুঝতে পারছেন যে রাতে যারা লাইনে দাঁড়িয়েছেন, তাদেরই অনেকে টিকিট পাবেন না। তবু ভোর রাত থেকে স্টেশনে শত শত লোক এসে যুক্ত হন।

রোববার কমলাপুরসহ ফুলবাড়িয়া, বিমানবন্দর, তেজগাঁও ও ক্যান্টনমেন্ট স্টেশন থেকে টিকিট বিক্রি হয়েছে। আজ থেকে দুটি স্পেশাল ট্রেনের টিকিটও বিক্রি হবে। তবে স্পেশাল ট্রেনের টিকিট শুধু কাউন্টার থেকে বিক্রি হবে। রেলওয়ে কর্মকর্তা জানান, ঈদ যাত্রায় ২৭ এপ্রিল থেকে শুধু যাত্রার দিন যাত্রীদের অনুরোধে ২০ শতাংশ আসনবিহীন টিকিট বিক্রি হবে।

 

https://www.facebook.com/watch?v=434803075116869

সংবাদটি শেয়ার করুন

এ সম্পর্কিত আরো সংবাদ
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত ২০২২
Developed By ATOZ IT HOST