ঈদুল ফিতরে বগুড়ায় ঈদ উপহার হিসেবে ঘর পাচ্ছেন ৯৩০ গৃহহীন ও ভূমিহীন পরিবার। আগামী ২৬ এপ্রিল মঙ্গলবার গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে উপকারভোগীদের চাবি হস্তান্তর করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। রোববার দুপুরে বগুড়ার জেলা প্রশাসক মো: জিয়াউল হক তার নিজ কার্যালয়ে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে এসব তথ্য জানান।
জেলা প্রশাসক মো: জিয়াউল হক বলেন, ‘মুজিববর্ষ উপলক্ষে তৃতীয় পর্যায়ে ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবারের জন্য নির্মিত ঘরগুলো এবারের ঈদ উপহার হিসেবে হস্তান্তর করা হবে। আগামী ২৬ এপ্রিল প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সারা দেশে ৩২ হাজার ৯০৪টি গৃহ হস্তান্তর কার্যক্রমের শুভ উদ্বোধন করবেন। এ পর্যায়ে বগুড়ার ১২টি উপজেলায় ৯৩০টি পরিবারের মাঝে ঘর প্রদান করা হবে।’
১২টি উপজেলার মধ্যে সারিকান্দিতে ১৮০, ধুনটে ১৫০, শিবগঞ্জে ৬৬, সোনাতলায় ৩৫, কাহালুতে ৫৪, শেরপুরে ১০০, গাবতলীতে ৬৫, বগুড়া সদরে ৬৯, শাজাহানপুরে ৩২, নন্দীগ্রামে ১২৮, আদমদীঘি ১৫ এবং দুপচাঁচিয়ায় ৩৬টি গৃহ ও ভূমিহীন পরিবার এ বাড়ি পাবেন।
জেলা প্রশাসক আরও বলেন, বগুড়া জেলায় ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবারের মধ্যে ১ম ও ২য় পর্যায়ে ২৩০৯টি পরিবারকে ঘর দেওয়া হয়। আর ৩য় পর্যায়ে ৯৩০টি ঘরের নির্মাণ কাজ শেষ হয়েছে।
প্রেস ব্রিফিংয়ে জেলা প্রশাসনের উপপরিচালক (স্থানীয় সরকার) মামুনুর রশিদ, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক(সার্বিক) মাসুম আলী বেগ, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক(রাজস্ব) উজ্জ্বল কুমার ঘোষ, এলজিডির নির্বাহী প্রকৌশলী গোলাম মোর্শেদ, নন্দীগ্রাম উপজেলা চেয়ারম্যান রেজাউল আশরাফ জিন্নাহ, সদর ইউএনও সমর পালসহ অন্যান্য কর্মকর্তাবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
আশ্রয়ণ-২ প্রকল্পের আওতায় তৃতীয় ধাপে ভূমিহীন ও গৃহহীনের জন্য জমির মালিকানাসহ এই ঘর নির্মাণ করা হয়েছে। এ ধাপে ৬৫ হাজারের বেশি পরিবার পাবে প্রধানমন্ত্রীর উপহারের ঘর। ঈদের আগে সেমিপাকা ঘর এসব ভূমিহীন ও গৃহহীনদের ঈদ আনন্দে বাড়তি মাত্রা যুক্ত করবে।
প্রথম ও দ্বিতীয় ধাপের তুলনায় তৃতীয় ধাপে কাঠামোতে আসছে বেশ পরিবর্তন। বাড়ানো হয়েছে ব্যয়। যে কারণে ঘরগুলো মজবুত ও দীর্ঘস্থায়ী হবে।
আশ্রয়ণ-২ প্রকল্পের আওতায় ভূমিহীন ও গৃহহীনদের এরই মধ্যে প্রথম ও দ্বিতীয় ধাপে এক লাখ ১৭ হাজার ৩২৯টি ঘর দেওয়া হয়েছে। দুই শতাংশ জমির মালিকানাসহ সেমিপাকা ঘর করে দেওয়া হয়েছে। এর সঙ্গে রান্নাঘর ও টয়লেট ছিল। আঙিনায় হাঁস-মুরগি পালন ও শাক-সবজি চাষেরও জায়গা ছিল।
দেশের একজন মানুষও গৃহহীন থাকবে না। প্রধানমন্ত্রীর এই ঘোষনা বাস্তবায়নে দ্রুতই এগিয়ে যাচ্ছে সরকার। গৃহহীনদের মুখে হাসি ফোটাতে ঈদ উপহার হিসেবে পাওয়া ঘরগুলো তাদের ঈদ আনন্দে ছড়াবে ভিন্ন রঙ।
https://www.facebook.com/watch?v=1067364623853448