বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য ও সাবেক মন্ত্রী গয়েশ^র চন্দ্র রায় আওয়ামীলীগের উদ্দেশ্যে বলেছেন, গত ১২ বছরে গুম, খুন, মুদ্রা পাচার, দূর্নী লুটপাট অনেক করেছেন। এখনও সময় আছে। জনগনের কাছে মাফ চান। পদত্যাগ করে নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচনের ব্যবস্থা করুন। দেশে থাকার পরিবেশ সৃষ্টি করুন। বিএনপিকে ক্রস ফায়ারের ভয় দেখিয়ে লাভ নেই। হত্যা, গুম খুন করে বিএনপিকে দাবিয়ে রাখা যাবে না। হাতে সময় নেই। অল্প সময়ের মধ্যে তারেক রহমানের নেতৃত্বে যুদ্ধ করে হাসিনা সরকারের পতন ঘটানো হবে।
তিনি সরকারী কর্মকর্তা কর্মচারীদের উদ্দেশ্যে বলেন, মনে রাখবেন আপনারা জনগনের কর্মচারী এবং তারাই বেতনভাতা দেয়। কিন্তু নিজেরা অনেকে সরকারী দলের কর্মচারী মনে করেন। তিনি প্রশ্ন করেন, আওয়ামীলীগ যখন ক্ষমতায় থাকবে না তখন আপনারা কোথায় যাবেন। তাই জনগনের মুখোমুখী হবেন না। আপনারাও গণতন্ত্র ফিরিয়ে দেয়ার যুদ্ধে শামিল হোন। বিএনপি নেতা ইলিয়াস আলীর মতো গণতন্ত্র গুম হয়ে গেছে। তিনি শনিবার শহরের কেন্দ্রীয় ইদগাহে অনুষ্ঠিত বগুড়্ াশহর বিএনপির দ্বি-বার্ষিক সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।
সম্মেলনের উদ্বোধন করেন বগুড়া জেলা বিএনপির আহবায়ক ও বগুড়া পৌরসভার মেয়র রেজাউল করিম বাদশা। দীর্ঘ ১০ বছর পর অনুষ্ঠিত এ সম্মেলনে শহর শাখার ২১টির ওয়ার্ডের মধ্যে ১৮টি ওয়ার্ডের ১২৬৮ জন কাউন্সিলরসহ নেতাকর্মী ও সমর্থকরা উপস্থিত ছিলেন। শহর বিএনপির আহবায়ক মশিউর রহমান শামীমের সভাপতিত্বে ও জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য আলী আজগর তালুকদার হেনার পরিচালনায় সম্মেলনে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা অ্যাডভোকেট একেএম মাহবুবর রহমান ও হেলালুজ্জামান তালুকদার লালু, কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদকদের মধ্যে মাহবুবর রহমান শামিম (চট্রগ্রাম), ডাঃ সাখাওয়াত হাসান জীবন (সিলেট), মোস্তাক মিয়া (কুমিল্লা), অ্যাডভোকেট বিলকিস আক্তার জাহান শিরীন (বরিশাল) , মিসেস শামা ওবায়েদ (ফরিদপুর) অনিন্দ্য ইসলাম অমিত (খুলনা) ঢাকা বিভাগের সহ সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট আবদুস সালাম আজাদ, রাজশাহী বিভাগের সহ সাংগঠনিক সম্পাদক এ এইচ এম ওবায়দুর রহমান চন্দন, বগুড়া সদর আসনের জাতীয় সংসদ সদস্য গোলাম মোঃ সিরাজ, জেলা বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক যথাক্রমে অ্যাডভোকেট একেএম সাইফুল ইসলাম, ফজলুল বারী তালুকদার বেলাল ও মোশারফ হোসেন এমপি, কেন্দ্রীয় সদস্য জয়নাল আবেদীন চাঁন, বিএনপি নেতা এম আর ইসলাম স্বাধীন, সদর উপজেলার নবনির্বাচিত সভাপতি মাফতুন আহমেদ খান রুবেল, তৌহিদুল আলম মামুন,খাদেমুল ইসলাম, মাজেদুর রহমান জুয়েল, আবু হাসান প্রমুখ।
সম্মেলনের দ্বিতীয় অধিবেশনে বিকেল ২টা থেকে ৪টা পর্যন্ত সাধারন সম্পাদক ও সাংগঠনিক সম্পাদক পদে গোপন ব্যালটে ১২শতাধিক কাউন্সিলর ভোট দেন।
https://www.facebook.com/watch/?v=694408608570432