বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, বর্তমান অবৈধ সরকারের কোথাও কোনো নিয়ন্ত্রণ নেই। বাজারের ওপর নিয়ন্ত্রণ নেই।
বৃহস্পতিবার বিকালে রাজধানীর গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন। এ সময় দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির প্রতিবাদে এবং উপজেলা পর্যায়ে ন্যায্যমূল্যে পর্যাপ্ত দ্রব্যসামগ্রি বিক্রির দাবিতে সারা দেশে বিক্ষোভ সমাবেশের ১১ দিনের কর্মসূচি ঘোষণা করে বিএনপি মহাসচিব। কর্মসূচিগুলো হলো-বিএনপির উদ্যোগে আগামীকাল শনিবার রাজধানীতে (মহানগর উত্তর-দক্ষিণের উদ্যোগে) ২৮ ফেব্রুয়ারি বিভাগীয় সদর ও মহানগরে, ২ মার্চ জেলা পর্যায়ে এবং ৫ মার্চ উপজেলা পর্যায়ে বিক্ষোভ সমাবেশ হবে।
৬ মার্চ ছাত্রদল, ৮ মার্চ যুবদল, ৯ মার্চ স্বেচ্ছাসেবক দল, ১০ মার্চ কৃষক দল, ১৪ মার্চ মহিলা দল ও ১৫ মার্চ তাঁতী দলের উদ্যোগে সারা দেশে বিক্ষোভ সমাবেশ হবে। এ ছাড়া ১২ মার্চ বিএনপির উদ্যোগে সারা দেশে ইউনিয়ন এবং ওয়ার্ড পর্যায়ে হাট-বাজারে হাটসভা-পথসভা ও লিফলেট বিতরণ করা হবে।
এসব কর্মসূচিতে দেশবাসীকে যোগ দেওয়ার আহ্বান জানিয়ে মির্জা ফখরুল বলেন, আমরা মাঠ পর্যায়ে এসব কর্মসূচি নিয়ে যাওয়ার মাধ্যমে দেশবাসীকে সম্পৃক্ত করতে যাচ্ছি। কর্মসূচিতে দলের সিনিয়র নেতারা অংশ নেবেন।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, প্রকৃতপক্ষে নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্য চাল-ডাল-তেলসহ পানি, বিদ্যুৎ ও গ্যাসের মূল্য লাগামহীনভাবে বৃদ্ধি পাচ্ছে। এতে করে বাংলাদেশের মানুষ আর্থিক দিক থেকে আক্রান্ত হচ্ছেন। তাদের প্রকৃত আয় অনেক কমে গেছে। মানুষ মধ্যবিত্ত থেকে নিুবিত্তে চলে গেছে, যা বেশিরভাগ মানুষ বলতে পারেন না-এটাই বাস্তবতা।
গত মঙ্গলবার দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সভাপতিত্বে দলের স্থায়ী কমিটির বৈঠকে এই কর্মসূচি চূড়ান্ত করা হয় বলে জানান মির্জা ফখরুল।
এর আগে দলীয় চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে বিদেশে উন্নত চিকিৎসার দাবিতে সব সাংগঠনিক জেলায় সমাবেশ কর্মসূচি পালনের সিদ্ধান্ত নিয়েছিল বিএনপি। গত ২২ ডিসেম্বর থেকে ৩০ ডিসেম্বর পর্যন্ত জেলা পর্যায়ের প্রথম ধাপে ২৩ জেলায় সমাবেশও করে দলটি। প্রতিটি সমাবেশে ব্যাপক লোকসমাগম হয়। পরে করোনাভাইরাসের সংক্রমণের ঊর্ধ্বগতির পরিপ্রেক্ষিতে ১৪ জানুয়ারি দ্বিতীয় ধাপের ৩২ জেলায় দলের নির্ধারিত সমাবেশ না করে তারিখ পুনর্র্নির্ধারণের সিদ্ধান্ত নেয় বিএনপি। জানা গেছে, এখন জনসম্পৃক্তমূলক কর্মসূচি দিয়ে মাঠে থাকতে চাইছে বিএনপি। এসব কর্মসূচি শেষে আবারও জেলায় জেলায় সমাবেশ করার চিন্তা করছেন দলটির নীতিনির্ধারকরা।