ইউক্রেন ইস্যুতে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের বৈঠকে বিবাদে জড়িয়েছে যুক্তরাষ্ট্র ও রাশিয়ার প্রতিনিধিরা। ইউক্রেন সীমান্তে মস্কোর সেনাসমাবেশ নিয়ে আলোচনার জন্য যুক্তরাষ্ট্রের ডাকে সোমবার এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
বৈঠকে মার্কিন দূত লিন্ডা থমাস-গ্রিনফিল্ড বলেন, গত কয়েক দশকের মধ্যে ইউরোপের দেখা সবচেয়ে বড় সেনাসমাবেশ ঘটিয়েছে রাশিয়া। জবাবে রাশিয়ান দূত অভিযোগ তোলেন, যুক্তরাষ্ট্র ভীতি ছড়াচ্ছে আর রাশিয়ার বিষয়ে অগ্রহণযোগ্য হস্তক্ষেপ করছে।
এদিকে ইউক্রেনে আগ্রাসন চালালে রাশিয়ার ওপর নতুন করে নিষেধাজ্ঞা আরোপের প্রতিশ্রুতি দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্য। ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী লিজ ট্রাস জানিয়েছেন, ক্রেমলিন ঘনিষ্ঠ ব্যক্তি ও ব্যবসার ওপর নিষেধাজ্ঞা সম্প্রসারণের আইন প্রস্তুত করা হচ্ছে। এছাড়া এক মার্কিন কর্মকর্তা বলেছেন, ওয়াশিংটনের নিষেধাজ্ঞার অর্থ হবে ক্রেমলিন ঘনিষ্ঠ ব্যক্তিরা আন্তর্জাতিক আর্থিক ব্যবস্থা থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়বে।
ইউক্রেন সীমান্তে প্রায় এক লাখ সেনার পাশাপাশি ট্যাংক, কামান এবং ক্ষেপণাস্ত্র মোতায়েন করেছে রাশিয়া।
সোমবার জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের বৈঠকে রাশিয়ার রাষ্ট্রদূত ভ্যাসিলি নেবেনজিয়া বলেন, রাশিয়া ইউক্রেনের বিরুদ্ধে হামলা চালানোর পরিকল্পনা করছে- এমন কোনও প্রমাণ নেই। এছাড়া সেনাসমাবেশ ঘটানো হয়েছে তাও নিশ্চিত করতে পারেনি জাতিসংঘ। তিনি বলেন, রাশিয়া প্রায়ই নিজেদের সীমান্তে সেনাসমাবেশ ঘটায় আর এতে ওয়াশিংটনের কিছু যায় আসে না।
নিরাপত্তা পরিষদের প্রকাশ্য ওই বৈঠক অবশ্য আটকানোর চেষ্টা করে রাশিয়া। তবে তা ১০-২ ভোটে বাতিল হয়ে যায়। নেবেনজিয়া বলেন, বাইডেন প্রশাসন উত্তেজনা বাড়াচ্ছে এবং উসকানি দিচ্ছে। তিনি বলেন, ‘এটা কেবল আমাদের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে অগ্রহণযোগ্য হস্তক্ষেপ নয়, এটা এই অঞ্চলের বাস্তব পরিস্থিতি নিয়ে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা এবং বর্তমান বৈশ্বিক উত্তেজনার কারণ।’
লিন্ডা থমাস-গ্রিনফিল্ড বলেন, যুক্তরাষ্ট্র এখনও বিশ্বাস করে কূটনৈতিক সমাধান আছে। কিন্তু তিনি সতর্ক করে দিয়ে বলেন, রাশিয়া ইউক্রেনে আগ্রাসন চালালে যুক্তরাষ্ট্র তাৎক্ষণিকভাবে প্রতিক্রিয়া দেখাবে আর এর পরিণতি হবে ভয়াবহ।
https://www.facebook.com/pundrotvbd/videos/288469696682401