জামায়াতে ইসলামীর সহকারি সেক্রেটারি জেনারেল এটিএম আজহারুল ইসলামের মুক্তি এবং দলের নিববন্ধন ও প্রতিক ফিরে পাওয়ার দাবীতে বগুড়ায় বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেছে জামায়াত। কেন্দ্রিয় কর্মসূচীর অংশ হিসেবে মঙ্গলবার দুপুরে শহরের পৌর পার্কে বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। সমাবেশ শেষে পৌর পার্ক রোড থেকে শুরু হওয়া মিছিল শহরের সাতমাথা হয়ে থানা মোড়, বড়গোলা, নবাববাড়ি রোড, জলেশ্বরীতলা, ইয়াকুবিয়া মোড়ে এসে শেষ হয় ।
জামায়াতের বিক্ষোভকে ঘিরে গোটা শহর জামায়ামতময় হয়ে গেছে। ডানে-বামে যেদিকেই তাকাই শুধুই জামায়াতের নেতাকর্মি চোখে পড়ছে। মিছিল শুরুর পর শহরের সবকিছু থমকে গেছে। এটিএম আজহারুল ইসলামের মুক্তি এবং জামায়াতের নিবন্ধন ও প্রতিক ফিরিয়ে দেওয়ার দাবীতে বিক্ষোভে ফেটে পড়ছেন হাজার হাজার নেতাকর্মি।
জেলা ও শহর জামায়াতের যৌথ উদ্যোগে আয়োজিত বিক্ষোভ সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন বগুড়া শহর জামায়াতের আমির জননেতা অধ্যক্ষ আবিদুর রহমান সোহেল।
সমাবেশে প্রধান অতিথি ছিলেন জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রিয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য অধ্যক্ষ শাহাবুদ্দিন। বিশেষ অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের কেন্দ্রিয় সহসভাপতি জননেতা গোলাম রব্বানী। বক্তব্য রাখেন বগুড়া শহর জামায়াতের নায়েবে আমির মাওঃ আলমগীর হোসাইন, জেলা জামায়াতের নায়েবে আমির অধ্যাপক আব্দুল বাছেদ, শহর জামায়াতের নায়েবে আমির মাওঃ আব্দুল হালিম বেগ, জেলা নায়েবে আমির মাওঃ আব্দুল হাকিম সরকার, জেলা জামায়াতের সেক্রেটারি মাওঃ মানছুরুর রহমান, শহর জামায়াতের সেক্রেটারি অধ্যাপক আ স ম আব্দুল মালেক, মাওঃ আব্দুল বাছেত, অধ্যাপক রফিকুল আলম, মুনজুরুল ইসলাম রাজু, আল-আমিন, ইসলামী ছাত্রশিবির বগুড়া শহর শাখার সভাপতি রেজোওয়ানুল ইসলাম খান, মাওঃ আব্দুল হামিদ বেগ, এ্যাড. শাহিন মিয়া, বগুড়া জেলা পশ্চিমের সভাপতি সাইয়্যেদ কুতুব সাব্বির, বগুড়া জেলা পূর্বের সভাপতি জোবায়ের আহম্মেদ প্রমূখ।
বক্তারা বলেন, জামায়াতে দীর্ঘ প্রায় দেড় যুগ আওয়ামী ফ্যাসিবাদের জুলুম-নিপীড়নের শিকার হয়েছে। হাজার হাজার নেতাকর্মিকে হত্যা করেছে। অসংখ্য নেতাকির্মকে বছরের পর বছর কারারুদ্ধ করে রাখা হয়েছে। অবশেষে ছাত্র-জনতার রক্তক্ষয়ী আন্দোলনে শেখ হাসিনার ফ্যাসিবাদী দু:শাসনের অবসানের ৬ মাস পেরিয়ে গেলেও জামায়াতে ইসলামীর নিবন্ধন ও প্রতিক ফিরিয়ে দেওয়া হয়নি।
এমনকি বিভিন্ন দলের নেতাদের নামে দায়ের করা মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার এবং নেতৃবৃন্দকে মুক্তি দিলেও জামায়াতের সহকারি সেক্রেটারি জেনারেল এটিএম অজহারুল ইসলামকে এখনো মুক্তি দেওয়া হয়নি। অবিলম্বে এটিএম আজহারুল ইসলামের মুক্তি দিতে হবে। মুক্তি নিয়ে কোন রকম টালবাহানা সহ্য করা হবেনা বলেও সমাবেশে হুশিয়ারি উচ্চারণ করা হয়। হাজার হাজার নেতাকর্মি ও সাধারন মানুষ বিক্ষোভ মিছিলে অংশগ্রহন করে।