গত সোমবার বিএনপির স্থায়ী কমিটির সভায় এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে দলীয় সূত্রে জানা গেছে।
গত সোমবার বিএনপির স্থায়ী কমিটির সভায় এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে দলীয় সূত্রে জানা গেছে।
দলীয় সূত্রে জানা গেছে, আজ বুধবার বিকেল ৩টায় নয়াপল্টনের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সাংগঠনিক ও সহসাংগঠনিক সম্পাদকদের বৈঠক ডাকা হয়েছে।
বৈঠকে উপস্থিত থাকা একজন নেতা জানান, কিছুদিন পর পর উপদেষ্টার সংখ্যা বাড়ানো হচ্ছে।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান কালের কণ্ঠকে বলেন, বিভাগীয় পর্যায়ে সমাবেশ করার বিষয়টি এখনো চূড়ান্ত করা হয়নি।
এর আগে গত ৪ নভেম্বর স্থায়ী কমিটির বৈঠকে বিএনপির পক্ষ থেকে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়, অন্তর্বর্তী সরকার আগামী দুই থেকে তিন মাসের মধ্যে নির্বাচনী রোডম্যাপ ঘোষণা না করলে মাঠে নামবে বিএনপি। আগামী বছরের মার্চ-এপ্রিলের মধ্যে ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের দাবিতে রাজপথে সোচ্চার হবে দলটি।
জানা গেছে, স্থায়ী কমিটির বৈঠকে জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস উপলক্ষে গত ৮ নভেম্বর রাজধানীতে অনুষ্ঠিত বিএনপির শোভাযাত্রার মূল্যায়ন করেন নেতারা। তাঁরা বলেন, রাজধানীর শোভাযাত্রায় বড় ধরনের জমায়েত হয়েছে। কয়েক লাখ মানুষের অংশগ্রহণে এই শোভাযাত্রার মধ্য দিয়ে প্রমাণিত হয়েছে, বিএনপি দেশের সবচেয়ে বড় রাজনৈতিক শক্তি। সুতরাং বিএনপিকে বাইরে রেখে কিংবা এড়িয়ে কোনো কিছু করা যাবে না। এ ছাড়া বিএনপি অন্তর্বর্তী সরকারের বড় সহযোগী ও সহায়ক শক্তি। তাই বিএনপির সঙ্গে আলোচনা করেই সরকারের সিদ্ধান্ত নেওয়া উচিত।
বৈঠকে সরকারের উপদেষ্টা পরিষদে সম্প্রতি তিনজনের অন্তর্ভুক্তি নিয়েও আলোচনা হয়েছে। বিএনপি নেতারা অভিমত দেন, দুজন উপদেষ্টার বিষয়ে সব মহল থেকে আপত্তি তোলা হয়েছে। বৈষ্যমবিরোধী ছাত্র আন্দোলনসহ বিভিন্ন ছাত্রসংগঠনও প্রশ্ন তুলেছে। বিক্ষোভও হয়েছে। বিএনপি মনে করে, এ দুজন উপদেষ্টার নিয়োগ হতাশাজনক। যথেষ্ট যাচাই-বাছাই এবং চিন্তা-ভাবনা করে তাঁদের নিয়োগ দিলে এই বিতর্ক সৃষ্টি হতো না। তাই সরকারের উচিত যথাসম্ভব বিতর্ক এড়িয়ে সামনে অগ্রসর হওয়া, বিতর্কিত কাউকে সরকারে না রাখা এবং ভালোভাবে খোঁজখবর করে দায়িত্বে নিয়ে আসা।
এর আগে আরেক উপদেষ্টা আলী ইমাম মজুমদারের বিরুদ্ধে প্রশাসনে আওয়ামী লীগের পুনর্বাসনের অভিযোগ এনে তাঁর পদত্যাগ দাবি করে বিএনপির স্থায়ী কমিটি। এ ছাড়া আরো একজন উপদেষ্টার বিষয়েও বিএনপির নেতিবাচক মনোভাব রয়েছে।
স্থায়ী কমিটির বৈঠকে দলের কেউ কেউ বিএনপি-জামায়াতের সম্পর্ক নিয়ে অভিমত ব্যক্ত করেন। ৫ আগস্টের পর পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে প্রশাসন, মাঠ প্রশাসনসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের গুরুত্বপূর্ণ পদগুলোতে পদায়ন নিয়ে বিএনপির সঙ্গে জামায়াতের দূরত্ব বাড়ছে। জামায়াত নেতাদের কিছু বক্তব্যে বিএনপির মধ্যে এক ধরনের ‘অসন্তুষ্টি’ রয়েছে। এর পরও সংসদ নির্বাচন ইস্যুতে যে জাতীয় ঐক্য দরকার, সেই প্রশ্নে বিএনপির জামায়াতের সঙ্গে দূরত্ব বাড়ানো উচিত নয় বলে কোনো কোনো সদস্য মন্তব্য করেছেন। এনিয়ে স্থায়ী কমিটির কয়েকজন সদস্যের অবশ্য ভিন্নমতও রয়েছে।