সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মানজুর আল মতিন পীতম জানিয়েছেন, ঢাকা মহানগর পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগের (ডিবি) হেফাজত থেকে ছাড়া পাওয়া বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ছয় সমন্বয়ক টানা ৩২ ঘণ্টা অনশনে ছিলেন। বৃহস্পতিবার আইনজীবী পীতম তার ব্যক্তিগত সামাজিক মাধ্যমে একটি পোস্ট দিয়ে এ তথ্য জানান।
ফেসবুক পোস্টে তিনি বলেন, ‘ডিবি হেফাজতে বন্দি ৬ সমন্বয়ক গত ৩২ ঘণ্টা ধরে অনশনে। আমি ভাবতাম তোরা নজরুল পড়িসনি! কত ভুল ভাবতাম রে! তোরাই তো একেকটা নজরুল! ৩৯ দিনের অনশনে নজরুল একাই ব্রিটিশ রাজের ভিত্তি নাড়িয়ে দিয়েছিলেন! তোরা তো অগুনতি নজরুল! কে ঠেকায় তোদের! ‘উহারা ক’জন, তোরা অগণন! সকল শক্তিধারী!’
এর আগে দুপুর দেড়টার দিকে ডিবি হেফাজতে থাকা ৬ সমন্বয়ককে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়। সমন্বয় নাহিদ ইসলাম বাবা বদরুল ইসলাম জানান, ভোর ৬টায় সবার বাসায় ফোন দিয়ে ডিবি অফিসে আসতে বলা হয়। পরে দুপুর দেড়টার দিকে ডিবি কার্যালয়ের নিজস্ব পরিবহন ব্যবস্থায় তাদেরকে বাসায় পৌঁছে দেওয়া হয়। এসময় নাহিদের সঙ্গে কথা বলতে চাইলে বদরুল ইসলাম বলেন, নাহিদ এখন কথা বলার মতো অবস্থায় নেই। তারা দুই দিন ডিবি অফিসে অনশন করেছিল। সে এখন শারীরিকভাবে বিপর্যস্ত।
ডিবি হেফাজতে থাকা ছয় সমন্বয়ক হলেন- মো. নাহিদ ইসলাম, মো. সারজিস আলম, হাসনাত আব্দুল্লাহ, মো. আবু বাকের মজুমদার, আসিফ মাহমুদ ও নুসরাত তাবাসসুম। গত ২৬ জুলাই কোটা সংস্কার আন্দোলনের তিন সমন্বয়ক নাহিদ ইসলাম, আসিফ মাহমুদ ও আবু বাকের মজুমদারকে হাসপাতাল থেকে মিন্টো রোডের ডিবি কার্যালয়ে নেওয়া হয়। পরের দিন ২৭ জুলাই মো. সারজিস আলম, হাসনাত আব্দুল্লাহ ও নুসরাত তাবাসসুমকেও ডিবি হেফাজতে নেয়া হয়। ডিবির দাবি, তারা নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছিলেন। তাই তাদের নিরাপত্তা হেফাজতে রাখা হয়েছে।