ছাদ ফুটো করে ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্ত চার আসামি বগুড়া জেলা কারাগার থেকে পালিয়ে গিয়েছিলেন বলে জানিয়েছেন পুলিশ সুপার (এসপি) সুদীপ কুমার চক্রবর্তী। তিনি জানান, পালিয়ে যাওয়া চারজনই বিভিন্ন হত্যা মামলার ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি। বুধবার সকাল সোয়া ১০টার দিকে সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান সুদীপ কুমার চক্রবর্তী।
তিনি বলেন, আসামিরা তাদের ব্যবহার করা বিছানার চাদরকে সিঁড়ি হিসেবে ব্যবহার করেন। সুযোগমতো কারাগারের ছাদ ফুটো করে বাইরে বের হন তারা। এরপর কারাগারের সীমানা প্রাচীর টপকে মঙ্গলবার মধ্যরাতে পালিয়ে যান।
বগুড়ার এসপি বলেন, পালিয়ে যাওয়ার পরপরই জেলা কারাগার থেকে আমাদের জানানো হয়। কারাগার থেকে তাদের ছবি দেওয়া হয়। আমরা সেই অনুযায়ী রাতেই অভিযান শুরু করি। পরে ভোররাতে তাদের চাষীবাজার থেকে ফের গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তারের পর তাদের জেলা ডিবি কার্যালয়ে নেওয়া হলে কারাগারের সুপার এসে তাদের শনাক্ত করেন।
পুলিশ সুপার আরো বলেন, কারাগার পরিদর্শন করে দেখা গেছে, তারা চারজন একই সঙ্গে একটি কক্ষে অবস্থান করতেন। তারা পরিকল্পিতভাবে ছাদ ফুটো করে পরিধেয় বস্ত্র এবং বিছানার চাদর জোড়া দিয়ে রশি বানিয়ে দেয়াল টপকিয়ে পালিয়ে করতোয়া নদী পার হয়ে পালিয়ে যান।
সুদীপ কুমার চক্রবর্তী জানান, এই ঘটনায় একটি মামলা হবে। মামলায় তাদের ফের আদালতে তোলা হবে। আসামিরা হলেন কুড়িগ্রামের ভুরুঙ্গামারী থানার দিয়াডাঙ্গা গ্রামের আজিজুল হকের ছেলে নজরুল ইসলাম ওরফে মজনু ওরফে মঞ্জু (৬০), নরসিংদি জেলার মাধবদী থানার ফজরকান্দি গ্রামের মৃত ইসরাফিলের ছেলে আমির হামজা ওরফে আমির হোসেন (৪১), বগুড়া কাহালু উপজেলার উলট্ট গ্রামের আবদুল মান্নানের ছেলে জাকারিয়া (৩৪) এবং বগুড়া সদরের কুটিরবাড়ি গ্রামের ইসরাইল শেখের ছেলে ফরিদ শেখ (৩০)।
এদিকে এ ঘটনায় ছয় সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। জেলা প্রশাসক সাইফুল ইসলাম গণমাধ্যমকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। কমিটির প্রধান হলেন বগুড়ার অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট। কমিটিতে জেলা পুলিশ, গণপূর্ত অধিদপ্তর ও জেলা কারা কর্তৃপক্ষের প্রতিনিধিকে সদস্য করা হয়েছে।