মানুষ হয়ে জন্তুর মতো অবয়ব পাওয়ার স্বপ্ন বোধ হয় কম মানুষের মধ্যেই আছে! যে কোনো প্রাণীর প্রতি আপনার ভালোলাগা থাকতেই পারে। তাই বলে কি আপনি তার মতো চেহারা পেতে চাইবেন!
তাহলে মানুষ আর জন্তুর মধ্যে ফারাক থাকলো কী? তবে অবাক করা বিষয় হলেও সত্যিই যে, বাঘের মতো চেহারা পেতে তিনি খরচ করেছেন ২ লাখ মার্কিন ডলার যা বাংলাদেশের টাকায় ১ কোটি ৭০ লাখ টাকা।
একের পর এক প্লাস্টিক সার্জারি করে মুখের পরিবর্তন এনেছেন ওই ব্যক্তি। মুখে বাঘের মতো ডোরাকাটা দাগ এঁকেছেন ট্যাটুর মাধ্যমে। এছাড়াও দাঁতগুলো করেছেন সূঁচালো, ঠোঁট কেটেও বিকৃত করে বাঘের মতো দেখানোর চেষ্টা করেছেন তিনি।
বলছি, ডেনিস অ্যাভনারের কথা। স্টালকিং ক্যাট নামেও পরিচিত তিনি। তার জন্ম হয় ১৯৫8 সালের ২ আগস্ট। আমেরিকায় জন্মগ্রহণ করেন এই ব্যক্তি।
বাঘের মতো চেহারা পেতে এক বা দুইবার নয়, মোট ১৪ বার মুখে অস্ত্রোপচার চালান ডেনিস। ‘পশুর মতো চেহারা পেতে সবচেয়ে স্থায়ী রূপান্তর’ ব্যক্তি হিসেবে গড়েছেন বিশ্বরেকর্ড।
ক্যালিফোর্নিয়ার সান দিয়েগোর ল্যারি হ্যাংকস ১৯৮৫ সাল থেকে কাজ শুরু করেন অ্যাভনারের শরীরে পরিবর্তনে । এছাড়াও ডেনিসের শরীরের অনেক পরিবর্তন আনেন অ্যারিজোনার শিল্পী স্টিভ হাওয়ার্থ।
ডেনিস তার মুখ ও শরীরে করেন বাঘের মতো ডোরাকাটা ট্যাটু । এরপর সার্জারির মাধ্যমে পরিবর্তন করেন মুখের ইমপ্লান্টে ভ্রু, কপাল ও তার নাকের আকৃতি ।
এরপর সেপ্টাম স্থানান্তরের মাধ্যমে নাক চ্যাপ্টা করার সিদ্ধান্ত নেন তিনি। এছাড়াও তার ঠোঁট, গাল ও চিবুকে দেওয়া হয় সিলিকন ইনজেকশনও ।
ডেনিস সার্জারির মাধ্যমে তার উপরের ঠোঁট কেটে আনেন পরিবর্তন। এমনকি সব সময় একটি রোবোটিক লেজ পেছনে নিয়ে ঘুরতেন তিনি।
তার ভবিষ্যতের পরিবর্তন পরিকল্পনার মধ্যে ছিল তার মাথার উপরে ইমপ্লান্ট করার পরিকল্পনা ও বাঘের মতো কান লাগানোর জন্য।
জানা যায়, টেকনিশিয়ান হিসেবে নৌ-বাহিনীতে যোগদান করেন তিনি। ১৯৮১ সালের কাছাকাছি সময়ে ত্যাগ করেন তার নৌবাহিনীর পদ ।
এরপর ক্যালিফোর্নিয়ার সান দিয়েগোতে কম্পিউটার প্রোগ্রামার ও টেকনিশিয়ান হিসেবে কাজ শুরু করেন তিনি।
উপস্থিত হয়েছিলেন বিখ্যাত টেলিভিশন শো ‘রিপলি’স বিলিভ ইট অর নট’ অনুষ্ঠানে ।
২০১২ সালের ৫ নভেম্বর ৫৪ বছর বয়সে আত্মহত্যা করেন অ্যাভনা। নিজ বাড়ি থেকে উদ্ধার করা হয় তার মৃতদেহ । তবে এখনও জানা যায়নি তার মৃত্যুর কারণ ।
https://www.facebook.com/pundrotvbd/videos/564167524867198