বিরল প্রজাতির এক পাহাড়ি গরিলা দাকাশি। আবারও বিশ্বজুড়ে খবরের শিরোনামে।এর আগেও খবরে এসেছিল ডেমোক্র্যাটিক রিপাবলিক অফ কম্বোর এই গরিলাটি । কিন্তু এবার এল একদম মন খারাপ করে দিতে।মারা গেছে ১৪ বছরের এই বিরল প্রজাতির গরিলাটি । দীর্ঘদিন ধরে অসুস্থতার কারণেইমৃত্যু হয়েছে তার ।
২০১৯ সালে দাকাশি আলোড়ন ফেলে দিয়েছিল এক বনকর্মীর সেলফির মাধ্যমে। যখন ওই বনকর্মী ছবিটি তুলছিলেন পিছনে দাঁড়িয়ে ক্যামেরায় লুক দিয়ে দাঁড়িয়েছেল দাকাশিও। সেই সময় ওই ছবিটি ভাইরাল হয়েছিল সারা পৃথিবীতে। অবশেষে দাকাশির মৃত্যুর ঘটনায় নেমে এসেছে শোকের ছায়া।
ইনস্টাগ্রামে একটি বিবৃতি জারি করে জানানো হয়েছে দাকাশির মৃত্যুর খবর । সেখানে লেখা হয়েছে- ‘দুঃখের সঙ্গে জানাচ্ছি আমাদের প্রিয় অনাথ মাউন্টেন গরিলা দাকাশি মারা গিয়েছে। এক দশকেরও বেশি সময় ধরে পার্কের সেনকোয়েকি সেন্টারে ছিল সে।’
জানা গেছে, নিজের কেয়ারটেকার ও প্রিয় বন্ধু আন্দ্রে বোওমার বুকে মাথা রেখেই শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করে ওই মাউন্টেন গরিলাটি। সোশ্যাস মিডিয়ায় ভিরুঙ্গা জাতীয় উদ্যানের তরফে তার মৃত্যুর খরের পাশাপাশি শেয়ার করা হয়েছে সেই ছবিটিও। বিশ্বজুড়ে এই ছবি মন খারাপ করে দিয়েছে অসংখ্য মানুষের।
২০০৭ সাল থেকে দাকাশিকে রক্ষণাবেক্ষণের কাজ করেছেন আন্দ্রে বোওমা। মৃত মায়ের কোলে শুয়ে থাকা অবস্থায় দাকাশি মাত্র ২ বছরের ছিল। সেই সময় সেখান থেকেই উদ্ধার কড়া হয়েছিল দাকাশিকে। জঙ্গলে একা ফিরে যেতে ভয় পেয়েছিল দাকাশি, তাই বনকর্মীরা তাকে উদ্ধার করে নিয়ে গিয়েছিল অনাথ মাউন্টেন গরিলা সেন্টারে । এরপর থেকেই সেখানেই বড় হয়ে উঠেছিল দাকাশি এবং আন্দ্রেই তার দেখাশোনার দায়িত্বে ছিলেন।
আন্দ্রে বোওমা দাকাশির স্মৃতিচারণে বলেছেন, ‘এরকম একটা প্রাণীকে দেখাশোনা ও যত্ন করার সুযোগ পাওয়া গর্বের। বিশেষ করে এত ছোট বয়সে এত কষ্ট সহ্য করেছে দাকাশি। দাকাশি খুবই মিষ্টি স্বভাবের ও বুদ্ধিমতী ছিল। সে আমাকে বুঝিয়েছিল মানবজাতির সর্বশক্তি দিয়ে প্রাণীদের রক্ষার কাজ করা উচিত। আমি দাকাশিকে আমার বন্ধু বলতে পেরে গর্বিত। তাকে আমি একটা শিশুর মতো ভালোবেসেছি। যখনই তার সঙ্গে দেখা হয়েছে, আমার মুখে হাসি ফুটিয়েছে দাকাশি।’