বরগুনার পাথরঘাটায় একটি স্কুলের অষ্টম শ্রেণীতে অধ্যায়নত ছাত্রীর জোরপূর্বক আপত্তিকর ভিডিও মুঠোফোনে ধারণ করে ভিডিও শেয়ারিং অ্যাপ টিকটকে ছড়িয়ে দিয়েছে একই ক্লাসের সহপাঠী নাঈম।
ছাত্রী অভিভাকদের অভিযোগ, এ ঘটনায় থানায় মামলা করতে গেলেও পুলিশের সহযোগিতা পাওয়া যায়নি। বিচারে সহযোগিতা না পাওয়ায় আত্মহত্যার হুমকি দিয়েছিল ওই ছাত্রী।
এ নিয়ে দৈনিক নয়া দিগন্তের অনলাইনসহ বিভিন্ন গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশিত হলে ওই স্কুলছাত্রীর মা রুমা বেগমকে থানায় ডেকে মামলা নিয়েছেন পাথরঘাটা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি আবুল বাশার।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার তোফায়েল আহমেদ সরকার।
তিনি জানান, ওই ছাত্রীর মা রুমা আক্তার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন এবং ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে পাথরঘাটা থানায় মামলা দায়ের করেন।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, নাঈম তার একই ক্লাসের সহপাঠী ওই ছাত্রীকে বিভিন্ন সময় উত্যক্ত করে আসছেন। এ নিয়ে এক বছর আগে নাঈমের মামা ইউসুফের কাছে নালিশ করেও কোনো সমাধান পাননি ভুক্তভোগী পরিবারটি। এরপরে গত বুধবার ওই ছাত্রীকে নিয়ে একটি আপত্তিকর ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দেন নাঈম। এরপর রুমা বিষয়টি স্কুলের প্রধান শিক্ষকের কাছে জানালে তিনি বিচার করবেন বলে সন্ধ্যা পর্যন্ত অপেক্ষা করতে বলেন। প্রধান শিক্ষক নাঈমের পরিবারের সাথে যোগাযোগ করে ব্যর্থ হন। পরে শুক্রবার রাত ৯টার দিকে পাথরঘাটা থানার গিয়ে বিষয়টি ওসি আবুল বাশারকে মামলা করবে বলে জানান ওই ছাত্রী ও তার মা রুমা বেগম। কিন্তু ওসি দীর্ঘক্ষণ তাদের বসিয়ে রেখে পরে মামলা না নিয়ে পাঠিয়ে দেন। এরপর আবারো মামলা করার কথা জানালে তিনি তার ব্যক্তিগত কার্ড ধরিয়ে দিয়ে বলেন, পরে তার সাথে যোগাযোগ করতে।
নাঈম উপজেলার সদর ইউনিয়নের হাজির খাল গ্রামের সৌদি প্রবাসী সগির খানের ছেলে। সগির খানের স্ত্রী ছেলে নাঈমকে নিয়ে পৌর শহরে ভাড়া বাসায় থাকেন।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সার্কেল তোফায়েল হোসেন সরকার জানান, শনিবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে রুমা বেগম দু’জনের নামে মামলাটি দায়ের করেছেন। জেলা পুলিশ সুপারের নির্দেশে আসামিদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়ার জন্য চেষ্টা চলছে।