তালেবানের বিরুদ্ধে বড়সড় সাফল্য দাবি করেছে আফগান সেনাবাহিনী। রোববার দুটি টুইট করা হয়েছে। সেখানে দেখা যাচ্ছে, কান্দাহারে বিমান হামলা চালিয়ে তালেবান ঘাঁটি ধ্বংস করা হচ্ছে। আফগান সেনার দাবি, অন্যত্রও তালেবান ঘাঁটির ওপর বিমান হামলা চালানো হয়েছে। কয়েকশ তালেবানের মৃত্যু হয়েছে। অন্যদিকে, আফগান সেনার বিমান হামলা বন্ধ করতে পাল্টা পদক্ষেপ নিয়েছে তালেবান। কান্দাহার বিমানবন্দরে বিস্ফোরণ ঘটানো হয়েছে বলে জানিয়েছে বার্তা সংস্থা ডয়চে ভেলে ।
রোববার পর পর দুটি টুইট করে আফগান প্রশাসন। তার মধ্যে প্রথম টুইটে তারা একটি ভিডিও শেয়ার করে। যেখানে দেখা যাচ্ছে কান্দাহারের নির্দিষ্ট এলাকায় বিমান হামলা চালানো হয়েছে। আফগান সেনার দাবি, ওই হামলায় দশেরও বেশি তালেবান ‘উগ্রবাদী’র মৃত্যু হয়েছে। উগ্রবাদী শব্দটিই তারা টুইটে ব্যবহার করেছে। বিশেষজ্ঞদের একাংশের বক্তব্য, যে ভিডিও আফগান সেনা শেয়ার করেছে, তা থেকে স্পষ্ট, কেবল তালেবান নয়, বিমান হামলায় সাধারণ মানুষও প্রাণ হারিয়েছে। তবে আফগান প্রশাসন অভিযোগ মানতে চায়নি।
ওই দিনই আরো একটি টুইট করে আফগান প্রশাসন। সেখানে দাবি করা হয়, গোটা দেশে একাধিক বিমান হামলা চালানো হয়েছে। সব জায়গাতেই তালেবান ঘাঁটি লক্ষ্য করে বিমাল হামলা চালানো হয়েছে। সব মিলিয়ে অন্তত ২৫৪ জন তালেবানের মৃত্যু হয়েছে। গজনি, কান্দাহার, হিরাট, হেলমন্দ, কাবুলসহ একাধিক জায়গায় বিমান হামলা চালানো হয়েছে বলে দাবি করা হয়েছে টুইটে।
পাল্টা আক্রমণ করেছে তালেবানও। কান্দাহার বিমানবন্দর লক্ষ্য করে অন্তত তিনটি রকেট ছোড়া হয়েছে। একমাত্র বিমানবন্দর ব্যবহার করেই আফগান সেনা এখন কান্দাহারে ঢুকতে পারছে। বাকি সমস্ত সীমানা তালেবানের হাতে। তালেবান চাইছে বিমানবন্দর ধ্বংস করে আফগান সেনার যাতায়াতের পথ বন্ধ করতে।
আমেরিকাসহ একাধিক পশ্চিমা দেশ দাবি করছে, আফগানিস্তানের অর্ধেকরও বেশি অঞ্চল এখন তালেবানের হাতে। আগে তারা রাজধানীগুলো ঘিরে ফেলেছিল। এবার তারা একের পর এক রাজধানী শহরে ঢোকার চেষ্টা করছে। কিন্তু আফগান প্রশাসন এখনো সে কথা মানতে রাজি নয়। তালেবান এতগুলো জায়গা দখল করে ফেলেছে বলে তারা স্বীকার করছে না।
ভিডিও দেখতে এই লিংকে ক্লিক করুন।