মার্কিন ‘দ্য আটলান্টিক’ ম্যাগাজিনে বৃহস্পতিবার এক সাক্ষাৎকারে বিন সালমান এই মন্তব্য করেন। সৌদি আরবের নিরঙ্কুশ রাজতন্ত্রের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপ না করার ব্যাপারেও যুক্তরাষ্ট্রকে সতর্ক করেছেন তিনি।
তার সম্পর্কে বাইডেন ভুল বোঝেন কিনা- এমন প্রশ্নের জবাবে বিন সালমান বলেন, “আমি এ নিয়ে পরোয়া করি না। আমেরিকার স্বার্থ নিয়ে চিন্তা করা বাইডেনের ব্যাপার। আমাদের আমেরিকা নিয়ে লেকচার দেওয়ার অধিকার নেই। অন্যের ক্ষেত্রেও বিষয়টা একই।”
সৌদি যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমানের সঙ্গে সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্পের ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক ছিল। কিন্তু ২০২১ সালে নতুন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন দায়িত্ব নেওয়ার পর সৌদি আরবের মানবাধিকার রেকর্ড এবং ইয়েমেন যুদ্ধে দেশটির জড়িত থাকার বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান নিয়েছেন।
বাইডেন প্রশাসন ২০১৮ সালে সৌদি সাংবাদিক জামাল খাশুগজি হত্যার ঘটনায় যুবরাজ সালমানকে জড়িয়ে একটি তদন্ত প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। কিন্তু খাশুগজি হত্যায় জড়িত থাকার অভিযোগ অস্বীকার করেছেন বিন সালমান।
যুক্তরাষ্ট্র রাজবন্দিদের মুক্তি দেওয়ার জন্যও সৌদি আরবের ওপর চাপ সৃষ্টি করেছে। যুক্তরাষ্ট্রের এমনসব আচরণের পরিপ্রেক্ষিতে ‘দ্য আটলান্টিক’ ম্যাগাজিনের সাক্ষাৎকারে বিন সালমান বলেছেন, ইস্তাম্বুলের সৌদি কনস্যুলেটে জামাল খাশুগজি হত্যার ঘটনায় তার বিরুদ্ধে অভিযোগের আঙুল ওঠায় তার কাছে মনে হয়েছে যেন নিজের অধিকারই লঙ্ঘন হয়েছে।
সৌদি যুবরাজ বলেন, “আমি মনে করি মানবাধিকার আইন আমার বেলায় প্রযোজ্য হয়নি… মানবাধিকারের সার্বজনীন ঘোষণাপত্রের আর্টিকেল ১১ অনুযায়ী, কোনও ব্যক্তির দোষ প্রমাণ না হওয়া পর্যন্ত সে নির্দোষ।”