ঝালকাঠির কাঁঠালিয়া উপজেলার শৌলজালিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মাহমুদ হোসেন রিপনকে পরিষদ থেকে টেনেহিঁচড়ে বের করে মারধরের অভিযোগ উঠেছে। এ সময় প্যানেল চেয়ারম্যান মোস্তফা কামালকেও মারধর করা হয়।
মঙ্গলবার (১ জুলাই) সকালে চেয়ারম্যান মাহমুদ হোসেন রিপন উপজেলার সেন্টারের হাট সংলগ্ন শৌলজালিয়া ইউনিয়ন পরিষদে গেলে তাকে মারধর করে কচুয়া বাজারে নিয়ে যায় বিএনপির নেতাকর্মীরা।
মোস্তফা কামালের অভিযোগ, ৭ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য ও শৌলজালিয়া ইউনিয়নের বিএনপির সাবেক সভাপতি (বহিষ্কৃত) শামসুল আলমের নেতৃত্বে ৪০-৫০ জন বিএনপির নেতাকর্মীরা হামলা ও মারধর করেন।
ঘটনার পর কাঁঠালিয়া থানা পুলিশ ও সেনাবাহিনী গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করেন। মারধরের ঘটনার ৫৬ সেকেন্ডের একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ভাইরাল হয়েছে।
মাহমুদ হোসেন রিপন শৌলজালিয়া ইউনিয়নের আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি ছিলেন। গত ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর তিনি আত্মগোপনে ছিলেন।
সম্প্রতি একটি মামলায় উচ্চ আদালত থেকে জামিন পেয়ে ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করে আসছিলেন। অপরদিকে প্যানেল চেয়ারম্যান মোস্তফা কামাল ১ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য। তিনি চেয়ারম্যান মাহমুদ হোসেন রিপনের অনুসারী হিসেবে পরিচিত।হামলার ঘটনার সঙ্গে রিয়াজ, সোহাগ, মাসুম, রাজিব ও মোশাররফ মোল্লাসহ বিএনপির স্থানীয় নেতাকর্মীরা জড়িত ছিলেন বলে স্থানীয়রা জানিয়েছেন।
গত বছরের ৫ আগস্ট সরকার পতনের পর কাঁঠালিয়ায় ৬টি ইউনিয়নের মধ্যে ৪টি ইউনিয়ন পরিষদে চেয়ারম্যান পলাতক ও সদর ইউপি চেয়ারম্যান মারা যাওয়ায় দায়িত্ব পালন করে আসছেন প্যানেল চেয়ারম্যানরা। শুধুমাত্র শৌলজালিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মাহমুদ হোসেন রিপন প্রথমে পলাতক থাকলেও পরবর্তীতে স্থানীয় বিএনপি নেতৃবৃন্দের যোগসাজশে দায়িত্ব পালন করে আসছিলেন।
শৌলজালিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মাহমুদ হোসেন রিপনের মোবাইল ফোন বন্ধ থাকায় তার বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
এ বিষয়ে ৭ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য ও শৌলজালিয়া ইউনিয়নের বিএনপির বহিষ্কৃত সাবেক সভাপতি শামসুল আলম বলেন, উত্তেজিত জনতা চেয়ারম্যান মাহমুদ হোসেনকে মারধর করেছে। এ ঘটনার সাথে আমি জড়িত নই।
কাঁঠালিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মং চেনলা বলেন, মরধরের খবর পেয়ে আমি ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠিয়েছি। এ সময় কাউকে পাওয়া যায়নি। পরিস্থিতি এখন স্বাভাবিক রয়েছে।