বগুড়ায় শহরের নিশিন্দারা উত্তরপাড়া এলাকায় এলজিইডি’র অবসরপ্রাপ্ত হিসাব রক্ষক জোহাদ আলীর বিরুদ্ধে জায়গা দখল চেষ্টার অভিযোগ এনে সংবাদ সম্মেলন করেছেন স্থানীয় বাসিন্দা আজাদুল হক উজ্জ্বল। সোমবার দুপুরে বগুড়া প্রেসক্লাব মিলনায়তনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে অভিযোগ করা হয়, পৈত্রিক জমিতে সীমানা প্রাচীর দিতে গেলে অভিযুক্ত জোহাদ আলী ও তার পরিবারের সদস্যরা উজ্জ্বল ও তার পরিবারের সদস্যদের প্রাণনাশের হুমকি দিচ্ছেন।
লিখিত বক্তব্যে আজাদুল হক উজ্জ্বল জানান, তার বাবা আব্দুল মজিদ শাহ্ ১৯৭৬ সালের ৪ মে জোনাব আলীর কন্যা লাইলী বিবির কাছ থেকে জায়গা ক্রয় করেন; যার পরিমাণ নিশিন্দারা মৌজায় সিএস খতিয়ান ৪৯২, এমআরআর খতিয়ান ৭৯৪ এর ৯৩২দাগমূলে পুরাতন দাগে ১৪৭৬৩নং কবলা দলিল মূলে সাড়ে ৩ শতক। গত ৭ জানুয়ারি সকালে উজ্জ্বল ও তার ভাইয়েরা নিজেদের জমিতে প্রাচীর নির্মাণ করার জন্য গেলে নিশিন্দারা উত্তর পাড়ার কয়েকজন বাধা দেন এবং হুমকি ধামকী ও গালিগালাজ করেন। তারা হলেন বগুড়ার নিশিন্দারা উত্তরপাড়ার জোহাদ আলী (৬৫), হুমায়ুন (৪৫), ফরিদ (৪৬), রাজ (২৬) এবং রিজু (২৪)।
এ ঘটনায় বগুড়া সদর থানায় সাধারণ ডায়েরি করা হয়েছে। উজ্জ্বল তার লিখিত বক্তব্যে দাবি করেন, জোহাদ আলী একজন ভূমিদস্যু এবং গত ৯ জানুয়ারি রোববার মিথ্যা ও বানোয়াট অভিযোগ এনে সংবাদ সম্মেলন করেছেন উজ্বল তার পরিবারের বিরুদ্ধে। সংবাদ সম্মেলনে উপস্থাপন করা সব তথ্যই মিথ্যা। আজাদুল হক আরো দাবি করেন, জোহাদ আলী নওগাঁ এলজিইডিতে হিসাবরক্ষক থাকা অবস্থায় অর্থ আত্মসাতের মামলায় চাকুরীচ্যুত হন ও গ্রেফতার হন। প্রকৃতপক্ষে বিভিন্ন ব্যক্তির সম্পত্তি আত্মসাত করে নিজ ও স্ত্রীর নামে ৪০ বিঘা সম্পত্তি মালিকানা দাবি করে প্রায়ই নিশিন্দারা এলাকার বাসিন্দাদের হয়রানি করেন তিনি। এছাড়াও একাধিক জায়গা ও বাড়ীর মালিক সাবেক এই হিসাবরক্ষক।
মেয়ের বিয়েতে মেয়ে জামাইকে ৩০ লক্ষ টাকার গাড়িও উপহার দিয়েছেন। অপরদিকে নিশিন্দারা এলাকায় একটি কবরস্থান রয়েছে যার চারিদিকে নিজের জমি থাকা থাকায় স্থানীয়দের কবরস্থানে যাওয়ার পথও আটকে রেখেছেন দীর্ঘদিন ধরে। জায়গা সংক্রান্ত মিমাংসায় কাগজপত্র নিয়ে বসার কথা বলা হলেও জনপ্রতিনিধি বা আইনশৃঙ্খলা বাহীনির সাথে জোহাদ আলী বসতে রাজী হন না।
এঘটনায় জোহাদ আলীর আয় বহির্ভূত সম্পদের বিবরণী অনুসন্ধান এবং তার এহেন দখল-কর্মকাণ্ডের বিচারের দাবিও জানান আজাদুল হক উজ্জ্বল। সংবাদ সম্মেলনে এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন আজাদুল হকের ভাই রেজাউল করিম ও তোফাজ্জল হোসেন, ভাতিজা জাহাঙ্গীর আলম ও আল আমিন এবং প্রতিবেশি মাসুদুর রহমান মিলন।