মুখে দাড়ি রেখে দাঁড়িয়ে প্রসাব করা নিয়ে বিরোধেই খায়রুল ইসলাম সুমন (২৮) নামের যুবককে ছুরিকাঘাতে হত্যা করা হয়। হত্যার সাথে জড়িত প্রধান আসামি বাবুকে (২৭) গ্রেফতারের পর এ তথ্য জানিয়েছেন বগুড়ার পুলিশ সুপার।
সোমবার (৪ অক্টোবর) বগুড়ার পুলিশ সুপার সুদীপ কুমার চক্রবর্তী তার কার্যালয়ে প্রেস ব্রিফিংএ এ তথ্য জানিয়েছেন।
গ্রেফতারকৃত বাবু গাবতলী উপজেলার সোনারায় গ্রামের আব্দুস সামাদের ছেলে। তিনি বগুড়া শহরের কানুছগাড়ি এলাকায় ভাড়া বাসায় বসবাস করেন।
গত ২৯ সেপ্টেম্বর রাত সাড়ে ১০ টার দিকে বগুড়া শহরের কানুছগাড়ি এলাকায় খায়রুল ইসলাম সুমনকে ছুরিকাঘাতে খুন করা হয়।
প্রেস ব্রিফিংএ পুলিশ সুপার জানান, রোববার (৩ অক্টোবর) রাতে গোয়েন্দা পুলিশের একটি টিম কাহালু থানার মুরইল এলাকা থেকে বাবুকে গ্রেফতার করে। গ্রেফতারের পর বাবু হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে তার অন্য সহযোগীর নামও প্রকাশ করেন।
গ্রেফতারকৃত বাবু পুলিশকে জানান, ২৯ সেপ্টেম্বর রাত ১০ টার দিকে কানুছগাড়ি এলাকায় একটি গ্যারেজে প্রসাব করতে যায় খায়রুল ইসলাম সুমন। এ সময় তিনি দাড়িয়ে প্রসাব করছিলেন। মুখে দাড়ি রেখে দাড়িয়ে প্রসাব করার করা নিয়ে বাবু তাকে গালিগালাজ করে। এ নিয়ে তাদের মধ্যে তর্ক বিতর্ক হয়। একপর্যায় সুমন সড়কের পার্শ্বে রাখা তার প্রাইভেটকারে বসে থাকেন। কিছুক্ষণের মধ্যেই বাবু তার এক সহযোগীকে সাথে নিয়ে প্রাইভেট কারের গ্লাস ভেঙে সুমনের হাতে ছুরিকাঘাত করেন।
সুমন গাড়ি থেকে নেমে দৌড়ে একটি ফার্মেসিতে আশ্রয় নেন। সেখানে প্রবেশ করে সুমনকে উপুর্যপরী ছুরিকাঘাত করা হয়। পরে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
নিহত সুমন রংপুর শহরের সাতগাড়া মিস্ত্রীপাড়ার আব্দুল খালেকের ছেলে। তিনি বগুড়া শহরের সাবগ্রাম এলাকায় বসবাস করে রেন্ট এ কারের ব্যবসা করতেন। ঘটনার রাতে সুমন তার এক বন্ধুকে সাথে নিয়ে কানুছগাড়ি এলাকায় আড্ডা দিতে যান।