বগুড়ার গাবতলীতে বন্ধুকে গলাকেটে হত্যার ঘটনার সাথে জড়িত আসামি জাহিদ হাসান মামুনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। উদ্ধার করা হয়েছে ছিনিয়ে নেয়া একটি মোটরসাইকেল।
নিহত ইব্রাহিমের বাড়ি গাবতলী হলেও থাকতেন শেরপুরে মামার বাড়িতে। গেল ৩-৪ মাস আগে ইব্রাহিমের স্থানিয় বখাটে বন্ধু তাকে নিয়ে মদ কিনতে আসে বগুড়া শহরে। শহরের নিশিন্ধারা এলাকার একটি ইট ভাটায় ইব্রাহিম, জাহিদ হসান, মামুনসহ মদ পান করে আরো কয়েকজন।
পরে জাহিদসহ অন্যান্ন আসামিরা পরিকল্পনা করে ইব্রাহিমকে হত্য করে তার মোটর সাইকেল ছিন্তায়ের। একপর্যায়ে ধারালো ব্লেট দিয়ে ফেস দেয় গলায়।
রক্তাক্ত অবস্থায় মাটিতে লুটিয়ে পরে ইব্রাহিম। তাকে মৃত ভেবে মোটর সাইকের নিয়ে পালিয়ে যায় আসামিরা। কিছুক্ষন পর প্রাণে বাঁচতে স্থানিয় একটি মুদি দোকানে উঠে ইব্রাহিম। দোকানদার সোহাগ তার ফোন থেকে কল করে তার স্বজন এবং পুলিশকে জানান। পরে শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয় ইব্রাহিমকে। চিকিৎসাধীন অবস্থায় গেল ১৪ সেপ্টেম্বরে মারা যায় সে।
মঙ্গল বার বেলা ১১ টায় এক প্রেস ব্রিফিং এ এসব তথ্য জানান, বগুড়া জেলা পুলিশ সুপার সুদীপ কুমার চক্রবতী। এ ঘটনার সাথে জড়ির বাকি আসামীদের দ্রুত গ্রেতার অভিযান চলছে। গ্রেফতারকৃত আসমীকে রিমান্ডে নেয়ার জন্য আদালতে আবেদন করা হবে বলে জানান তিনি।
সমাজে অসংখ্য মানুষ আছে বন্ধু বেশে এক সাথে ঘোরে, আবার সুযোগ পেলে জীবন কেড়ে নেয় তারই। তাই বন্ধু বেছে নেয়ার পূর্বে এসকল বিষয় জানাদরকার এমনটাই মনে করেন সমাজ বিশ্লেষকরা।