1. shahajahanbabu@gmail.com : admin :
বেড়েছে মাছ, অন্যান সবজিসহ সকল পণ্যের দাম - Pundro TV
শুক্রবার, ০৩ মে ২০২৪, ০৯:১৭ অপরাহ্ন



বেড়েছে মাছ, অন্যান সবজিসহ সকল পণ্যের দাম

অনলাইন ডেস্ক
  • প্রকাশিতঃ শনিবার, ২৬ আগস্ট, ২০২৩

প্রয়োজনীয় প্রায় সব পণ্যের অস্বাভাবিক দামে বাজারে দিশেহারা অবস্থা ক্রেতাদের। পরিস্থিতি এমন হয়েছে যে, কোনো পণ্য কম বা বেশি কিনে আর হিসাব মেলানো যাচ্ছে না। একটি বা দুটি পণ্যে নয়, মাছ-মাংস থেকে শুরু করে সবজি, ডিম, আদা-রসুন, আলু, পেঁয়াজ সবকিছুর দামই এখন সাধারণের নাগালের বাইরে। শুক্রবারও রাজধানীর বাজারে উত্তাপ ছড়িয়েছে পেঁয়াজের দাম। এ দিন প্রতি কেজি দেশি পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছে ৯০ এবং আমদানি পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছে ৭৫ টাকার উপরে; ডিমের হালি ৬০ টাকা আর ডজন বিক্রি হয়েছে দেড়শ’ টাকায়। পেঁপে ও মিষ্টি কুমড়া ৫০ টাকার নিচে থাকলেও অন্যান্য সবজি বিক্রি হয়েছে ৮০ থেকে ১৩০ টাকা দরে। এছাড়াও নতুন করে বেড়েছে আদা ও রসুনের দাম, ৫ টাকা বেড়ে আলু বিক্রি হয়েছে ৪৫ টাকা কেজি দরে।

অন্যদিকে গরুর মাংসের কেজি বিক্রি হয়েছে ৭৯০ টাকা, সোনালি মুরগি ৩৩০ ও লেয়ার ৩৫০ টাকা দরে। চড়া দাম অব্যাহত আছে মাছ বাজারেও, যা ভোক্তার অস্বস্তি কয়েকগুণ বাড়িয়ে দিয়েছে।

কনজ্যুমার অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ক্যাব)-এর সভাপতি গোলাম রহমান বলেন, বর্তমান বাজারের প্রায় সব পণ্যই এখন সিন্ডিকেট আর অতি মুনাফাভোগীদের দখলে। পরিস্থিতির উন্নতি তো দূরের কথা, ক্রমে আরও অবনতির দিকে যাচ্ছে। সামগ্রিক বাজার ব্যবস্থাপনার উন্নতি ও সিন্ডিকেটের বিরুদ্ধে কঠোর না হলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরেই থাকবে। পণ্যের দাম বাড়লে, এর প্রতিক্রিয়ায় কেবল আমদানির অনুমতি দিয়েই দায় সারছেন বলেও জানান তিনি।

এবারও বাজার নিয়ন্ত্রণে ৯ দেশ থেকে পেঁয়াজ আমদানির অনুমতি ও আমদানি শুল্ক হ্রাসের চিন্তা করেছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। যদিও গত দু’মাস ধরেই চড়া দেশি পেঁয়াজের বাজার। তখন ভারত থেকে আমদানি করা হলেও বাজারে কোনো প্রভাব দেখা যায়নি। সবশেষ গত সপ্তাহের শুরুতে ভারত পেঁয়াজে ৪০ শতাংশ শুল্ক অরোপ করায় ৫০ টাকা থেকে বেড়ে তা ৭০ টাকায় কেজি বিক্রি হচ্ছে। প্রায় ২০ টাকা বেড়ে দেশি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে বেড়ে ৯০ টাকায়। অথচ বাড়তি শুল্ক আরোপে বাজারে সর্বোচ্চ ৭ থেকে ৯ টাকা পর্যন্ত দাম বাড়ার কথা।

বিক্রেতারা জানান, অন্যান্য দেশ থেকে আমদানি করা হলেও বাজারে পেঁয়াজের দামে খুব একটা প্রভাব পড়বে না। কারণ খরচ আরও বেড়ে যাবে। তাদের হিসেবে বর্তমানে আমদানি ব্যয়ের থেকে কেজিতে ১০ থেকে ১৫ টাকা বেশি নেওয়া হচ্ছে।

এদিকে হঠাৎ করে এ সপ্তাহে বেড়েছে আদা ও রসুনের দাম। এদিন প্রায় ৪০ টাকা বেড়ে বড় রসুনের কেজি বিক্রি হয়েছে ২৫০ থেকে ২৬০ টাকা এবং আদা বিক্রি হয়েছে ২শ’ টাকা দরে। অন্যদিকে গত সপ্তাহের দাম অব্যাহত ছিল ডিম ও মুরগির বাজারে।

এর মধ্যে ক্রেতা অস্বস্তি বাড়িয়ে দিয়েছে সব ধরনের মাছ ও সবজির লাগামহীন দাম। এদিন মাঝারি আকারের রুইয়ের কেজি বিক্রি হয়েছে ৪৫০ টাকা, কাতল ৪শ’ টাকা, পাঙ্গাশ ২৩০ টাকা, চাষের কই ৩৭০ টাকা, তেলাপিয়া ৩শ’ টাকা ও শিং মাছ ৬শ’ টাকার উপরে। সপ্তাহ ব্যবধানে এসব মাছের কেজিতে বেড়েছে প্রায় ২০ থেকে ৫০ টাকা এবং দু-মাসের ব্যবধানে কিছু মাছে বেড়েছে প্রায় ১শ’ টাকার উপরে। এছাড়া বাড়তির দিকেই রয়েছে সব ধরনের নদী-নালা ও সামুদ্রিক মাছের দাম। গত ঈদের পর থেকে এসব মাছের কেজিতে প্রায় ২শ’ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে বলে জানিয়েছেন বিক্রেতারা।

যথারীতি এদিনও ৯শ’ গ্রামের বেশি ওজনের ইলিশ বিক্রি হয়েছে ১৬শ’ থেকে ১৮শ’ টাকা, শোল মাছ ৮শ’ টাকা, পাবদা ৬শ’ থেকে ৬৫০ টাকা, ট্যাংরা মাছের কেজি ৭শ’ টাকা, পোয়া মাছ ৪শ’ থেকে ৬শ’ টাকা, মাঝারি আকারে বোয়াল ৭শ’ থেকে ৮শ’ টাকা, গুঁড়া মাছ ৪শ’ টাকা, ছোট চিংড়ি ৫শ’ টাকা, গলদা ৭শ’ এবং বাগদা ৮শ’ থেকে ৯শ’ টাকা দরে।

মিরপুর-১ এর পাইকারি আড়তের ব্যবসায়ীরা জানান, কর্মচারী থেকে শুরু করে পরিবহণ, ফ্রিজিং, দোকান ভাড়া সব দ্বিগুণ হয়েছে। এছাড়াও আগের থেকে মাছ কম ধরা পড়ছে। তাই দাম বেড়েছে। একই অবস্থা স্থানীয় আড়তগুলোর, সেখানে ব্যয় বেড়ে যাওয়ায় দাম বাড়িয়ে দেওয়া হয়েছে।

অন্যদিকে গত কয়েক সপ্তাহের মতো এদিনও বেশিরভাগ সবজি বিক্রি হয়েছে চড়া দামে। শুক্রবার বাজারে আসা প্রতি কেজি তাল বেগুন বিক্রি হয়েছে ১২০ টাকা, সবুজ গোল বেগুন বিক্রি হয়েছে ১শ’ টাকা এবং সরু বেগুন বিক্রি হয়েছে ৮০ টাকা দরে। অন্যদিকে ঝিঙ্গা, ধুনধুল, চিচিঙ্গা, করল্লা ও ঢেঁড়শের কেজিও বিক্রি হয়েছে ৮০ টাকার উপরে। ৭০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হয়েছে কাকরোল, কচুরলতি, পটল, লাউ ও চাল কুমড়ার পিস। প্রায় ৬০ টাকা বেড়ে প্রতি কেজি কাঁচা মরিচ বিক্রি হয়েছে ২৫০ টাকার উপরে। তবে মিষ্টি কুমড়া ও শসা বিক্রি হয়েছে ৫০ টাকা এবং পেঁপের কেজি বিক্রি হয়েছে ৩৫ টাকা দরে।

সংবাদটি শেয়ার করুন

এ সম্পর্কিত আরো সংবাদ
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত ২০২২
Developed By ATOZ IT HOST