1. shahajahanbabu@gmail.com : admin :
বিএনপি থাকলে ঘৃণা ও সাংঘর্ষিক রাজনীতি থেকে কখনো যাবে না:তথ্যমন্ত্রী - Pundro TV
রবিবার, ০৫ মে ২০২৪, ০২:৩২ অপরাহ্ন



বিএনপি থাকলে ঘৃণা ও সাংঘর্ষিক রাজনীতি থেকে কখনো যাবে না:তথ্যমন্ত্রী

অনলাইন ডেস্ক
  • প্রকাশিতঃ মঙ্গলবার, ২২ আগস্ট, ২০২৩

তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হাছান মাহমুদ বলেছেন, বিএনপি যত দিন রাজনীতির মাঠে থাকবে, রাজনীতির মাঠ কলুষমুক্ত হবে না, ঘৃণা ও সাংঘর্ষিক রাজনীতি কখনো যাবে না।

২০০৪ সালের ২১ আগস্ট ঢাকার বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের সমাবেশে ভয়াবহ গ্রেনেড হামলার ১৯তম বার্ষিকী নিয়ে আজ সোমবার দুপুরে সচিবালয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তথ্যমন্ত্রী এ কথা বলেন।

হাছান মাহমুদ বলেন, বিএনপি হত্যা-খুনের রাজনীতিতেই বিশ্বাস করে, খুনের রাজনীতি করে। খালেদা জিয়ার জ্ঞাতসারে তারেক রহমান ২১ আগস্ট ঘটিয়েছে। আর ১৫ আগস্ট ঘটিয়েছে জিয়াউর রহমান। এরা যত দিন রাজনীতির মাঠে থাকবে, রাজনীতির মাঠ কলুষমুক্ত হবে না।

তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী বলেন, শেখ হাসিনাকে হত্যার উদ্দেশ্যে, আওয়ামী লীগকে নেতৃত্বশূন্য করার উদ্দেশ্যে এই গ্রেনেড হামলা পরিচালনা করা হয়েছিল। ঘটনার পূর্বাপর বিশ্লেষণে দিবালোকের মতো স্পষ্ট যে তখনকার সরকারের প্রত্যক্ষ পৃষ্ঠপোষকতায় বিএনপি এবং জঙ্গিগোষ্ঠীকে সঙ্গে নিয়ে এ ঘটনা ঘটানো হয়েছে। সেখানে যে গ্রেনেড পাওয়া গিয়েছিল, সেগুলো সেনাবাহিনী যুদ্ধ ময়দানে ব্যবহার করে। এই গ্রেনেড তো সন্ত্রাসীদের কাছে থাকার কথা না। এগুলো সরকারের পক্ষ থেকে দেওয়া হয়েছে।

তথ্যমন্ত্রী আরও বলেন, একজন সেনা কর্মকর্তা আলামত হিসেবে একটি গ্রেনেড রেখে দিয়েছিল। সে কেন রেখে দিল, সে জন্য তাকে সেনাবাহিনী থেকে সাসপেন্ড করা হয়েছে। কারণ, অন্য সব আলামত ধ্বংস করা হয়েছিল, হামলার স্থান পানি দিয়ে ধুয়ে দেওয়া হয়েছিল। তিনি বলেন, ‘শেখ হাসিনা সেদিন আহত হলেও সৃষ্টিকর্তার কৃপায় ভাগ্যক্রমে বেঁচে গেছেন, আমাদের নেতারা বঙ্গবন্ধুকন্যার চারপাশে মানবঢাল তৈরি করেছিলেন। আওয়ামী লীগের ২২ জন নেতা-কর্মী সেদিন নিহত হয়েছেন, পাঁচ শরও বেশি নেতা-কর্মী আহত হয়েছেন। সমগ্র পৃথিবী নিন্দা ও ধিক্কার জানিয়েছে। কিন্তু সংসদে একটি শোকপ্রস্তাব আনতে বা কোনো আলোচনাও করতে দেওয়া হয়নি; বরং হাস্যরস করা হয়েছে।’

সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে হাছান মাহমুদ বলেন, ‘কিছু মানবাধিকার ব্যবসায়ী আছে, দেশেও আছে, আন্তর্জাতিক অঙ্গনেও আছে। কিছু মানবাধিকার সংগঠনও এটাকে ব্যবসা হিসেবে নিয়েছে। আর কিছু দেশ মানবাধিকারকে একটা অস্ত্র হিসেবে নিয়েছে অন্য দেশকে ঘায়েল করার জন্য। যারা এগুলো করে তাদের দেশে যে চরম মানবাধিকার লঙ্ঘন হয়, সেটি নিয়ে তো কোনো কথা হয় না। যারা ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলার বা অগ্নিসন্ত্রাসের নিন্দা জানায় না, ১৫ আগস্টের হত্যাকাণ্ডকে রাজনৈতিক বিষয় আখ্যা দিয়ে কিছু বলতে চায় না, এরা আসলে মানবাধিকারকর্মী বা মানবাধিকার সংগঠন নয়, এরা মানবাধিকার নিয়ে ব্যবসা করে।

সংবাদটি শেয়ার করুন

এ সম্পর্কিত আরো সংবাদ
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত ২০২২
Developed By ATOZ IT HOST