বগুড়ার সোনাতলায় এসএসসি পরীক্ষা কেন্দ্রে মোবাইল ফোন নিয়ে প্রবেশ ও ফেসবুক ম্যাসেঞ্জার গ্রুপের মাধ্যমে নৈর্ব্যক্তিক প্রশ্নের নকল করায় দুই ছাত্রীকে বহিষ্কার করা হয়েছে। মঙ্গলবার সকালে সোনাতলা পাইলট বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রে এ ঘটনা ঘটে।
আর ওই ফেসবুক ম্যাসেঞ্জার গ্রুপের মাধ্যমে নৈর্ব্যক্তিক প্রশ্নের উত্তর সরবরাহকালে শামীম আহমেদ হৃদয় (২৩) নামে এক কোচিং শিক্ষককে গ্রেফতার করা হয়েছে। মঙ্গলবার সকালে সোনাতলা পাইলট বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রের সামনে থেকে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সাঈদা পারভীন তাকে আটক করেন। পরে তাকে পুলিশে দেওয়া হয়েছে।
স্কুলের প্রধান শিক্ষক ও কেন্দ্র সচিব মোনারুল ইসলাম এ তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
গ্রেফতার শামীম আহমেদ হৃদয় সোনাতলা উপজেলার ছাতিয়ানতলা গ্রামের ছায়েদ মণ্ডলের ছেলে।
বহিষ্কৃত পরীক্ষার্থীরা হলেন- সোনাতলা আবদুল মান্নান বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের ছাত্রী আফরিনা জাহান ও ভিকেনেরপাড়া উচ্চ বিদ্যালয়ের ছাত্রী কুমারী শ্রাবন্তী রানী।
কেন্দ্র সচিব ও পুলিশ জানায়, মঙ্গলবার বেলা ১১টার দিকে সোনাতলা পাইলট বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রে বাংলা দ্বিতীয়পত্রের পরীক্ষা চলছিল। কেন্দ্রের বাহিরে হৃদয় নৈর্ব্যক্তিক প্রশ্নের উত্তর তৈরি করে তার মোবাইল ফোনে পরীক্ষার্থীদের সরবরাহ করছিলেন। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সাঈদা পারভীন বিষয়টি টের পেয়ে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করলে ঘটনার সত্যতা পাওয়া যায়। আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করলে তিনি জানান, মোবাইল ফোনে ফেসবুক ম্যাসেঞ্জারে ‘এসএসসি ব্যাচ ২০২৩’ নামে গ্রুপের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের উত্তরপত্র সরবরাহ করছিলেন। পরে তার দেওয়া তথ্য অনুসারে কাছে মোবাইল ফোন পাওয়া গেলে আফরিনা জাহান ও শ্রাবন্তী রানীকে বহিষ্কার করা হয়। তারাও ওই ম্যাসেঞ্জার গ্রুপে যুক্ত ছিলেন এবং নৈর্ব্যক্তিক প্রশ্নের উত্তর নকল করছিলেন।
সোনাতলা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সাঈদা পারভীন জানান, গ্রেফতার হৃদয়কে ভ্রাম্যমাণ আদালতে সাজা দিলে গ্রুপের অন্যরা বেঁচে যেত। সে কারণে থানায় নিয়মিত মামলার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
সোনাতলা থানার ওসি সৈকত হাসান জানান, শামীমের বিরুদ্ধে মামলার প্রস্তুতি চলছে। কেউ রাজি না হলে পুলিশ বাদী হয়ে মামলা করবে।