1. shahajahanbabu@gmail.com : admin :
শেষ হল অমর একুশে বইমেলা - Pundro TV
বুধবার, ০১ মে ২০২৪, ০১:৩১ পূর্বাহ্ন



শেষ হল অমর একুশে বইমেলা

অনলাইন ডেস্ক
  • প্রকাশিতঃ বুধবার, ১ মার্চ, ২০২৩

বইমেলা শুরু হয়েছে ১ ফেব্রুয়ারি (বুধবার)। ফেব্রুয়ারি মাস পুরোটা জুড়েই সোওরাওয়ার্দীতে চলে বইয়ের উৎসব এবং উৎসবমুখর পরিবেশে চলে বইমেলা।

গতকাল মঙ্গলবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) পর্দা নেমেছে বইমেলার।

বাংলা একাডেমি চত্বরে বইমেলা শুরু হয়েছিল চিত্তরঞ্জন সাহার হাত ধরে। দিনটি ছিল ১৯৭২ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি। যুদ্ধবিধ্বস্ত বাংলাদেশ। বর্তমান বাংলা একাডেমি তৎকালীন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সংলগ্ন বর্ধমান হাউস প্রাঙ্গণের বটতলায় বই নিয়ে এসেছিলেন প্রকাশনা জগতের এক চিরস্মরণীয় ব্যক্তি, চিত্তরঞ্জন সাহা।১৯৭১ সালের মে মাসে তিনি আশ্রয় নিয়েছিলেন ভারতের কলকাতায়।

কলকাতায় তখন বাংলাদেশের বহু লেখক, সাহিত্যিক, শিল্পী, বুদ্ধিজীবী আশ্রয় নিয়েছিলেন। সেখানেই তিনি বই প্রকাশের উদ্যোগ নেন এবং মুক্তিযুদ্ধের ওপর ৩২টি বই প্রকাশ করেন। সেসব বই নিয়েই আয়োজন করা হয়েছিল বাংলাদেশের প্রথম বইমেলার।

সে বছর বাংলা একাডেমিও একুশে ফেব্রুয়ারি উপলক্ষে হ্রাসকৃত মূল্যে বই বিক্রি করেছিল। তবে, চিত্তরঞ্জন সাহার স্বাধীন বাংলা-সাহিত্য পরিষদ (পরে মুক্তধারা প্রকাশনী) ছিল একমাত্র বেসরকারি প্রকাশনা প্রতিষ্ঠান।

১৯৭২ থেকে ১৯৭৬ সাল পর্যন্ত চিত্তরঞ্জন সাহা নিজে চালিয়ে যান এ বইমেলা। চিত্তরঞ্জন সাহার আগ্রহ এবং মানুষের ভালোবাসার কারণে ১৯৭৮ সালে বাংলা একাডেমি এই উদ্যোগকে আনুষ্ঠানিকভাবে স্বীকৃতি দেয়ার প্রয়োজনীয়তা অনুভব করে।

১৯৭৯ সালে মেলার সঙ্গে যুক্ত হয় বাংলাদেশ পুস্তক বিক্রেতা ও প্রকাশক সমিতি। এ সংস্থাটিও প্রতিষ্ঠা করেছিলেন চিত্তরঞ্জন সাহা। ১৯৮৪ সালে এসে গ্রন্থমেলার জন্য বিধিবদ্ধ নীতিমালা প্রণীত হয় এবং গ্রন্থমেলার নাম হয় ‘অমর একুশে গ্রন্থমেলা’। সেই থেকে এ গ্রন্থমেলা প্রতি বছর প্রায় একই আঙ্গিকে অনুষ্ঠিত হয়ে আসছে।

বইপ্রেমী বাঙালিরা অপেক্ষায় থাকে ফেব্রুয়ারি আসবে কবে এবং কখন বইমেলা শুরু হবে। অপেক্ষার অবসান ঘটিয়ে এবারও এসেছিল বইমেলা এবং আজ সে বইমেলা ইতি টানছে।

বইমেলায় বই কেনা, পাঠক ও দর্শনার্থীদের আগমন এবং পদচারণাকে বিবেচনা করে বইমেলা সফল। করোনাভাইরাসের কারণে ২ বছর পাঠক আনাগোনা এত ছিল না বইমেলায়। তবে, এবার সে ভয় কাটিয়ে ওঠে দর্শনার্থী এবং পাঠরা ভিড় জমিয়েছেন বইমেলায়।

বইমেলাও সাজানো হয়েছে আগের বছরগুলোর তুলনায় ভিন্ন রূপে। বইমেলা প্রাঙ্গণ বিগত বছরের তুলনায় ছোট করে আনা হলেও স্টল কিন্তু অন্য সব বারের চেয়ে এবার বেশি বসেছে। এবারের বইমেলার মোট স্টল ৯০১টি। ফুড কর্ণার, ফায়ার স্টেশন থেকে তথ্যকেন্দ্র, নিরাপত্তা ব্যবস্থা থেকে বসার ব্যবস্থা প্রত্যেকটি জিনিস সুসজ্জিত এবং সাজানো গোছানো ছিল।

সংবাদটি শেয়ার করুন

এ সম্পর্কিত আরো সংবাদ
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত ২০২২
Developed By ATOZ IT HOST