পাকিস্তানের করাচির পুলিশ সদর দফতরে সন্ত্রাসী হামলা হয়েছে। হামলায় পুলিশসহ চার জন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন আরও ১৮ জন। এরপর পাল্টা অভিযানে ৫ সন্ত্রাসীকে হত্যা করা হয়। এরমধ্যে তিন জন নিজেই নিজেকে উড়িয়ে দিয়েছে এবং বাকি ২ জনকে পাক নিরাপত্তাবাহিনী গুলি করে হত্যা করেছে।
হামলার দায় স্বীকার করেছে তেহরিক-ই-তালেবান (টিটিপি)। নিষিদ্ধ গোষ্ঠীটি পাকিস্তানি তালেবান নামেই পরিচিত। আফগানিস্তানে তালেবানরা ক্ষমতায় এলে সেখান থেকে যোদ্ধারা পাকিস্তানে ফিরে আসতে শুরু করে। গত দুই বছরে পাকিস্তানে এ ধরণের হামলা ক্রমশ বেড়ে চলেছে। প্রতি সপ্তাহেই হামলা চালাতে শুরু করেছে তেহরিক-ই-তালেবান।
করাচির পুলিশ সদর দফতরে হামলার পর দু’পক্ষের মধ্যে ব্যাপক গোলাগুলি হয়।
ভেতরে অনেকগুলো গ্রেনেডের বিস্ফোরণ হয়েছে। সংঘর্ষের সময় পুলিশ সদর দফতরের ভেতরে থাকা কর্মীরা বাতি নিভিয়ে দিয়েছিলেন এবং ভেতরে ঢোকার রাস্তা অবরুদ্ধ করে রেখেছিলেন। করাচির শারায় ফয়সাল রোডের দু’দিক থেকে যানবাহন চলাচল বন্ধ করে দেয়া হয়। এই রাস্তার পাশেই পুলিশ সদর দফতর অবস্থিত।
হামলা শুরুর পর শহরের অন্যান্য এলাকা থেকে ঘটনাস্থলে অতিরিক্ত পুলিশ পাঠানো হয়। ওই ভবনের আশেপাশে স্নাইপার মোতায়েন করা হয়। উদ্ধারকর্মীরাও সেখানে হাজির হয়। পুলিশ কর্মকর্তাদের বিশ্বাস, অন্তত সাত জন এই হামলার সাথে জড়িত ছিল। দেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী খাজা আসিফ বলেছেন, এসময়ে শুধু নিন্দাই যথেষ্ট নয়। এটি উদ্বেগজনক যে পেশোয়ার হামলার দুই বা তিন সপ্তাহের মধ্যে আরেকটি হামলার ঘটনা ঘটেছে। পেশোয়ারের ওই হামলায় ৮০ জনেরও বেশি মানুষ নিহত হয়েছিলেন।