1. shahajahanbabu@gmail.com : admin :
খেরসনে ৪০০ যুদ্ধাপরাধ করেছে রাশিয়া: জেলেনস্কি - Pundro TV
মঙ্গলবার, ৩০ এপ্রিল ২০২৪, ১১:১১ অপরাহ্ন



খেরসনে ৪০০ যুদ্ধাপরাধ করেছে রাশিয়া: জেলেনস্কি

পুন্ড্র.টিভি ডেস্ক
  • প্রকাশিতঃ সোমবার, ১৪ নভেম্বর, ২০২২

টানা প্রায় ৯ মাস ধরে ইউক্রেনে বিশেষ সামরিক অভিযান পরিচালনা করছে রাশিয়া।

রুশ এই আগ্রাসনের কারণে ইউরোপজুড়ে যুদ্ধের দামামা, একই সঙ্গে চলছে সামরিক-বেসামরিক লোকজনের প্রাণহানিও।

এ পরিস্থিতিতে রাশিয়া ও প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের বিরুদ্ধে ইউক্রেনে যুদ্ধাপরাধের অভিযোগ উঠেছিল আগেই।

তবে সম্প্রতি দক্ষিণাঞ্চলীয় খেরসন ফিরে পাওয়ার পর রাশিয়ার বিরুদ্ধে আবারও যুদ্ধাপরাধের এ অভিযোগ তুলেছেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি।

রাশিয়া তাদের সেনা প্রত্যাহারের পর ইউক্রেনীয় কর্তৃপক্ষ খেরসনের নিয়ন্ত্রণ নেয় এবং এর পর থেকে তদন্তকারীরা খেরসন অঞ্চলে গণকবরসহ ৪০০টিরও বেশি যুদ্ধাপরাধের আলামত উন্মোচন করেছে বলে অভিযোগ করেছেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি।

তার দাবি, এ অঞ্চলে বেসামরিক ও সৈন্যদের মৃ তদেহ পাওয়া গেছে। তবে রুশ সৈন্যদের ইচ্ছাকৃতভাবে বেসামরিক নাগরিকদের হামলার টার্গেট করার বিষয়টি বরাবরই অস্বীকার করে এসেছে মস্কো।

চলতি বছরের ফেব্রুয়ারির শেষের দিকে আগ্রাসন শুরুর পর মার্চের প্রথম সপ্তাহে ইউক্রেনের অন্যতম প্রধান শহর এবং বন্দরনগরী খেরসন দখল করে নেয় রাশিয়া।

এ ছাড়া প্রথম বড় কোনো ইউক্রেনীয় শহর হিসেবে খেরসন দখল করেছিলেন রুশ সেনারা। এর প্রায় দুই মাসের মাথায় খেরসনের পুরো অঞ্চলটি দখলে নেয় মস্কোর বাহিনী।

প্রায় তিন লাখ বাসিন্দার খেরসন শহর ও অঞ্চলটি রাশিয়ার সামরিক বাহিনীর দখলে যাওয়া মস্কোর জন্য বড় ধরনের বিজয় বলে মনে করা হয়েছিল। মূলত রুশ সামরিক বাহিনীর জন্য গুরুত্বপূর্ণ ঘাঁটিও ছিল এ শহর।

তবে গত শুক্রবার রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের এক ব্রিফিংয়ে বলা হয়, ইউক্রেনের দক্ষিণের খেরসন অঞ্চলের দিনিপ্রো নদীর পশ্চিমতীর থেকে রাশিয়ার সব সৈন্য প্রত্যাহার শেষ হয়েছে।
শুক্রবার রুশ সেনারা সেটি পরিত্যাগ করার পর শহরের বাসিন্দারা উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেন এবং শহরের কেন্দ্রে ইউক্রেনীয় সৈন্যদের স্বাগত জানান।

অপরদিকে, রুশ সেনাবাহিনী চলে যাওয়ার পর শুক্রবার খেরসন শহর দখলমুক্ত করেছ ইউক্রেনীয় সেনারা। তবে ইউক্রেনের আশঙ্কা, রুশ সেনারা এখন নিপ্রো নদীর ওপারে অবস্থান নিয়ে গোলা হামলা শুরু করতে পারে। সে কারণে ওই নদীপথে ১৩ থেকে ১৯ নভেম্বর পর্যন্ত নৌযান চলাচল নিষিদ্ধ করা হয়েছে।

খেরসন অঞ্চলে রাশিয়ার বিস্ফোরক ছড়িয়ে–ছিটিয়ে আছে। স্থানীয় লোকজন যারা এলাকা ছেড়ে পালিয়েছিলেন, তাদের এখনই বাড়ি না ফেরার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। তাদের বাড়িতে মাইন পুঁতে রাখা আছে কি না, তা পরীক্ষা করে নিশ্চিত হওয়ার পরই ফিরতে বলা হয়েছে।

ইউক্রেনীয় কর্তৃপক্ষ খেরসনে কারফিউ জারি করেছে। খেরসন থেকে বাইরে যাওয়া এবং বাইরের এলাকা থেকে খেরসনে প্রবেশের ওপর বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়েছে।

রবিবার রাতে দেওয়া এক ভিডিও বক্তব্যে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি  বলেন,  খেরসন অঞ্চলের বিভিন্ন এলাকায় ৪০০-এর বেশি যুদ্ধাপরাধের ঘটনা উন্মোচিত হয়েছে। এসব ঘটনার জন্য রাশিয়াকে দায়ী করেছেন তিনি।

ভিডিও বার্তায় জেলেনস্কি বলেন, খেরসনে বেসামরিক নাগরিক এবং সেনাদের মৃতদেহ পাওয়া গেছে। রুশ সেনাবাহিনী আমাদের দেশের যেসব অঞ্চলে ঢুকে নৃশংসতা চালিয়েছে, একই ধরনের নৃশংসতার চিহ্ন খেরসনেও রেখে গেছে তারা। আমরা প্রত্যেক খুনিকে খুঁজে বের করে বিচারের মুখোমুখি করব। এ ব্যাপারে কোনো সন্দেহ নেই।

বিবিসি বলছে, তারা ইউক্রেনের অভিযোগের সত্যতা যাচাই করতে পারেনি। তবে মস্কো বরাবরই বলে আসছে তারা ইচ্ছাকৃতভাবে বেসামরিকদের লক্ষ্যবস্তু করেনি।

ইউক্রেনে রুশ অভিযান শুরুর পর বুচা, ইজিয়াম, মারিউপোলসহ বিভিন্ন এলাকায় গণকবরের সন্ধান পাওয়া গেছে। ইউক্রেনের অভিযোগ, রুশ সেনারাই এ নৃশংস কর্মকাণ্ড চালিয়েছেন।

সংবাদটি শেয়ার করুন

এ সম্পর্কিত আরো সংবাদ
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত ২০২২
Developed By ATOZ IT HOST