তুরস্কের বন্দরনগরী ইস্তানবুলের ব্যস্ত সড়কে এক শক্তিশালী বিস্ফোরণে অন্তত ৬ জন নিহত ও ৮১ জন আহত হয়েছে।
ইরানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র নাসের কানয়ানি তুরস্কে বোমা হামলায় নিরপরাধ মানুষের প্রাণহানিতে তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, তুরস্কের জনগণ ও জাতীয় নিরাপত্তাকে লক্ষ্য করে যে কোনো ধরনের সন্ত্রাসী হামলার নিন্দা জানায় তেহরান। খবর ইরনার।
তিনি ওই হামলায় নিহতদের আত্মার মাগফিরাত কামনা করেন এবং আহতদের দ্রুত আরোগ্য কামনা করেন।
ইস্তানবুলের বেইয়োগ্লু এলাকার বিখ্যাত ইস্তিকলাল সড়কে রোববার বিকাল ৪টার দিকে ওই বিস্ফোরণ ঘটে।
এলাকাটি স্থানীয়দের পাশাপাশি পর্যটকদের আনাগোনায় ভরপুর থাকে। বিস্ফোরণের কারণ এখনো স্পষ্ট নয় এবং কোনো গোষ্ঠী এ বিস্ফোরণের দায় এখন পর্যন্ত স্বীকার করেনি।
তবে বিস্ফোরণটি একটি বোমা হামলা ছিল বলে ইস্তানবুলের বিভিন্ন সংবাদ সূত্র জানিয়েছে। তুর্কি প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েব এরদোগান ওই হামলার নিন্দা জানিয়েছেন।
তিনি এ হামলায় জড়িতদের খুঁজে বের করে কঠোর শাস্তি দেওয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট সবার প্রতি আহ্বান জানান।
অপরদিকে, ভারতের মুম্বাইয়ে যুদ্ধজাহাজ থেকে উদ্ধার হয়েছে নৌসেনা কর্মকর্তার গুলিবিদ্ধ রক্তাক্ত মরদেহ।
শনিবার মুম্বাই হারবারের কাছে ঘটনাটি ঘটেছে। নিজের সার্ভিস রিভলভার দিয়েই বুকে গুলি করে ওই কর্মকর্তা আত্মহত্যা করেছেন বলে দাবি সহকর্মীদের। খবর আনন্দবাজার পত্রিকার।
এ ঘটনায় দুর্ঘটনাজনিত মৃত্যুর মামলা করেছে কোলাবা থানার পুলিশ।
পুলিশ জানায়, নিহত নৌসেনা কর্মকর্তার নাম হ্যাপি সিংহ তোমর। আইএনএস চেন্নাই যুদ্ধজাহাজের যান্ত্রিক দিক দেখভাল করতেন তিনি।
স্ত্রীকে নিয়ে নেভি নগরের সরকারি আবাসনে থাকতেন হ্যাপি। ইতোমধ্যে তার লাশ পরিবারের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে।
মামলার তদন্তকারীরা জানান, জেজে হাসপাতালে ওই নৌসেনা কর্মকর্তার মরদেহের ময়নাতদন্ত হয়েছে। সার্ভিস রিভলভার দিয়ে নিজের বুকে গুলি করেছেন তিনি।
এক পুলিশ কর্মকর্তার বলেন, কোনো সুইসাইড নোট উদ্ধার হয়নি। মৃতের মোবাইল ফোনটি উদ্ধার করে সেটি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। জানার চেষ্টা হচ্ছে, ব্যক্তিগত কোনো সমস্যা তিনি মানসিক রোগে ভুগছিলেন কিনা।