ইউক্রেনের দক্ষিণ–পূর্ব অঞ্চলের দোনেৎস্কে রুশ বাহিনী হামলা চালিয়ে একটি গ্রাম দখল করে নিয়েছে।
রোববার রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের মুখপাত্র ইগর কোনাশেনকভ এক বিবৃতিতে এসব কথা জানান।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, রুশ সেনারা পূর্ব ইউক্রেনের দোনেৎস্ক অঞ্চলের মায়োরস্ক নামে একটি গ্রাম দখল করেছে।
কোনাশেনকভ বলেন, রুশ সেনাদের সফল আক্রমণাত্মক অভিযানের ফলে, মায়োরস্ক গ্রামটি দোনেৎস্কের দিক থেকে সম্পূর্ণরূপে মুক্ত করা হয়েছে।
তবে পূর্বাঞ্চলে প্রথম দিকে যুদ্ধ বিশেষভাবে ভয়াবহ হয়েছে। এ অঞ্চলে ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে।
উল্লেখ্য, গত ২১ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনের পূর্বাঞ্চলীয় লুহানস্ক ও দোনেৎস্ককে (যা একত্রে দোনবাস নামে পরিচিত) আলাদা স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। এর পর ওই দুই অঞ্চলকে বেসামরিকীকরণ, ইউক্রেনের ন্যাটোতে যোগ না দেওয়ার নিশ্চিয়তা ও দেশটিকে নাৎসিমুক্ত ২৪ ফেব্রুয়ারি থেকে বিশেষ সামরিক অভিযান শুরু করে রাশিয়া। এরই মধ্যে ইউক্রেনের বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ শহর দখলে নিয়েছে রুশ বাহিনী।
অপরদিকে,
চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের সঙ্গে উচ্চপর্যায়ের আলোচনার সম্পর্কে জোর দেবেন জানিয়ে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বলেছেন, আমরা চীনের সঙ্গে যোগাযোগ ও আলোচনার দরজাও সবসময় উন্মুক্ত রাখতে চাই।
রোববার কম্বোডিয়ার রাজধানী নমপেনে অনুষ্ঠিত পূর্ব এশিয়ার দেশগুলোর সম্মেলন ‘ইস্ট এশিয়া সামিটে’ অংশগ্রহণ করে চীন সংক্রান্ত নানা ইস্যুতে যুক্তরাষ্ট্রের অবস্থান স্পষ্ট করেছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন।
বাইডেন বলেন, চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংকে তিনি ভালোভাবেই চেনেন। জিনপিংও তাকে চেনেন। তাদের মধ্যে সব সময় সোজাসাপটা আলোচনা হয়েছে। তবে তাদের মধ্যে অল্প ভুল–বোঝাবুঝিও রয়েছে।
বাইডেন বলেছেন, চীনের সঙ্গে আমাদের প্রতিযোগিতা অব্যাহত থাকবে এবং আমরা বেশ শক্তভাবেই এতে (প্রতিযোগিতায়) থাকব; কিন্তু এই প্রতিযোগিতা যেন কখনও সংঘাতে রূপ না নেয়, সেজন্য আমরা (চীনের সঙ্গে) যোগাযোগ ও আলোচনার দরজাও সবসময় উন্মুক্ত রাখতে চাই।
নিজ বক্তব্যে ইউক্রেনে সামরিক অভিযানের জন্য রাশিয়ার কড়া সমালোচনাও করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট। ইউক্রেনের যুদ্ধকে ‘নিষ্ঠুর ও অন্যায্য’ বলে উল্লেখ করেছেন তিনি।
তাইওয়ান ইস্যুতে যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের মধ্যে উত্তেজনা রয়েছে। এক দশকেরও বেশি সময় ধরে বাইডেন ও জিনপিং একে অন্যের সঙ্গে পরিচিত। পাশাপাশি দক্ষিণ চীন সাগর ও তাইওয়ান প্রণালিতে চীনকে ‘সংযত’ থাকারও আহ্বান জানিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট।
বাইডেনের ভাষ্যমতে, তাইওয়ান, দক্ষিণ চীন সাগর, উইঘুর মুসলিমসহ বিভিন্ন ইস্যুতে চীনের সঙ্গে দ্বন্দ্ব থাকলেও বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম অর্থনীতির এই দেশটির সঙ্গে সংঘাতে জড়ানোর কোনো ইচ্ছে যুক্তরাষ্ট্রের নেই।
পরিবর্তে চীনের সঙ্গে প্রতিযোগিতামূলক একটি সম্পর্ক রাখা এবং সেই সঙ্গে মানবাধিকার সংক্রান্ত বিভিন্ন ইস্যুতে চীনের ভূমিকার প্রতিক্রিয়া জানানোতেই আগ্রহী যুক্তরাষ্ট্র।