নিরাপদ সড়ক চাই আন্দোলনের পুরোধা ইলিয়াস কাঞ্চন বলেছেন, দেশকে ভালোবাসার প্রমাণ হলো যে যার জায়গায় আছে সে সেই জায়গা থেকে তার দায়িত্ব পালন করবে। সড়ক দুর্ঘটনাসহ সব অনিয়মই হচ্ছে দুর্ঘটনা। ব্যক্তিস্বার্থ না থাকলে আমরা সেই কাজ করিনা। স্বার্থকে নিয়ন্ত্রণ করার দায়িত্ব কার? আমরা ব্যক্তি স্বার্থ আদায় করতে পারি, কিন্তু সমষ্ঠিগত স্বার্থ আদায় করতে পারিনা।
জাতিসংঘের হিসেব মতে প্রতিবছর দেশে সড়ক দুর্ঘটনায় ২৫ হাজার লোক মারা যায়। অথচ দুর্ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্ত লোকেরাও নিরাপদ সড়ক চাই আন্দোলনের সাথে সরাসরি সম্পৃক্ত হচ্ছেনা।
মঙ্গলবার বিকেলে বগুড়া পর্যটন মোটেলে নিরাপদ সড়ক চাই, বগুড়া জেলা শাখা আয়োজিত মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এই কথা বলেন।
সমাজের বিশিষ্ট সুধীজন এবং সাংবাদিকদের সাথে মত বিনিময় সভায় সভাপতিত্ব করেন নিরাপদ সড়ক চাই আন্দোলন, বগুড়ার সভাপতি রোটারিয়ান মোঃ মোস্তাফিজুর রহমান। এতে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন নিরাপদ সড়ক চাই আন্দোলনের কেন্দ্রিয় ভাইস চেয়ারম্যান সৈয়দ এহসান উল হক কামাল, মহাসচিব লিটন এরশাদ। অতিথির বক্তব্য রাখেন হাইওয়ে পুলিশ সুপার হরেশ্বর রায়,
বগুড়ার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ট্রাফিক) হেলেনা আকতার, দৈনিক করতোয়া সম্পাদক মোজাম্মেল হক, বিআরটিএ বগুড়ার সহকারি পরিচালক এটিএম মইনুল হাসান, ডা. মশিহুর রহমান, জলেশ্বরীতলা ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক এ্যাডনিস বাবু তালুকদার। বক্তব্য রখেন প্রকৌশলী হেলাল উদ্দিন ১৩ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর মোঃ আল মামুন, সাংবাদিক রেজাউল হাসান রানু, নিরাপদ সড়ক চাই, বগুড়ার সাধারণ সম্পাদক রফিকুল ইসলাম সোহাগ।
মত বিনিময় সভায় ইলিয়াস কাঞ্চন আরও বলেন, ১০ থেকে ১২ কদম কম হাটার জন্য সাধারণ মানুষ জীবনের ঝুঁকি নিয়ে আড়াআড়ি রাস্তা পারাপার হয়। মহাসড়কে এখন দেদারসে ইজি বাইক, নছিমন ভটভটি চলাচল করে। ইজিবাইক ভটভটি চলাচল বন্ধ করার কথা বললে বলা হয় এটা বন্ধ করলে তারা কি খেয়ে বাঁচবে। ইলিয়াস কাঞ্চন প্রশ্ন রেখে বলেন যখন ইজি বাইক ছিলো না। তখন তারা যা করতে এখনও তই করবে। তিনি বলেন ইজি বাইক চালিয়ে যেমন তাদের বাঁচার অধিকার আছে, তেমনি সাধারণ মানুষেরও নিরাপদ ভাবে বাঁচার অধিকার আছে।
https://fb.watch/gnPSCQ9AxT/