ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষের বিজ্ঞান অনুষদভুক্ত ‘ক’ ইউনিটের প্রথমবর্ষ স্নাতক (সম্মান) শ্রেণির ভর্তি পরীক্ষার ফল প্রকাশ করা হয়েছে। প্রকাশিত ফলাফল অনুযায়ী, পরীক্ষায় অংশ নেওয়া ১ লাখ ১০ হাজার ৩৭৪ জনের মধ্যে উত্তীর্ণ হয়েছেন ১১ হাজার ৪৬৬ জন। সে হিসাবে পাসের হার ১০.৩৯ শতাংশ। আসন সংখ্যা কমানোর পর এবার উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীদের মধ্যে শুধু ১৭৮১ জনই এ ইউনিটের মাধ্যমে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির সুযোগ পাবেন। ১২০ নম্বরের পরীক্ষায় ১১৫ পেয়ে প্রথম হয়েছেন নটরডেম কলেজের শিক্ষার্থী আসীর আনজুম খান। তিনি বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) ভর্তি পরীক্ষাতেও প্রথম স্থান অধিকার করেছিলেন।
গতকাল দুপুর সাড়ে ১২টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস চ্যান্সেলর অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে প্রশাসনিক ভবনের অধ্যাপক আব্দুল মতিন চৌধুরী ভার্চ্যুয়াল ক্লাসরুমে আনুষ্ঠানিকভাবে এ ভর্তি পরীক্ষার ফল প্রকাশ করেন। গত ১০ই জুন ‘ক’ ইউনিটের পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। ঢাবি’র ফলাফল ঘোষণার রীতিতে সংখ্যাতাত্ত্বিক পরিসংখ্যান তুলে ধরার পাশাপাশি সংশ্লিষ্ট ইউনিটে মেধা তালিকা প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় স্থান অর্জনকারীদের পরিচয় ও প্রাপ্ত নম্বর প্রকাশ করা হয়। গতকাল ‘ক’ ইউনিটের মেধাতালিকায় প্রথম তিনজনের নাম ঘোষণা করলে দেখা যায় তাদের সবারই প্রাপ্ত নম্বর সমান। ভর্তি পরীক্ষায় আসীর আনজুম খান, খালিদ হাসান তুহিন ও জারিফা তাবাসসুম একই নম্বর পান।
এমসিকিউ ও লিখিত মিলিয়ে সর্বমোট ১২০ নম্বরের অনুষ্ঠিত এ পরীক্ষায় তিনজনের প্রাপ্ত নম্বরই ৯৫। আবার মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার রেজাল্ট থেকে যোগকৃত নম্বরও ২০। তাহলে মেধাক্রম নির্ধারিত হলো কীভাবে? ফলাফল প্রকাশ অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকা ‘ক’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষার সমন্বয়কারী ফার্মেসি অনুষদের ডিন অধ্যাপক সীতেশ চন্দ্র বাছার বিষয়টি ব্যাখ্যা করেন। তিনি বলেন, ভর্তি পরীক্ষায় আমরা তিনটি বিষয়ে নম্বর দেখেছি। পদার্থ বিজ্ঞান, রসায়ন ও গণিতে কে নম্বর বেশি পেয়েছে। সেভাবেই তাদের মধ্য থেকে প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় নির্ধারণ করা হয়েছে। সেই অনুযায়ী প্রথম হয়েছেন নটর ডেম কলেজের আসীর আনজুম খান। খালিদ হাসান তুহিন দ্বিতীয় ও জারিফা তৃতীয় হয়েছেন। খালিদ হাসান তুহিনও নটর ডেম কলেজের শিক্ষার্থী। তৃতীয় হওয়া জারিফা তাবাসসুম জয়পুরহাট গার্লস ক্যাডেট কলেজ থেকে উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েছেন। শীর্ষ তিনজনই একই নম্বর পেলেও এই সুনির্দিষ্ট প্রক্রিয়ায় তাদের মধ্যে ক্রম নির্ধারণ করা হয়েছে। ‘গ’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষার প্রকাশিত ফলাফলে পাসকৃত সব শিক্ষার্থীকে ৬ই জুলাই বিকাল ৩টা থেকে ২১শে জুলাই বিকাল ৫টা পর্যন্ত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইটে বিস্তারিত ফরম ও বিষয় পছন্দক্রম ফরম পূরণ করতে হবে। কোটায় আবেদনকারীদের ১৭ই জুলাই থেকে ২৪শে জুলাই পর্যন্ত সংশ্লিষ্ট কোটার ফরম ব্যবসায় শিক্ষা অনুষদের ডিন কার্যালয় থেকে সংগ্রহ করতে হবে। তা যথাযথভাবে পূরণ করে ওই সময়ের মধ্যে ডিন কার্যালয়ে জমা দিতে হবে। প্রকাশিত ফলাফলে কোন শিক্ষার্থী অসন্তুষ্ট হলে তিনি উত্তরপত্র পুনঃনিরীক্ষার জন্য ১ হাজার টাকা ফি দেওয়া সাপেক্ষে ৬ থেকে ২১শে জুলাই পর্যন্ত ব্যবসায় শিক্ষা অনুষদের ডিন কার্যালয়ে আবেদন করতে পারবেন।