আগামী পাঁচ বছরের জন্য নতুন একটি সরকার নির্বাচনের লক্ষ্যে ভোট কেন্দ্রে যাচ্ছে পাকিস্তানের লাখ লাখ ভোটার। বাড়তে থাকা মুদ্রাস্ফীতি, সহিংসতা ও কারচুপির আশঙ্কার মধ্যেই দেশজুড়ে ভোট গ্রহণ করা হচ্ছে আর তাতে লড়ছেন ১৭ হাজারেরও বেশি প্রার্থী।
বৃহস্পতিবার স্থানীয় সময় সকাল ৮টায় সাধারণ নির্বাচনের ভোট গ্রহণ শুরু হয়েছে, চলবে একটানা বিকাল ৫টা পর্যন্ত। সহিংসতা বা কোনো ঝামেলার কারণে ভোট গ্রহণ বিঘ্নিত হলে নির্বাচনী কর্মকর্তারা ভোটের সময় বৃদ্ধি করতে পারবেন।
ভোট শেষ হওয়ার কয়েক ঘণ্টার মধ্যে প্রথম বেসরকারি ফলাফল পাওয়া যাবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। শুক্রবারের সকালের মধ্যে ফলাফলের পরিষ্কার একটি চিত্র পাওয়া যেতে পারে। তবে অনেক বিশ্লেষকের বিশ্বাস কোনো দলই হয়তো একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা পাবে না, জানিয়েছে রয়টার্স।
পাকিস্তানের পরবর্তী সরকার কারা গঠন করবে তা নির্ধারিত হবে এই ভোটে। যেখানে ভোট দেবেন দেশটির ১২ কোটি ৮০ লাখ ভোটার।
এদিন কেন্দ্রীয় আইনসভার পাশাপাশি চারটি প্রদেশের আইনসভার নির্বাচনও অনুষ্ঠিত হবে। একজন ভোটার দুটি করে ভোট দেবেন, একটি জাতীয় আইনসভার জন্য অপরটি প্রাদেশিক আইনসভার জন্য।
পাঞ্জাব প্রদেশে জয়ী দলই সাধারণত পাকিস্তানের সাধারণ নির্বাচনে জয়ী হয়।
পাকিস্তানের গণমাধ্যম ডন জানিয়েছে, সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান ও কারারুদ্ধ অন্য বিশিষ্ট রাজনৈতিক নেতারা আদিয়ালা কারাগার থেকে পোস্টাল ব্যালটের মাধ্যমে তাদের ভোট দিয়েছেন। কিন্তু ইমরানের স্ত্রী বুশরা বিবি ভোট দিতে পারেননি, কারণ তাকে গ্রেপ্তারের আগেই পোস্টাল ভোটের প্রক্রিয়া শেষ হয়ে গিয়েছিল।
পার্লামেন্টে অনাস্থা ভোটে ইমরান খান ক্ষমতা হারানোর প্রায় দুই বছর পর দেশটিতে সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে। পাকিস্তানের তিনবারের প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফও এবারের নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
‘অবনতি হতে থাকা নিরাপত্তা পরিস্থিতির’ কথা উল্লেখ করে দেশটির স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ‘দেশজুড়ে অস্থায়ীভাবে মোবাইল পরিষেবা বন্ধ রাখার’ সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছে।