1. shahajahanbabu@gmail.com : admin :
নীলফামারীর সবকটি আসনে শক্ত অবস্থানে আ.লীগ ছাড়তে নারাজ জাতীয় পার্টি - Pundro TV
মঙ্গলবার, ৩০ এপ্রিল ২০২৪, ০৯:৪৭ অপরাহ্ন



নীলফামারীর সবকটি আসনে শক্ত অবস্থানে আ.লীগ ছাড়তে নারাজ জাতীয় পার্টি

স্টাফ রিপোর্টার
  • প্রকাশিতঃ শনিবার, ৯ ডিসেম্বর, ২০২৩

আসিফ ইশতিয়া লিওন:

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে এবার জয়ের লড়াইয়ে এগিয়ে থাকতে চায় সক্ষমতাশীন দল আওয়ামী লীগ।অপরদিকে আসন ছাড়তে নারাজ জাতীয় পার্টি ও স্বতন্ত্র প্রার্থীরা। এরই মাঝে নির্বাচন নিয়ে সরগরম নীলফামারী জেলা। অপরদিকে এবার জেলায় বিএনপির কোন প্রার্থীকে দেখা যায়নি।নির্বাচনকে ঘিরে কোন প্রস্তুতি নেই জেলা বিএনপির।

নির্বাচনকে ঘিরে নিজের অবস্থান শক্ত করতে ব্যস্ততা বেড়েছে প্রার্থীদের।শুরু হয়েছে ভোট গগনার দিন। ভোটাররাও সিদ্ধান্ত নিচ্ছে কে হবে জনপ্রতিনিধি। নির্বাচনকে ঘিরে এখন পর্যন্ত জেলায় কোন ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি।

নীলফামরী ১ (ডোমার- ডিমলা) দুই উপজেলা ২০ টি ইউনিয়ন  ও একটি পৌরসভা নিয়ে গঠিত এ আসনটি।এখানে মোট ভোটার ৪ লাখ ৩০ হাজার ৩ জন। এর মধ্যে পুরুষ ২ লাখ ১৭ হাজার ৬২৭, নারী ২ লাখ ১২ হাজার ৩৭৪ জন।এ আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসেবে বীরমুক্তিযোদ্ধা আফতার উদ্দিন সরকার অপরদিকে জাতীয় পার্টি প্রার্থী হিসেবে লে. কর্ণেল (অবঃ) তসলিম। স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন জমা দিয়েছেন বাংলাদেশ ন্যাশনালিষ্ট ফ্রন্ট(বিএনএফ) প্রার্থী সিরাজুল ইসলাম, জাতীয় পার্টির প্রার্থী সাবেক সেনা কর্মকর্তা লেফটেন্যান্ট কর্ণেল (অব.) তসলিম উদ্দীন, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী আন্দোলন(বিএনএম) মনোনীত প্রার্থী জাফর ইকবাল সিদ্দিকী, জাকের পার্টির প্রার্থী লতিবালী রহমান লতিফ, স্বতন্ত্র প্রার্থী খায়রুল আলম বাবুল, ন্যাশনাল পিপলস পার্টি(এনপিপি) মনোনীত প্রার্থী করুনা ময় মল্লিক ও তৃণমূল বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের প্রার্থী অ্যাড. এন কে আলম চৌধুরী।স্বতন্ত্র প্রার্থী ব্যারিস্টার ইমরান কবির চৌধুরী জনি, জাতীয় পার্টি(জেপি) মনোনীত প্রার্থী মখদুম আজম মাশরাফী,

এ আসনে বর্তমান সংসদ সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন আফতাব উদ্দিন সরকার। তিনি ডিমলা উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি।  প্রার্থীদের পছন্দের তালিকায় থাকলেও এবার জাতীয় পার্টি বলছে জয় হবে তাদের।স্বতন্ত্র প্রার্থীরাও ছাড়তে নারাজ এ আসন। এ আসনে এবার শক্ত অবস্থানে আওয়ামী লীগ।

নীলফামারী ২(নীলফামারী সদর উপজেলা) একটি পৌরসভা এবং ১৫টি ইউনিয়ন নিয়ে গঠিত আসন।এ আসনটি জেলা গুরুত্বপূর্ণ আসন। মোট ভোটার ৩ লাখ ৫৯ হাজার ৩৭০ জন। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার ১ লাখ ৮০ হাজার ২৬৯, নারী ভোটার ১ লাখ ৭৯ হাজার ১০১ জন।

এ আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসেবে আসাদুজ্জামান নূর। তিনি বর্তমান সংসদ সদস্য।অপরদিকে জাতীয় পার্টি প্রার্থী হিসেবে শাহজাহান আলী চৌধুরী। স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন জমা দিয়েছেন স্বতন্ত্র প্রার্থী বীর মুক্তিযোদ্ধা জয়নাল আবেদীন,বাংলাদেশ পিপলস পার্টির প্রার্থী বিকাশ চন্দ্র অধিকারী ও জাকের পার্টির প্রার্থী আবু সাঈদ। বাংলাদেশ কংগ্রেস মনোনীত প্রার্থী মোরছালিন ইসলাম,

এ আসনে প্রার্থীদের পছন্দের তালিকায় সংস্কৃতিমন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূর। নির্বাচনে তিনি আওয়ামী লীগের দলীয় মনোনয়ন পেয়েছেন। জেলার এ আসনটি গুরুত্বপূর্ণ আসন।তবে দীর্ঘ সময় ধরে এ আসনে তিনি সংসদ সদস্য হিসেবে আছেন। এ আসনটিতে আওয়ামী লীগ রয়েছে শক্ত অবস্থানে। তবে জাতীয় পার্টি বলছেন এ আসনে জয় হবে তাদের। জয়ের আশায় স্বতন্ত্র প্রার্থীরাও।

নীলফামারী ৩ (জলঢাকা উপজেলা) ১১ ইউনিয়ন এবং একটি পৌরসভা নিয়ে এ আসন।মোট ভোটার ২ লাখ ৭৬ হাজার ১১৩ জন। পুরুষ ১ লাখ ৩৫ হাজার ৪২৭ ও নারী ১ লাখ ৪০ হাজার ৬৮৫ জন।এ আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসেবে গোলাম মোস্তফা অপদিকে জাতীয় পার্টি প্রার্থী হিসেবে  মেজর (অবঃ) রানা মো. সোহেল রানা। স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন জমা দিয়েছেন সাবেক সংসদ সদস্য(জাপা) কাজি ফারুক কাদের, কেন্দ্রীয় যুবলীগ ত্রাণ ও সমাজ কল্যাণ সম্পাদক সাদ্দাম হোসেন পাভেল,জেলা যুব মহিলা লীগ সহ-সভাপতি ও আওয়ামীলীগ মনোনীত প্রার্থী অধ্যাপক গোলাম মোস্তফার স্ত্রী মার্জিয়া সুলতানা, জেলা বঙ্গবন্ধু পরিষদ সাধারন সম্পাদক রোকনুজ্জামান, উপজেলা আওয়ামীলীগ সাধারন সম্পাদক আবু সাঈদ শামীম,উপজেলা সাবেক যুবলীগ যুগ্ন আহবায়ক হুমায়ুন কবির হুকুম আলী,জাসদ (ইনু) অধ্যাপক আজিজুল ইসলাম, বাংলাদেশ কল্যাণ পাটি ডা. বাদশা আলমগীর, গণতন্ত্রী পাটি মোজাম্মেল হক, তৃণমূল বিএনপি খলিলুর রহমান।

মহাজোটের প্রার্থী হিসেবে এ আসন থেকে এমপির দায়িত্ব পালন করছেন জলঢাকা উপজেলা জাতীয় পার্টির আহ্বায়ক রানা মোহাম্মদ সোহেল। তবে এবার আওয়ামী লীগের দলীয় মনোনয়ন পাওয়া প্রার্থী গোলাম মোস্তফার দাবি বিপুল ভোটে জয় হবে নৌকার ৷ এ আসনে নৌকা এবং জাতীয় পার্টির জনপ্রিয়তা প্রায় সমান। তবে ভোটাররা সিদ্ধান্ত নিচ্ছে এবার জনপ্রতিনিধি হবে কে।

অন্যদিকে স্বতন্ত্রদেরও জয়ের আশা। এ আসনে নৌকা না পেয়ে জয়ের আশায় স্বতন্ত্র মনোনয়ন জমা দিয়েছেন বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগ কেন্দ্রীয় কমিটির ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক সাদ্দাম হোসেন পাভেল। এতে দলীয় মনোনয়ন পাওয়া প্রার্থীর ভোট কিছুটা কমবে।

নীলফামারী ৪( সৈয়দপুর – কিশোরগঞ্জ)
সৈয়দপুর উপজেলার পাঁচটি ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভা এবং কিশোরগঞ্জ উপজেলার ৯টি ইউনিয়ন নিয়ে এ আসন। মোট ৪ লাখ ২৬ হাজার ৩৪ জন ভোটার। পুরুষ দুই লাখ ১৪ হাজার ২৯০  নারী দুই লাখ ১১ হাজার ৭৩৯ জন ও তৃতীয় লিঙ্গ (হিজরা) ভোটার পাঁচজন। এ আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসেবে  বীরমুক্তিযোদ্ধা জাকির হোসেন বাবুল অপরদিকে জাতীয় পার্টি থেকে প্রার্থী হিসেবে আহসান আদেলুর রহমান আদেল। স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন জমা দিয়েছেন সৈয়দপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মোখলেদুল মোমিন, আওয়ামী লীগের সদস্য সাখাওয়াত হোসেন, সৈয়দপুর জাতীয় পার্টির আহবায়ক সিদ্দিকুর রহমান, তৃনমুল বিএনপি থেকে ড,আব্দুলাহ আল নাসের, ন্যাশনাল জাতীয় পার্টির মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল হাই সরকার, জাসদের আজিজুল ইসলাম, বিএনএম এর সাদেকুল ইসলাম।

এ আসনে বর্তমান সংসদ সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন সংসদ সদস্য আহসান আদেলুর রহমান আদেল। গতবারে মহাজোট হলেও এবার এ আসনে নৌকা পেয়েছেন জাকির হোসেন বাবুল।  দুই দলে ছাড়তে নারাজ এ আসন। বর্তমান সংসদ সদস্য উন্নয়ন কম করায় ভোটাররা এবার নতুন জনপ্রতিনিধি নির্বাচনের সিদ্ধান্ত নিচ্ছেন ভোটাররা তবে সৈয়দপুর আওয়ামী লীগের সভাপতি মোকছেদুল মোমিন স্বতন্ত্র প্রার্থী হওয়ায় নৌকার পক্ষে ভোট কিছুটা কম হবে বলে মনে করছেন সমর্থকরা। তবে এ আসনে জয়ের আশায় শক্ত অবস্থানে আওয়ামী লীগ।

সংবাদটি শেয়ার করুন

এ সম্পর্কিত আরো সংবাদ
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত ২০২২
Developed By ATOZ IT HOST