কোয়াড ‘ভালোর পক্ষের শক্তি’। ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলের সমৃদ্ধির জন্য কাজ করছে কোয়াড। চীনের আগ্রাসন রুখতেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে এটি। মঙ্গলবার কোয়াড বৈঠকে যোগ দিয়ে এসব কথাই বলেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। জাপানের রাজধানী টোকিওতে অনুষ্ঠিত হয় ওই সম্মেলন। এতে যোগ দিয়েছেন কোয়াডের ৪ সদস্য দেশ যুক্তরাষ্ট্র, জাপান, অস্ট্রেলিয়া এবং ভারতের রাষ্ট্রপ্রধানরা।
এনডিটিভি জানিয়েছে, সম্মেলনের সাইডলাইনে মার্কিন প্রেসিডেন্ট বাইডেনের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক আলোচনা করেছেন মোদি।
বাইডেন ভারত যুক্তরাষ্টের সম্পর্কের কথা উল্লেখ করে বলেন, আমরা একসঙ্গে অনেক কিছু করতে পারি। অমাদের এই সম্পর্ক বিশ্বের সবথেকে ঘনিষ্ট সম্পর্কগুলোর একটিতে উদাহরন দিতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
হিন্দুস্তান টাইমস জানিয়েছে, নিজের বক্তব্য রাখার সময় কোয়াডের নানা প্রশংসা করেন মোদি। তিনি বলেন, কম সময়ের মধ্যেই বিশ্বের মঞ্চে গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় আসীন হয়েছে কোয়াড। বর্তমানে কোয়াডের হাতে প্রচুর সুযোগ আছে। করোনাভাইরাস মহামারীর কঠিন পরিস্থিতি সত্ত্বেও টিকা বণ্টন, জলবায়ু সংক্রান্ত পদক্ষেপ, জোগান ব্যবস্থার স্থিতিস্থাপকতা, বিপর্যয়ের মোকাবিলা এবং অর্থনৈতিক সহযোগিতার মতো ক্ষেত্রে পারস্পরিক সমন্বয় বাড়িয়েছি আমরা।
ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলে চীনের আগ্রাসন রুখতে কোয়াড অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে বলেও বক্তব্যে উল্লেখ করেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, এ অঞ্চলে শান্তি, সমৃদ্ধি এবং স্থিতিশীলতা বজায় রেখেছে কোয়াড
গঠনমূলক কর্মসূচি নিয়ে ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলে কোয়াড এগিয়ে চলেছে। এটি ভালোর পক্ষের শক্তি। মোদি আরও বলেন, চার দেশের পারস্পরিক বিশ্বাস এবং দৃঢ়প্রতিজ্ঞার কারণে বিশ্বের গণতান্ত্রিক শক্তিগুলো নতুন উন্মাদনা এবং উৎসাহ পেয়েছে।
মঙ্গলবারের বৈঠকে আরও যোগ দেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন, জাপানের প্রধানমন্ত্রী ফুমিও কিশিদা এবং অস্ট্রেলিয়ার নব্য নির্বাচিত প্রধানমন্ত্রী অ্যান্থনি আলবানিজ। তারা ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধের প্রসঙ্গকে গুরুত্ব দিয়ে বক্তব্য দেন। কিন্তু এ ক্ষেত্রে ব্যাতিক্রম ছিলেন মোদি। তিনি তার বক্তব্যে চলমান এই সংঘাত নিয়ে কিছু বলেননি। মোদির জাপান সফরের আগেই ভারতীয় কূটনীতিক বিনয় কোয়াত্রা জানিয়েছিলেন যে, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ নিয়ে নয়াদিল্লির অবস্থান বন্ধুরাষ্ট্রগুলো বুঝতে পেরেছে।