যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন সোমবার বলেন যে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনকে ‘ইউক্রেনে চালানো তার বর্বরতার জন্য চড়া মূল্য দিতে হবে’।
জাপান সফরকালে দেয়া বক্তব্যে বাইডেন রাশিয়ার ওপর দীর্ঘমেয়াদী নিষেধাজ্ঞার মাধ্যমে এক বার্তা পাঠানোর গুরুত্বের বিষয় উল্লেখ করেন।
বাইডেন বলেন, যদি বাস্তবে, তিনি যেসব করেছেন সেসবের পরও ইউক্রেনীয় ও রাশিয়ার মধ্যে সব মিটমাট হয়ে যায়, এবং নিষেধাজ্ঞাগুলো অনেকাংশেই অব্যাহত রাখা না হয় তাহলে সেটা জোরপূর্বক তাইওয়ান দখলের প্রচেষ্টার বিষয়ে চীনকে কি বার্তা দিবে?
ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেন্সকি সোমবার রাশিয়ার উপর আরো বর্ধিত চাপের আহ্বান জানান।
ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরামের উদ্দেশ্যে ভার্চুয়ালভাবে দেয়া এক বক্তব্যে তিনি বলেন যে রাশিয়ার তেলের উপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা উচিৎ, রাশিয়ার ব্যাংকের সাথে লেনদেন বন্ধ করা উচিৎ এবং রাশিয়ার সাথে সকল বাণিজ্য বন্ধ করা উচিৎ।
দোভাষীর মাধ্যমে জেলেন্সকি বলেন, নিষেধাজ্ঞাগুলো সর্বোচ্চ মাত্রার হওয়া উচিৎ, যাতে করে রাশিয়া এবং অন্যান্য সকল সম্ভাব্য আগ্রাসী, যারা কিনা তাদের প্রতিবেশীর বিরুদ্ধে নৃশংস যুদ্ধ চালাতে চায় তারা পরিষ্কারভাবে তাদের কর্মকাণ্ডের তাৎক্ষণিক পরিণতি সম্পর্কে জেনে যায়।
তিনি বলেন যে তিন মাস আগে যদি এমন নিষেধাজ্ঞা দেয়া হতো, তাহলে তার ফলাফল হতো যে, হাজার হাজার মানুষ প্রাণে বেঁচে যেত।
তার কয়েক ঘণ্টা আগে, রাশিয়ার সাথে ইউক্রেনের প্রধান আলোচক এবং জেলেন্সকির উপদেষ্টা, মিখাইলো পোডোলিয়াক ইউরোপে রাশিয়ার তেল আমদানির বিষয়টি তুলে ধরেন।
তিনি বলেন যে প্রতিদিন এভাবে প্রায় ১০০ কোটি ডলারের তেল ক্রয় করা হচ্ছে।
https://www.facebook.com/watch?v=5346863328670490