ফিনল্যান্ড ও সুইডেন ন্যাটোতে যোগ দিতে চাচ্ছে। কিন্তু তাদের সদস্য হওয়ার বিষয়টিতে বাধা দিয়েছে তুরস্ক। ফলে এখন সুইডেন ও ফিনল্যান্ড দুই দেশই তুরস্ককে রাজি করাতে চাচ্ছে যেন তারা কোনো বাধা না দেয়।
আর এরই অংশ হিসেবে ফিনল্যান্ডের প্রেসিডেন্ট ও সুইডেনের প্রধানমন্ত্রী ফোন করেন তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিস্যেপ তাইয়্যেপ এরদোগানকে।
আর তাদের সঙ্গে পুরনো শর্তগুলোই নতুন করে বলেছেন এরদোগান।
তুরস্ক শর্ত দিয়েছে যদি ফিনল্যান্ড-সুইডেন ন্যাটোতে যোগ দিতে চায় তাহলে আগে তাদের সন্ত্রাসী কার্যক্রমে মদদ দেওয়া বন্ধ করতে হবে। তাছাড়া তুরস্কের ওপর আরোপিত নিষেধাজ্ঞা উঠিয়ে নিতে হবে।
তুরস্কের প্রেসিডেন্ট শনিবার জানিয়েছেন, তিনি সুইডেনের প্রধানমন্ত্রী ম্যাগডালেনা অ্যান্ডারসনকে বলেছেন, জঙ্গী সংগঠনগুলো নিয়ে তুরস্কের যেসব চিন্তা আছে সেগুলো নিয়ে যেন সুইডেন পদক্ষেপ নেয়।
ফোন কলে এরদোগান সুইডেনের প্রধানমন্ত্রীকে আরও বলেছেন, তুরস্কের ওপর ২০১৯ সালে সুইডেন যে অস্ত্র নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে সেটি যেন তুলে নেওয়া হয়।
বর্তমানে ৩০ সদস্যের ন্যাটোতে যদি নতুন কোনো দেশ যোগ দিতে চায় তাহলে সবগুলো দেশের অনুমোদন লাগবে।
কিন্তু তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিস্যেপ তাইয়্যেপ এরদোগান বলেছেন, ফিনল্যান্ড-সুইডেনের ন্যাটোতে যোগ দেওয়ার বিষয়টিকে ইতিবাচক হিসেবে দেখছেন না তিনি।
বেশ কয়েকবার এরদোগান বলেছেন, তিনি ফিনল্যান্ড-সুইডেনের ন্যাটোতে যোগ দেওয়ার আবেদনে ভেটো দেবেন।
ন্যাটোতে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ সেনা আছে তুরস্কের। এমনকি তারা ন্যাটোর অন্যতম পুরাতন সদস্য।
তুরস্ক যতক্ষণ এই প্রস্তাবে বাধা দেবে ততক্ষণ ফিনল্যান্ড-সুইডেন সদস্য হতে পারবে না।
তবে পশ্চিমা দেশগুলো জানিয়েছে, তাদের আত্মবিশ্বাস আছে তুরস্ক শেষ পর্যন্ত রাজি হবে।