দেশ বরেণ্য আলেমের নামে মৌলবাদ ও সাম্প্রদায়িক সন্ত্রাসের সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগ এনে দেশের ১১৬ জন আলেম ও এক হাজার মাদ্রাসার নামের তালিকা সংবলিত ‘শ্বেতপত্র’ দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) ও জাতীয় মানবাধিকার কমিশনে জমা দিয়েছে তথাকথিত গণকমিশন। তাদের বিরুদ্ধে সারাদেশে মৌলবাদী তৎপরতা, সাম্প্রদায়িক সন্ত্রাস, জ্বালাও-পোড়াও, অনিয়ম, দুর্নীতি ও মানি লন্ডারিংয়ের অভিযোগ করা হয়েছে। মাওলানা মিজানুর রহমান আযহারী, মাওলানা এনায়েতুল্লাহ আব্বাসী, মুফতি রেজাউল করিম, মুফতি সৈয়দ ফয়জুল করিম সহ জনপ্রিয় ইসলামি গবেষক ও আলোচক আছেন এই তালিকায়।
এদিকে ইসলামিক গবেষক ও স্কলারা বলছেন দেশের ইসলামি মাহফিলকে বিতর্কিত ও আলেমদের ভাবমূর্তি নষ্ট করতেই এমন তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে।
বুধবার দুপুর ১২টায় দুদক চেয়ারম্যান মঈনউদ্দীন আবদুল্লার হাতে একটি শ্বেতপত্র তুলে দেন গণকমিশনের চেয়ারম্যান বিচারপতি শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক ও সদস্য সচিব ব্যারিস্টার তুরিন আফরোজসহ পাঁচ সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল।
এমন খবরের পর সমালচনার ঝড় ওঠেছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম গুলোতে। তালিকায় বর্তমান তরুন প্রজন্মের জনপ্রিয় ইসলামিক আলোচক মিজানুর রহমান আযহারীরসহ খ্যাতিমান প্রতিতযশা আলেম ও ইসলামিক স্কলারদের নাম থাকায় পুরো তালিকাকে হাস্যকর বলছেন অনেকে।
এর আগে গণকমিশনের বিতর্কিত মুখ ব্যারিস্টার তুরিন আফরোজ অনৈতিক কাজে জড়িত থাকার প্রমাণ পাওয়ায় বহিষ্কৃত হয়েছিলেন। এমনকি তার মা নিজের মেয়ে তুরিন আফরোজের বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলন করে সম্পত্তি দখল, মা’কে ঘর থেকে বের করে দেয়া, হুমকি ধামকি, অনৈতিক কর্মকা- ও বাসায় গোপনে বহু পুরুষ সমাগমের অভিযোগ করে বিচার চেয়েছিলেন।
বৃহস্পতিবার এক যৌথ বিবৃতিতে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মহাসচিব অধ্যক্ষ হাফেজ মাওলানা ইউনুছ আহমাদ ও যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা গাজী আতাউর রহমান বলেন আইন-আদালত থাকতে গণকমিশন গঠন দেশের সংবিধান বিরোধী। দেশের ওলামায়ে কেরামের তালিকা তৈরি করে দুর্নীতি দমন কমিশনে দেওয়ার এখতিয়ার এই কমিশনের নেই। যাঁরা তালিকা তৈরি করেছেন, তাঁরা নিজেরাই বিভিন্ন অপরাধে অপরাধী ও তিরস্কৃত।
তথাকথিত গণকমিশন সম্পর্কে দেশের সুশিল সমাজ ,আইনবিদ ও ইসলামি গবেষকরা মনে করেন বিদ্যমান সরকার ও বিচার ব্যবস্থা থাকার পরেও এ ধরনের কর্মকান্ড পরিচালনা করা রাষ্ট্রদ্রহীতার সামিল। এ বিষয়ে সরকার দ্রুত কার্যকরী ব্যবস্থা নিবেন এমনটায় প্রত্যাশা সবার।