নোয়াখালীতে সদর উপজেলায় টয়লেটের সেপটি ট্যাংক থেকে মো. ওমর ফারুকের অর্ধগলিত মরদেহ উদ্ধারের ১২ ঘণ্টার মধ্যে হত্যাকাণ্ডের রহস্য উদঘাটন করেছে পুলিশ। একই সাথে এ হত্যাকাণ্ডে জড়িত আসামি আনছারুল করিমকে চট্টগ্রাম থেকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। নিহত ফারুক গ্রেফতারকৃত আসামির মামা।
গ্রেফতারকৃত করিম কক্সবাজার জেলার মহেশখালী উপজেলার কালারমাছড়া ইউনিয়নের উত্তর ঝাপুয়া গ্রামের মো. ইসমাইলের ছেলে। নিহত ফারুক একই ইউনিয়নের উত্তর ঝাপুয়া গ্রামের খাতুবের বাড়ির মৃত আলী আহম্মদের ছেলে।
সোমবার দুপুরে পুলিশ সুপার কার্যালয়ে এক প্রেস বিফিংয়ে নোয়াখালীর পুলিশ সুপার (এসপি) মো. শহীদুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, নোয়াখালীর সদর উপজেলার কালাদরাপ ইউনিয়নের উত্তর চাকলা গ্রামের হারুনের মেয়ে শারমিন আক্তারের সঙ্গে আসামি আনসারুল করিমের ২০১৮ সালে বিয়ে হয়। পারিবারিক কলহের বিরোধকে কেন্দ্র করে গত ২০ এপ্রিল কাজীর মাধ্যমে স্ত্রী তার স্বামীকে তালাক দেন। এতে আনছারুল করিম তাঁর স্ত্রীর উপর ক্ষিপ্ত হয়। একপর্যায়ে তালাকপ্রাপ্ত স্ত্রী ও তার পরিবারকে ফাঁসানোর জন্য পরিকল্পনা করে আনছারুল করিম। পরিকল্পনা অনুযায়ী আসামি তার চাচাতো মামা মো. ওমর ফারুককে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে বিরোধ সমাধান করে দেওয়ার কথা বলে গত ৫ই মে আনসারুল করিমের শ্বশুর বাড়ি উত্তর চাকলায় নিয়ে আসে। পরিকল্পনা অনুযায়ী আনছারুল তার আরেক সহযোগীসহ একই দিন রাত সাড়ে ৯টার দিকে শ্বশুর বাড়ির উত্তর পাশে সুপারি বাগানের মধ্যে নিয়ে মামার শার্ট খুলে গলায় পেঁচিয়ে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে।
এরপর স্বামী তার তালাকপ্রাপ্ত স্ত্রীকে ফাঁসানোর জন্য ক্ষিপ্ত হয়ে শ্বশুর বাড়ির টয়লেটের সেপটি ট্যাংকের ভিতর মামার লাশ ফেলে চট্টগ্রামে পালিয়ে যায়। পরে পুলিশ তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় ঘটনার চার দিন পর মামলার প্রধান আসামিকে গ্রেফতার করে। এ ঘটনায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। অপর পলাতক আসামি রাসেলকে গ্রেফতারে চেষ্টা চালাচ্ছে পুলিশ।
উল্লেখ্য, এর আগে রবিবার ৮মে দুপুর ২টার দিকে নোয়াখালীর সদর উপজেলার ৯নং কালাদরাপ ইউনিয়নের ৭নম্বর ওয়ার্ডের উত্তর চাকলা গ্রামের খোনার মসজিদ সংলগ্ন চুটকি বাড়ি সেপটিক ট্যাংক থেকে ওই যুবকের অর্ধগলিত মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।