বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থানরত ঘূর্ণিঝড় ‘অশনি’ গতিপথ বদলাচ্ছে। বাংলাদেশ উপকূলে এ ঝড়ের আঘাত হানার আভাস নেই বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। তবে অশনির প্রভাবে বাংলাদেশে ভারি বর্ষণ হবে।
সোমবার রাতে এ তথ্য জানিয়ে আবহাওয়াবিদ মো. বজলুর রশিদ বলেন, ঘূর্ণিঝড় অশনি গতিপথ বদলে পশ্চিমবঙ্গের দিকে কিছুটা সরে যাচ্ছে। বাংলাদেশ উপকূলে আঘাত হানার আভাস নেই। এখন প্রবল ঘূর্ণিঝড় হিসেবে থাকলেও উপকূলে আসার আগে শক্তি কমে যাবে। ঘূর্ণিঝড় অশনির প্রভাবে ভারি বর্ষণ হতে পারে।
এরইমধ্যে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে অশনির প্রভাবে বৃষ্টিপাত শুরু হয়েছে। খুলনা, বাগেরহাট, সাতক্ষীরা, কক্সবাজারসহ উপকূলীয় অঞ্চলে বৃষ্টি হচ্ছে।
আবহাওয়ার ১০ নম্বর বিশেষ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, পশ্চিম-মধ্য বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থানরত প্রবল ঘূর্ণিঝড় অশনি উত্তর-পশ্চিম দিকে অগ্রসর হয়ে একই এলাকায় অবস্থান করছে। এটি আজ (সোমবার) সন্ধ্যা ৬টায় চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর থেকে ১১০০ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে, কক্সবাজার সমুদ্রবন্দর থেকে ১০৪৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে, মোংলা সমুদ্রবন্দর থেকে ৯৯০ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে এবং পায়রা সমুদ্রবন্দর থেকে ৯৮৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে অবস্থান করছিল।
এটি আরও উত্তরপশ্চিম দিকে অগ্রসর হতে পারে। প্রবল ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের ৬৪ কিলোমিটারের মধ্যে বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ৮৯ কিলোমিটার যা দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়ার আকারে ১১৭ কিলোমিটার পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছে। প্রবল ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের নিকটবর্তী এলাকায় সাগর খুবই বিক্ষুব্ধ রয়েছে।
মঙ্গলবার থেকে বৃষ্টির তীব্রতা আরও বাড়বে উপকূলের জেলাগুলোতে। পশ্চিমবঙ্গের আবহাওয়া দপ্তরের সাম্প্রতিক বুলেটিন অনুযায়ী, অন্ধ্র থেকে ৪১০ কিলোমিটার এবং উড়িষ্যার পুরী থেকে ৫৯০ কিলোমিটার দূরে রয়েছে অশনি।